আগামীকাল থেকে রাজ্যের সমস্ত স্কুলে স্পেশাল ভিজিট। কোনও ছুটি হবেনা। কি কারণে? কি কি ডকুমেন্টস রেডি রাখবেন।
আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার থেকে রাজ্যের প্রতিটি স্কুলে বাধ্যতামুলকভাবে ভিজিট হবে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ষ্টেট লেভেল ভিজিট হয়ে গেছে, আর এবার আরও কিছু বিষয় নিয়ে পরিদর্শন হবে। কি কারনের ই স্পেশাল প্রোগ্রাম, শিক্ষকদের কি করণীয়, একনজরে দেখে নিন।
আজ থেকে প্রায় ১৯ বছর আগে তথা ২০০৩ সালে বিদ্যালয়ের ছাত্র – ছাত্রীদের মিড ডে মিল অর্থাৎ “মধ্যাহ্ন ভোজন যোজনা” শুরু হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল সকল শিশুদের অপুষ্টি দূরণ। এবার এই প্রকল্প ও একাধিক বিষয়ে রাজ্য পর্যায়ের অডিট করার কথা বলা হয়েছে। জেনে নিন কি হতে চলেছে।
হঠাৎ স্কুলে মিড ডে মিলে অডিট শুরু কেন?
এই নিরীক্ষা চলাকাললীন এই প্রকল্পের কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মচারীদের সাথে কথা বলার পাশাপাশি মিড ডে মিলের সমস্ত হিসাবপত্র দেখতে চাওয়া হবে। কোন ধরনের গড়মিল পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। প্রতিটি জেলায় নিযুক্ত রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষ টিম একযোগে র্যান্ডমলি স্কুল বেছে নেবেন।
স্কুলে মিড ডে মিল এর অডিট অর্থাৎ নিরিক্ষন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে। আপাতত রাজ্যের প্রতি জেলায় ২০ টি করে স্কুলে এই নিরিক্ষনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ অনুসারে এই অডিট করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এই অডিট এর সময় সেই সমস্ত বিদ্যালয়ের ৩ জন করে অভিভাবককে সঙ্গে রাখা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে এই নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে বলা আছে। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ অনুসারে পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা দফতর রাজ্যের প্রতি জেলায় ২০ টা করে School এ এই অডিট করা হবে। ২৮’শে নভেম্বরের মধ্যে এই কাজ শেষ করার কথা বলা হয়েছে। এর পরে এই সমস্ত রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। এই মিড ডে মিল এর বর্তমান নাম হল “প্রধানমন্ত্রী পোষণ শক্তি”।
বার্ষিক পরীক্ষার আগেই নভেম্বরে ফের লম্বা ছুটি স্কুলে স্কুলে, নবান্নে জরুরী বৈঠক।
আগামী ডিসেম্বর মাসে ১ তারিখ থেকে ৩০’শে ডিসেম্বরের মধ্যে সমস্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে। প্রতি ছয় মাস অন্তর এই অডিট করা হবে। এই ডিসেম্বরের পর আবার এই নিরিক্ষা ২০২৩ সালে করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এর ফলে প্রতিটি বিদ্যালয়ের রান্না ঘর, পানীয় জলের ব্যবস্থা, চাল সহ নানা ধরনের ড্রাই রেশন কিভাবে রাখা হচ্ছে সেটা দেখা হবে।
এর পর সব থেকে জরুরি যেই বিষয় সেটা হল মিড ডে মিলের সমস্থ রকমের হিসাব নেওয়া হবে। বর্তমানে প্রাথমিক বিভাগের বাচ্চাদের ৫.৪৫ টাকা এবং উচ্চ প্রাথমিকে ৮.১৭ টাকা করা হয়েছে। এই টাকার মধ্যে রোজ মিড ডে মিলে শিক্ষার্থীদের কি খাবার দেওয়া হয় সেই বিষয়ে অভিভাবকদের জিজ্ঞাসা করা হবে এই ব্যাপারে। কিন্তু বেশ কিছু School এর প্রধান শিক্ষক দের বক্তব্য এই মূল্যবৃদ্ধির বাজারে এই সামান্য টাকায় বাচ্চাদের পুষ্টি সম্পন্ন খাওয়ার দেওয়া সম্ভব হয়ে উঠছে না।
এখন রাজ্যের প্রতি জেলায় ২০ টা করে স্কুলে এই মিড ডে মিলের অডিট শুরু হয়েছে। এর পরে প্রশ্ন উঠতে চলেছে যে সারা রাজ্যে কি এই ব্যবস্থা চালু হতে চলেছে। এই নিয়ে স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে কিছু স্পষ্ট করে বলা হয়নি। এবার দেখার অপেক্ষা যে প্রথমে এই ২০ টা স্কুলের নিরিক্ষার ফল কি হতে চলেছে।