Aadhaar Link with Birth and Death Certificate (আধার লিঙ্ক)

আধার লিঙ্ক নিয়ে নয়া নির্দেশিকা, আবার কি করতে চাইছে কেন্দ্র?

একের পর এক আধার লিঙ্কের (Aadhaar Link) নির্দেশিকা মোদি সরকারের। এর আগে প্যান আধার, ভোটার আধার, ব্যাংক একাউন্ট আধার লিংকের নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল। এবার জন্ম ও মৃত্যুর রেজিস্ট্রেশন এর সময় আধার নম্বর সংযুক্ত করার (Aadhaar Authentication for Birth and Death Registration) নির্দেশিকা জারি করছে মোদি সরকার। এই মর্মে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে। সমস্ত রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে অ্যাডভাইসারি (Aadhaar Link Advisory Guideline) পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে। কি সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার?

এবার থেকে জন্ম ও মৃত্যুর রেজিস্ট্রেশন এর জন্য আবেদন করার সময় আধার নম্বর বাধ্যতামূলক। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, আধার নম্বর এর মাধ্যমে জন্ম এবং মৃত্যুর রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এর কারণ, একমাত্র আধার নম্বরের মাধ্যমেই পরিচয় পত্রের প্রমাণ পাওয়া সম্ভব।

কোনো সদ্যোজাত যখন জন্মগ্রহণ করবে, তখনই তাকে আধার নম্বর দিতে হবে। সেই আধার নম্বরের বায়োমেট্রিক তথ্য পরে পুনর্নবীকরণ করতে হবে। অর্থাৎ যখন বার্থ সার্টিফিকেট ইস্যু হবে তখনই আধার লিঙ্ক করে নেওয়া হবে, এবং সার্টিফিকেটে আধার নম্বর উল্লেখ থাকবে। পরবর্তীতে সিশুর বায়োমেট্রিক তথ্য আপডেট করে নিতে হবে।

ঠিক সেই ভাবেই মৃত ব্যক্তির রেজিস্ট্রেশন এর সময় আধার নম্বর সংযুক্ত করতে হবে। যাতে পরবর্তীতে তার প্রমাণ পাওয়া সম্ভব হয়। সমস্ত ক্ষেত্রেই আধার লিঙ্ক বাধ্যতামূলক (Aadhaar Link) করার পক্ষে কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য হল, দেশের জনগণের আমানত সুরক্ষিত করা, সুশাসন দেওয়া এবং সমস্ত কাজ সহজ করে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এই আধার নম্বর ব্যবহার করা হচ্ছে।

শিশুর পরিচয় পত্র প্রমাণের জন্য আধার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই নবজাতকদের জন্য টেম্পোরারি আধার নম্বর দেওয়া হবে। পরবর্তীতে তা পুনর্নবীকরণ করতে হবে। এরপর থেকে জন্ম ও মৃত্যুর রেজিস্ট্রেশনের ফরম পূরণের সময় আধার নম্বর দেওয়া হয়েছে কিনা তা উল্লেখ করতে হবে। 1969 সালের জন্ম ও মৃত্যুর রেজিস্ট্রেশন আইন (Birth and Death Registration Act) অনুযায়ী এই বিষয়টি উল্লেখ করা রয়েছে।

২০২০ সালেই কেন্দ্রীয় সরকার এই বিজ্ঞপ্তি জারি করে। তখনই চেষ্টা শুরু করা হয়। রেজিস্টার জেনারেল অফ ইন্ডিয়াকে (RGI) এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জন্ম ও মৃত্যুর সময় আধার নম্বর ব্যবহারের নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। বর্তমান সময়ে সরকারি যে কোনো পরিষেবা পেতে গেলেই আধার নম্বরের প্রয়োজন হয়। আর সরকারি প্রকল্পের টাকা সরাসরি উপভোক্তার ব্যাংক একাউন্টে পৌঁছে দেওয়া হয়। সেই কারণে ব্যাংক একাউন্টের সঙ্গেও আধার নম্বরের লিঙ্ক করা বাধ্যতামূলক হয়েছে।

আরও পড়ুন, ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফাইল করার লাস্ট ডেট, এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের বড় ঘোষণা।

সেই মর্মে ইতিমধ্যেই সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারি করে দেওয়া হয়েছে। যাতে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা থেকে ন্যায্য উপভোক্তা বঞ্চিত না হন। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের যুক্তি অনুযায়ী, আধার নম্বরকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক এই নির্দেশিকার জন্য গেজেট নোটিফিকেশন জারি করেছে। সেখানে সমস্ত রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে সংশ্লিষ্ট বিষয়টি নিয়ে অ্যাডভাইসারি গাইড লাইন পাঠাতে চলেছে।

আরও পড়ুন, সুখবর, অবশেষে কিষান যোজনার 14 তম কিস্তির টাকা ঢোকা শুরু হল, চেক করে নিন।

গ্রাহকদের কি কি করতে হবে

  • জন্মের সময় আধার নম্বর দেওয়া হবে।
  • এরপর শিশু একটু বড় হলে তার বায়োমেট্রিক তথ্য আপডেট করতে হবে।
  • যাদের বার্থ সার্টিফিকেটের সাথে লিঙ্ক নেই, তাদের আধার লিঙ্ক করতে হবে।
  • মৃত ব্যাক্তির ডেট সার্টিফিকেট ইস্যু করার সময় তার আধার ডেটা নেওয়া হবে, এবং ডেথ সার্টিফিকেটে আধার নম্বর দিতে হবে।