বাড়িতে বসেই স্বল্প পুঁজির ব্যবসা। মাসে আয় 1 লাখ টাকা। সঠিক পদ্ধতি না জানলে কাজ হবে না।

আজকের এই স্বল্প পুঁজির ব্যবসা শুরু করলে বাড়তি আয় নিশ্চিত।

স্বল্প পুঁজির ব্যবসাই দেখাতে পারে উন্নত ভবিষ্যৎ। কারণ, বর্তমানে বেকার সমস্যা চরম মাত্রায় পৌঁছে গেছে। আশেপাশে বা মিডিয়াতে চোখ রাখলেই প্রতিনিয়ত দেখা যায় শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীর বুকফাটা আর্তনাদ। এই বেকার সমস্যা যেন আমাদের সমাজকে ধ্বংসের মুখে  ঠেলে দিচ্ছে। চাকরির জন্য হন্যে হয়ে না ঘুরে, স্বল্প পুঁজির ব্যবসা করে কিভাবে জীবনে সফলতা অর্জন করা যায় সেই চেষ্টা করাই উত্তম।

ভালোভাবে স্বল্প পুঁজির ব্যবসার মাধ্যমে উন্নতির পদ্ধতি জানা থাকলে মাসে ৪০,০০০-৫০,০০০ টাকা আয় করা সম্ভব। কিন্তু অনেকে জানেনই না কীভাবে ব্যবসা করতে হবে। আবার অনেকে বুঝতে পারেন না কিসের ব্যবসা করলে লাভ অর্জন করা যাবে। অনেকে আবার ব্যবসায় টাকা বিনিয়োগ করতে ভয় পান। সেই সকল ধারণার অবসান ঘটাবে আজকের এই স্বল্প পুঁজির ব্যবসার প্রতিবেদন।

আজ আমরা এমনই একটি আয়ের বিষয়ে জেনে নেবো। অনেকে মনে করেন ব্যবসা করতে গেলে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। এটা অবশ্য ঠিক, যে কোনো বড় ব্যবসা শুরু করতে কিছু মূলধন থাকা দরকার। তবে স্বল্প পুঁজির ব্যবসা শুরু করেও যে একদিন অনেক বড় ব্যবসায়ী হওয়া সম্ভব, সে বিষয়ে বিশ্বাস রাখাও অত্যন্ত জরুরী।

বাড়ির পতিত জমি তো প্রায় সবারই থাকে। সেই পতিত জমিতে মাত্র গুটি কয়েক বৃক্ষ রোপণ করে নতুন এই স্বল্প পুঁজির ব্যবসা শুরু যায়। তবে যে সে বৃক্ষ নয়। এটা হল কাজু বাদামের গাছ। বাজারে কাজু বাদামের দাম অত্যন্ত বেশি। আর এর ফলনও প্রচুর। গাছ লাগানোর ২-৩ বছরের মধ্যেই ফল দিতে শুরু করে এই গাছ।

এই ব্যবসা একবার করলেই ইনকাম হবে বারবার। অবাক হলেন? পরখ করে দেখুন এখুনি।

হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন কাজুবাদাম চাষ। তবে কীভাবে কাজুবাদাম চাষ করলে ব্যবসার উন্নতি করা যাবে, তা জেনে নেওয়া যাক। কীভাবে কাজুবাদাম চাষ করতে হবে – এই ফল যেকোনো মাটিতেই চাষ করা সম্ভব। তবে লাল, ল্যাটেরাইট মাটিতে চাষ করা ভালো। চাষ করার আগে ক্ষেতে তির্যকভাবে লাঙ্গল দিতে হবে।

বিশেষত যেসব জায়গায় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের কাছাকাছি, সেখানে কাজুবাদাম চাষ ভালো হয়। ক্ষেতের জমিতে প্রতিটি গাছের মধ্যে ৪ মিটার দূরত্ব রাখতে হবে। সেইমতো ১ হেক্টর জমিতে প্রায় ৫০০ টি চারা রোপণ করা যাবে। তবে বৃষ্টির কারণে এই চাষে সেচের প্রয়োজন হয় না। তবে গাছকে আদ্রতা এবং ঠাণ্ডা থেকে বাঁচাতে হবে।

দিওয়ালী ও শীতের আগে এই সিজনাল ব্যবসা আপনার সংসারের সকল অভাব দূর করে দেবে, এক টাকাও বিনিয়োগ লাগবে না।

কত টাকা রোজগার করা যাবে – এই গাছের দৈর্ঘ্য ১৪-১৫ মিটার। মাত্র ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যেই গাছের ফলন শুরু হওয়া যায়। শুধু কাজুবাদাম বিক্রি করে রোজগার করা সম্ভব তেমনটা নয়। এই গাছের ফলের খোসা থেকে রং তৈরি করা হয়। একটি গাছ থেকে ২০ কেজি কাজুবাদাম পাওয়া যায়। বর্তমানে বাজারে ১ কেজি কাজুর দাম ১,০০০-১২০০ টাকা। হেক্টর জমিতে চাষ করলে কোটি টাকা আয় করা সম্ভব।

বৃহৎ ভাবে শুরু না করতে চাইলে আপনি আপনার বাড়ির আশেপাশেও এ গাছ লাগিয়ে রাখতে পারেন। বাড়িতে ৪-৫ টি গাছ লাগালে তার থেকেও বেশ অনেক পরিমাণে কাজু বাদাম পাওয়া সম্ভব। তাহলে আর দেরি না করে বিষয়টি নিয়ে ভালো করে ভেবে নার্সারি থেকে ভালো মানের চারা লাগিয়ে আয়ের পথ খুলে দিন। ধন্যবাদ।
Written by Mukta Barai.

Related Articles

4 Comments

  1. বাড়িতে কবে এই গাছ লাগিয়ে করা যেতে পারে কি?? বিস্তারিত জানাবেন।।

    1. বানান ভুলের জন্য দুঃখিত।
      বাড়িতে টবে এই গাছ লাগিয়ে করা যেতে পারে কি??? তাহলে বিস্তারিত জানাবেন।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button