ব্যবসায় লাখ টাকা আয় নিশ্চিত করতে, এই 3 টি মোক্ষম টিপস মেনে চলুন।
বেকার সমস্যা দূরীকরণ ব্যবসাই সফলতার মুখ দেখাতে চলেছে।
বাঙ্গালীর বিশেষ উৎসব – দুর্গাপূজা এবারে বেশ ধুমধাম করেই পালন করলো বাংলা। তবে এবারের পুজোতে পরিকল্পনা অনুসারে রাজ্যে প্রচুর কর্মসংস্থান তৈরি হল। রাজ্যবাসীর মাথাপিছু আয় বেড়েছে অনেক। গত দুই বছরের তুলনায় এবারের পুজো অনেকটাই আলাদাভাবে কাটালেন পশ্চিমবঙ্গবাসী। পুজো কার্নিভালে এর প্রমাণ পরিলক্ষিত হয়েছে।
মহামারীর কবলে স্তব্ধ জনজীবনে ফিরে এসেছে ছন্দ। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, সরকারি চাকুরী একমাত্র আয়ের রাস্তা নয়। এক্ষেত্রে Innovative Business Idea – কেও সমান গুরুত্ব দেওয়া উচিত। কারণ, সঠিক সময়ে Appropriate Business শুরু করতে পারলে লাভের মুখ দেখতে বেশি দেরি করতে হবে না। রাজ্যের এক বিশিষ্ট নেতৃত্ব ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, এবারে পুজোতে আগের তুলনায় অনেক বেশি আয় বেড়েছে। আগামীতে তা ১ লক্ষ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়াবে।
এই উৎসবের সাথে জড়িয়ে থাকে বহু পেশার মানুষ। ক্যাটারিং, হোটেল, ট্যুরিজম, প্যান্ডেল, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, পোশাক শিল্প, ডেয়ারি শিল্প ইত্যাদি। গত দুই বছরের তুলনায় এবারে আয় বেড়েছে বহুগুণ। সম্প্রতি ব্রিটিশ কাউন্সিল এর একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, এবারের পুজো হার মানিয়েছে ২০১৯ সালের উৎসবকে। New Business Idea কাজে লাগান। আর নিজের আয় আরও বাড়িয়ে তুলুন।
শুধুমাত্র আনন্দ উল্লাসই নয়, রাজ্যের প্রায় সকল ব্যবসায়ীরা লাভবান এবারের পুজোতে। সকলেরই এবারে খুশির মেজাজ। রাজ্যে এই পুজোকে কেন্দ্র করে ৩ লক্ষেরও বেশি মানুষের হয়েছে কর্মসংস্থান। নতুন এই কর্মসংস্থান এর ফলে খুশির জোয়ার বইছে রাজ্যের ঘরে ঘরে। এই পুজোকে উৎসাহ দিতেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রত্যেক পুজা কমিটিকে দিয়েছিলেন ৬০ হাজার টাকার বিশেষ অনুদান। এই ব্যবসাকে সারা বছর চালাতে পারলে আর চাকরীর প্রয়োজন হবে না।
সামনেই আসছে কালীপুজা তথা দীপাবলি উৎসব। দীপাবলি উৎসব পালনের আয়োজন কোন অংশেই কম নয়। এখন থেকেই রাজ্যের চারিদিক সেজে উঠতে শুরু করেছে রঙিন আলোতে। এই দিপাবলিকে ঘিরেও জড়িয়ে আছে বহু মানুষের কর্মসংস্থান। এরপরেই আসছে ছট পুজোর উৎসব। সঠিক সময়, স্বল্প পুঁজি আর পরিশ্রম – এই ৩ টি বিষয়ে সব সময়ে গুরুত্ব দিলেই সাফল্য নিশ্চিত।
৫০০ কোটি টাকার স্পন্সরশীপ এসেছে এই দুর্গাপূজাতে। দুর্গা পুজোতে আগের থেকে আয় বেড়েছে। ২০১৯ সালের হিসেবে এবারে ২০২২ এর আয় আরও ১০ হাজার কোটি বেড়ে এবারে তা ৫০ হাজার কোটি টাকায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। আগামীতে তা ১ লক্ষ কোটি টাকায় পৌছবে বলে দাবি করাও হয়েছে।
এই পুজোতে চলতি ব্যবসা হিসেবে মুড়ি, চিড়ে, নাড়ু, পুজোর নানা উপকরণ, মিষ্টি, ফুল, রঙিন লাইট, মোমবাতি, প্রদীপ ইত্যাদি করা যেতে পারে। এছাড়া পুজো প্যান্ডেল চত্তরে ফার্স্ট ফুডের দোকান, মোমো, ঘুঘনি, মুড়ি ইত্যাদির ব্যবসাও বেশ লাভজনক হিসেবে প্রমাণিত। আর্থিক স্বচ্ছলতা আনতে ঘরে বসে সময় নষ্ট না করে যেকোনো ব্যবসায় নেমে নিজের আয়ের পথ খুঁজে নেওয়া উত্তম। অল্প পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করলে বেশ ভালো লাভের মুখ দেখাও সম্ভব বেশ তাড়াতাড়ি। এমন আরও খবর পেতে আমাদের সাথে থাকুন। ধন্যবাদ।
Written by Mukta Barai.