লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা বৃদ্ধি নিয়ে বড় খবর, পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেনে নিন।

লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প (Lakshmir Bhandar Scheme) নিয়ে কিছু তথ্য, জেনে রাখা দরকার।

লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের (Lakshmir Bhandar Scheme) টাকা বৃদ্ধি নিয়ে এক শ্রেণীর ডিজিটাল সংবাদ মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের খবর নজরে আসছে। প্রথমেই বলে রাখা দরকার, এই ধরনের খবরের কোনো ভিত্তি বা সারবত্তা কিছুই নেই। কারণ রাজ্য সরকারের তরফে কখনোই লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা বৃদ্ধি নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত বা ঘোষণা করা হয়নি। তারপরও কিছু কিছু ডিজিটাল মিডিয়া নিজেদের স্বার্থে বার বার একই খবর প্রচার করছেন। আর এই নিয়ে সঠিক খবর পশ্চিমবঙ্গবাসীর জেনে রাখা দরকার।

লক্ষ্মীর ভান্ডার কী?

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় রাজ্যের মহিলাদের জন্য আর্থিক সহায়তা করার লক্ষ্যে এই লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের (Lakshmir Bhandar Prakalpa) ঘোষণা করেন। এই প্রকল্পে রাজ্য সরকার তফসিলি জাতি এবং উপজাতি মহিলাদের মাসে ১ হাজার টাকা এবং সাধারণ/ ওবিসি মহিলাদের মাসে ৫০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে। এই মুহূর্তে রাজ্যের বহু মহিলা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের নিয়মিত সুবিধা পাচ্ছেন।

নারায়ন ভান্ডার প্রকল্পের সারবত্তা

আর এখানেই সমস্যা তৈরি হয়েছে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর। আর তাই তারা এই মুহূর্তে মাঠে ময়দানে নেমে পড়ে বিভিন্ন ধরনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া শুরু করেছেন। কি সেই প্রতিশ্রুতি?
ভারতীয় জনতা পার্টির পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ঘোষণা করেছেন, রাজ্যে যদি বিজেপি ক্ষমতায় আসে তাহলে নারায়ন ভান্ডার চালু করা হবে। এই নারায়ন ভান্ডারের মাধ্যমে প্রতিমাসে ২০০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।

PM Kisan Yojana (প্রধানমন্ত্রী কিষান যোজনা)

রাজ্য সরকারের বিবৃতি

আর বিজেপির তরফে এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল সংবাদ মাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়ে যায়। এক প্রকার ভুল ব্যাখ্যা শুরু হয়ে যায়। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, তাহলে কি রাজ্য সরকার লক্ষ্মীর ভান্ডারের (Laxmi Bhandar Scheme) জন্য বরাদ্দ টাকার অংক বাড়াতে চলেছে? আসলে বিজেপির তরফে এই ঘোষণার পরেই একশ্রেণীর মিডিয়ার (One Part of Digital Media) কার্যত তৈরি করা খবর এটি। কারণ রাজ্য সরকারের তরফে এই ধরনের কোনো ঘোষণা করাই হয়নি।

আরও পড়ুন, 100, 200, 500 টাকার নোট নিয়ে নির্দেশিকা জারি রিজার্ভ ব্যাংকের

আর এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের ঘোষণা নিয়ে বহু প্রশ্ন উঠে আসছে। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার। তারপর থেকে রাজ্যের মহিলারা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। এবার ২০২৩ সালে অর্থাৎ মাত্র ২ বছর সময় অতিক্রান্ত হয়েছে, এই মুহূর্তে সামনে বিধানসভার নির্বাচনও নেই, তবুও বিজেপির তরফে নারায়ণ ভান্ডার চালুর কথা ঘোষণা করা হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী ২০২৬ সালের আগে বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে না।

সমীকরণ

ফলে এখনো পর্যন্ত ৩ বছরের অধিক সময় রয়েছে। এই সময় দাঁড়িয়ে বিজেপির তরফে এই ধরনের প্রকল্পের ঘোষনা করা রাজ্যের মানুষের সাথে নিছক মজা করা ছাড়া এবং আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই বিষয় নিয়ে আলোচনার ফলে কিছুটা হলেও প্রভাবিত করা আর কিছুই নয়, বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। এটা বিজেপির তথাকথিত বাংলার নেতারা সকলেই জানেন। আর এর উপর দাঁড়িয়েই একশ্রেণীর ডিজিটাল মিডিয়ায় নিজেদের কিছুটা স্বার্থসিদ্ধির জন্য খবর চলছে, মনে করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে স্পষ্ট ভাবে বলে রাখা দরকার, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে যে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়, তা নিয়মিত রাজ্যের মহিলারা পাচ্ছেন। এই মুহূর্তে সরকারের তরফে ভাতা বৃদ্ধি নিয়ে কোনো ঘোষণা করা হয়নি।

সরকারি ব্যাংক না প্রাইভেট ব্যাংক কোথায় সুদ বেশি? কোথায় টাকা রাখা লাভ?

সুতরাং এই ধরনের খবরে বিভ্রান্ত না হয়ে সঠিক খবরের মূল স্রোতে ফিরে আশা দরকার। আর ভোটের আগে যদি এটা বিজেপির তুরুপের তাস হয়, তবে সেটা অবশ্যই নির্বাচনী ইশতেহারে থাকবে। সরকারি প্রকল্প ও এই সংক্রান্ত খবরের নিয়মিত আপডেট পেতে সুখবর বাংলা ফলো করুন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button