Lakshmir Bhandar 2024: ডিসেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে লক্ষ্মীর ভান্ডার! এবার কি করলে টাকা পাবেন? এক ক্লিকে জেনে নিন

লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ডিসেম্বর থেকে।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar) প্রকল্পটি সারা রাজ্যে সমাদৃত। রাজ্যের মহিলাদের উত্তরণের উদ্দেশ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পটি চালু করেছিলেন। অচিরেই সারা রাজ্যে এই প্রকল্পটি যথেষ্ট নাম করেছে। কারণ মহিলাদের হাতে প্রতি মাসে ‌আর্থিক সাহায্য পাঠাচ্ছে সরকার। নিঃসন্দেহে বলা যায়, রাজ্যের প্রচুর মহিলার এর দ্বারা সুবিধা হয়েছে। তবে এখন শোনা যাচ্ছে, ডিসেম্বর থেকে নাকি লক্ষ্মীর ভান্ডারীর টাকা পাঠানো বন্ধ হয়ে যাবে।

WB Lakshmir Bhandar Scheme Update

লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar) সম্পর্কিত নতুন খবরটি সামনে আসার পর প্রচুর মহিলারা বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। কারণ, লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা আসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবরটি সকলকে চিন্তায় ফেলেছে। প্রত্যেক মাসে পশ্চিমবঙ্গের সব মহিলারা নিজেদের ব্যাংক একাউন্টে পেয়ে যান লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের অর্থ। ‌আর সেই কারণেই পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বহু মহিলা নতুন করে কর্মসংস্থানে যুক্ত হচ্ছেন অথবা সংসারের কাজে প্রকল্পের অর্থকে কাজে লাগাচ্ছেন। এখন হঠাৎ করে প্রকল্পের অর্থ আসা বন্ধ হয়ে গেলে ‌তাঁদের পক্ষেও সেটি চিন্তার খবর। ‌

কিন্তু এখান থেকে প্রশ্ন উঠছে যে, কেন হঠাৎ করে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা পাঠানো বন্ধ করে দিচ্ছে সরকার? খবরটি কি আসলেই ঠিক? নাকি বিশেষ কিছু মহিলার জন্যই এই নিয়মটি প্রযোজ্য? আসুন এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক আজকের এই প্রতিবেদন থেকে। কেন এবং কি কারনে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা আসা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, আর কি করলে টাকা আবার করে পাওয়া যাবে, সেই বিষয়ে আজকে আলোচনা করে নেওয়া যাক।

লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা আসা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কেন?

২০২১ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে চালু হওয়া লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে সাধারণ শ্রেণীর মহিলারা প্রতি মাসে ৫০০ টাকা এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতি মহিলারা মাসে ১০০০ টাকা করে অর্থ পাচ্ছেন। কিন্তু, ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ঘোষণা করেছে যে এই প্রকল্পের অধীনে সুবিধা পেতে গেলে অবশ্যই মহিলাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সাথে আধার কার্ড যুক্ত করতে হবে। আর এই নতুন নিয়ম না মানলে প্রকল্পের অর্থ পাওয়ার পথে বাধা আসতে পারে।

কিন্তু কেন হঠাৎ করে এই নিয়ম চালু করা হলো? আসলে, সরকারি সুবিধার সঠিক বন্টন নিশ্চিত করতে এবং প্রকল্পের অপব্যবহার রোধে আধার লিঙ্ককে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে যে, অনেকে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে বেআইনিভাবে প্রকল্পের সুবিধা দাবি করছেন। তাই আধার লিঙ্কের মাধ্যমে সরকার নিশ্চিত করতে চায় শুধুমাত্র প্রকৃত যোগ্য ব্যক্তিরা প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। আর গোটা প্রক্রিয়াটিতে স্বচ্ছতা আসবে।

1000, 1200 অতীত! লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে টাকা বাড়ছে! প্রতিমাসে 2000 টাকা দেবে সরকার

কিন্তু সরকার এই নিয়ম চালু করলেও নিয়মটি বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকার মহিলাদের জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ। অনেক মহিলা আছেন যারা আধার লিঙ্কিং প্রক্রিয়ার সাথে এখনো পর্যন্ত অতটা পরিচিত নন, এবং প্রযুক্তিগত বাধা, বসতি থেকে ব্যাংকের দূরত্ব ইত্যাদি কারণে প্রক্রিয়াটি এই সকল মহিলাদের জন্য জটিল হয়ে উঠছে। তাই প্রত্যেক মহিলাকে বলা হচ্ছে এই প্রক্রিয়াটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সম্পন্ন করে নিন। আর তাহলেই আপনার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা আসা বজায় থাকবে।

Related Articles

Back to top button