Lakshmir Bhandar: লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা ফেরত নিয়ে নিচ্ছে সরকার। কড়া নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী! এবার টাকা পাবেন কিভাবে?
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা ফেরত নেবে সরকার।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জনপ্রিয় প্রকল্প লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar)। পশ্চিমবঙ্গে চালু থাকা মহিলাদের জন্য এই প্রকল্পটি বছরের পর বছর ধরে সকলের মুখে হাসি ফুটিয়ে এসেছে। বিশেষ করে মহিলাদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলা এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল। আর সেই উদ্দেশ্য রূপায়ণ করতে লক্ষ্মীর ভান্ডার সরকারি প্রকল্পে (Government Scheme) আরো বেশি সংখ্যক মহিলার নাম নথিভুক্ত করা শুরু করে দেয় সরকার। তবে এবার এই প্রকল্প নিয়ে নতুন একটি আপডেট সামনে আসছে।
Lakshmir Bhandar Scheme Update
বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পকে ঘিরে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসছে। আর সেই তালিকা থেকে বাদ পড়ল না লক্ষ্মীর ভান্ডার স্কিম। এবার লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতির খবর প্রকাশ্যে এল। যা জানা যাচ্ছে, গায়েব হয়ে যাচ্ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা! আর তার পরিপ্রেক্ষিতে এবার সরাসরি তদন্তের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে ট্যাব দুর্নীতির খবর। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে গায়েব করা হয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের ট্যাবের টাকা। ঘুরপথে সেই টাকা ঢুকেছে অন্যদের একাউন্টে।
ইতিমধ্যে ট্যাব দুর্নীতির কান্ডে রাজ্য তোলপাড়। তার মাঝে সামনে এল লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পটি নিয়ে নয়া দুর্নীতির খবর। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই এবার কড়া সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের অধীনে থাকা প্রাপকদের জন্য বরাদ্দ করা টাকা সাইবার জালিয়াতির মাধ্যমে অন্যদের অ্যাকাউন্টে চলে যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে অর্থনৈতিক প্রতারণা চক্র ধরা পড়েছে।
বিভিন্ন রাজ্য সরকারি প্রকল্প যেমন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বার্ধক্য ভাতা, কৃষক বন্ধু এই সকল প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দকৃত অর্থ ও পড়ুয়াদের ট্যাব বা মোবাইল কেনার জন্য দেওয়া সরকারি অনুদান আসল প্রাপকের অ্যাকাউন্টে না এসে ঘুরে চলে যাচ্ছে প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে। চলে যাচ্ছে। এমনই ফাঁদ পাতা রয়েছে সর্বত্র। আর এই ঘটনা সামনে আসার পর কড়া হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ঘটনার দ্রুত এবং যথাযথ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।সাধারণত ঘটনাটি যেভাবেভালোবাসা হচ্ছে, সরকারি পোর্টালে সাইবার প্রতারকরা ঢুকে প্রকৃত প্রাপকদের অ্যাকাউন্ট নম্বরের পরিবর্তে তাঁদের ভুয়া অ্যাকাউন্ট নম্বর যুক্ত করে দিচ্ছে। আর এভাবেই টাকা চলে যাচ্ছে অন্যের একাউন্টে।
লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা ফেরত নেবে সরকার!
দুর্নীতির ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর বেশ কয়েকটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ইতিমধ্যেই ফ্রিজ করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে সন্দেহ করা হচ্ছে ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া, রাজস্থানের আলওয়ার ও বিহারের গয়ার সাইবার অপরাধ গ্যাংকে। ট্যাবের টাকার সাথে সাথে সরকারি প্রকল্প লক্ষীর ভান্ডারের টাকাও অনেকের অযোগ্য উপভোক্তাদের ব্যাংক একাউন্টে চলে গেছে বলে খবর।
ডিসেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে লক্ষ্মীর ভান্ডার! এবার কি করলে টাকা পাবেন? এক ক্লিকে জেনে নিন
আর সেই সকল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে এবার টাকা ফেরত নিতে প্রক্রিয়া শুরু করবে রাজ্য সরকার ও প্রশাসন। সুতরাং বর্তমানে যে সকল উপভোক্তারা যোগ্য, যারা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকাও পাচ্ছেন তাঁদেরকে টাকা মোটেও ফেরত দিতে হবে না। সেই সকল উপভোক্তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে কোন টাকা ফেরত নেবে না রাজ্য সরকার। তবে শুধুমাত্র যারা অযোগ্য তাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ফেরত নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।