Lakshmir Bhandar 2024: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে টাকা পাবেন না এই ভুল করলে। আগেই জেনে নিন। নয়তো টাকা আসা আটকে যাবে

লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পেতে এই ভুল করবেন না

পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যের মহিলাদের জন্য যে লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar) প্রকল্প চালু করেছেন সেই প্রকল্পে বর্তমানে প্রচুর মহিলা নিজের নাম নথিভুক্ত করেছেন এবং বছর বছর মহিলাদের নথিভূক্ত করা নামের সংখ্যা বাড়ছে।পশ্চিমবঙ্গের মা, বোনেদের স্বার্থে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা প্রায় দ্বিগুণ করা হয়েছে। প্রত্যেক মাসে মহিলাদের ব্যাংক একাউন্টে চলে আসছে টাকা। কিন্তু একটি বিষয়ে জানতে হবে, আপনি যদি লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পেতে চান, তাহলে আপনাকে এই ভুল করলে চলবে না। কোন ভুলের কথা বলা হচ্ছে?আজকের প্রতিবেদনে সেই বিষয় উল্লেখ করা হলো।

WB Lakshmir Bhandar Scheme

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar) হলো একটি কল্যাণমুখী প্রকল্প। এই স্কিমের দ্বারা পশ্চিমবঙ্গের মহিলারা বেশ কয়েক বছর ধরে উপকৃত। সাম্প্রতিক ঘটনার পর থেকে প্রত্যেক মাসে মহিলাদের ব্যাংক একাউন্টে ১০০০ টাকা ও ১২০০ টাকা ক্রেডিট হয়। প্রত্যেক মাসে নিয়ম করে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা পাঠায় সরকার। তবে অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে যে তাঁরা আবেদন করেছেন ঠিকই কিন্তু টাকা তাঁদের একাউন্টে আসছে না। আর এই বিষয়টি নিয়ে মহিলারা ভীষণভাবে চিন্তিত। সমাধানের উপায় খুঁজছেন সবাই। তাই মহিলাদের জেনে নিতে হবে আপনারা এই ভুলটি করছেন না তো? কারণ এই ভুল করলে আপনার অ্যাকাউন্টেও টাকা ক্রেডিট হওয়া বন্ধ হয়ে যাবে।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রচলিত লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প এই রাজ্যের মহিলাদের অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদান করে। ২০২১ সালে প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্পটি চালু করেন। আর এই প্রকল্পটি চালু হওয়ার পর থেকে বহু মহিলা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের আওতায় পশ্চিমবঙ্গের অসংখ্য গৃহিণী মহিলারা মাসিক ভাতা পান।

যা তাদের দৈনন্দিন জীবনে সংসার খরচ চালানো ও সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে জেনারেল ক্যাটাগরি শ্রেণীর মহিলারা প্রতিমাসে পান ১০০০ টাকা করে ভাতা। আর তপশিলি জাতি, উপজাতি ক্যাটাগরিভুক্ত মহিলারা প্রতিমাসে ১২০০ টাকা ভাতা পেয়ে থাকেন। প্রতি মাসের নির্দিষ্ট একটি দিনে এই অর্থ সরাসরি তাদের অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে।

লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে টাকা আটকে যাচ্ছে কেন?

ইদানিং অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে যে, অনেক মহিলা লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আর এই সমস্যাটি কেন হচ্ছে তার কারণগুলির মধ্যে প্রধান হল আবেদন জানানো মহিলাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার কার্ড সংযুক্ত না থাকা। তাই পশ্চিমবঙ্গের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আবেদনরত যে সমস্ত মহিলারা তাঁদের ব্যাঙ্ক একাউন্টের সঙ্গে আধার কার্ড লিঙ্ক এখনো করেননি তাঁদের একাউন্টে এই প্রকল্পের টাকা জমা পড়ছে না বা মাঝপথে বাধা প্রাপ্ত হচ্ছে।

এর ফলে দেখা যাচ্ছে, অনেক মহিলা প্রত্যাশিত সহায়তা থেকে প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হচ্ছেন এবং সেই জন্য তাদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে যাতে অতিসত্বর ব্যাংকে গিয়ে ব্যাংক একাউন্টের সঙ্গে তাঁদূর আধার কার্ড লিঙ্ক করেন।‌ এছাড়াও অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে, আবেদনপত্র পূরণের সময় অনেকেই সঠিক তথ্য দেননি অথবা ডকুমেন্ট জমা দেননি। আর সেই কারণে অনেকের আবেদন কিন্তু বাতিল হয়ে যাচ্ছে। তাই আপনি যখন আবেদন করবেন তখন অবশ্যই সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে উল্লেখ করবেন। আর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলি ঠিকভাবে জমা দেবেন।

লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন পদ্ধতি

লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আবেদন জমা দিতে হয় সম্পূর্ণ অফলাইনে। কিভাবে আবেদন করবেন স্টেপ বাই স্টেপ জেনে নিন। ‌১) প্রথমে আপনাকে আপনার নিকটবর্তী দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য ফর্ম সংগ্রহ করতে হবে। ২) এরপর সেই আবেদন পত্রে নিজের সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য, এর সাথে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য এবং প্রয়োজনীয় তথ্য আপনি সঠিকভাবে লিখে আবেদনপত্রটি পূরণ করুন।

1000, 1200 অতীত! লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে টাকা বাড়ছে! প্রতিমাসে 2000 টাকা দেবে সরকার

এরপর ফর্মের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমস্ত ডকুমেন্ট – আধার কার্ড, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড, এছাড়াও,ব্যাংকের পাসবুকের জেরক্স, ফটো ইত্যাদি আপনাকে জমা করতে হবে। ৩) সব তথ্য এবং নথি জমা দেওয়া হয়ে গেলে আপনার আবেদন খতিয়ে দেখা হবে। আপনি যদি যোগ্য হন তাহলে আপনার ব্যাংক একাউন্টে চলে আসবে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের অর্থ।

Related Articles

Back to top button