Government Scheme: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ও কৃষক বন্ধু প্রকল্পের নিয়ম বদলে গেল। এবার কিভাবে টাকা পাবেন? নিয়ম না জানলে ভাতা বন্ধ
Lakshmir Bhandar and Krishak Bandhu Rule Change
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দুটি গুরুত্বপুর্ণ প্রকল্প (WB Government Scheme) হল লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar) ও কৃষক বন্ধু (Krishak Bandhu). বর্তমানে এই দুটি সরকারি প্রকল্পে উপভোক্তা সংখ্যা নিঃসন্দেহে উল্লেখযোগ্য। আর প্রকল্পগুলিতে আরও নাম নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। ইতিমধ্যে শোনা যাচ্ছে যে, রাজ্য সরকার এই দুটি প্রকল্পের নিয়মে বদল এনেছে। কি নিয়মে
বদল এল? আসুন জেনে নেওয়া যাক আজকের প্রতিবেদন থেকে।
WB Government Scheme Rule Change
রাজ্য সরকারের তরফে সরাসরি সুবিধাভোগীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয় বাংলার বিভিন্ন প্রকল্পের (Government Employees) টাকা। তবে এমন পরিস্থিতিতে ক্রমশ দিন দিন বাড়ছে চুরির ঘটনা। আর এমন ঘটনায় সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ থেকে সরকার। আর বর্তমানে এই পরিস্থিতিকে সামলে নিতে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিভিন্ন প্রকল্প যেমন, কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডার, আর কৃষকবন্ধু এমনকি রূপশ্রীর মতো বিভিন্ন সরকারী প্রকল্পগুলির প্রদত্ত তহবিল রক্ষার জন্য বর্তমানে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ করেছে।
বিশেষ করে কিছুদিন আগেই রাজ্য সরকারের তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পটির অর্থ নয়ছয় হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। যেখানে অর্থ অপব্যবহার সম্পর্কেও অভিযোগ উঠেছে। তাই এবার থেকে অন্যান্য প্রকল্পের দিকে বিশেষ নজর রেখেছে সরকার। আর এটি প্রশাসনের মধ্যেও জাগিয়েছে আশঙ্কা। আর সরকারের তরফে এই বিষয়গুলির তদন্তের জন্য অনুরোধ দাবি করা হয়েছে৷
এর জবাবে রাজ্য সরকার বর্তমানে তহবিলগুলি রক্ষা করার জন্য এবার থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের অর্থ বিভাগ নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে। যাতে এবার অন্তত সমস্ত সরকারি বিভাগ ডিবিটি স্কিমের জন্য ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সুরক্ষা নিয়মগুলি অনুসরণ করে। নিয়মগুলি নিশ্চিত করা হয় যে, উপভোক্তাদের অর্থ নিরাপদে স্থানান্তর করা হবে রাজ্য সরকারের অর্থের কোনও অপব্যবহার বা জালিয়াতি হওয়ার আর সম্ভাবনা থাকবে না।
স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে নতুন নিয়ম আনলো পশ্চিমবঙ্গ সরকার। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড চেক অনলাইন
সরকারি প্রকল্পের টাকা নিয়ে নতুন নিয়ম!
রাজ্য সরকারের নতুন নিয়মের অধীনে, RBI-এর ন্যাশনাল পেমেন্ট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া বা (NPCI) এর মাধ্যমে প্রত্যেকজন সুবিধাভোগীর বিবরণ যাচাই করা হবে। উপরন্তু, অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনের জন্য, কোনও কাগজপত্র থাকবে না। এবার থেকে সবকিছু ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রক্রিয়া করা হবে। আর যে সকল ব্যক্তিরা লিখিত ভাবে আবেদন জমা করবেন, তাঁদের জন্য এই অনুমোদন প্রক্রিয়া ট্র্যাক করা ও জড়িত সরকারি কর্মকর্তাদের সনাক্ত করা সহজ করার জন্য একটি পৃথক ওয়েবসাইটও তৈরি করা হবে।
এবার থেকে সকল সুবিধাভোগীদের তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর দুইবার নিবন্ধন করতে হবে। প্রথমবার নিবন্ধনের ক্ষেত্রে গোপনীয়তার জন্য মাস্ক করা হবে, এবং তারপর এটি যাচাইয়ের জন্য আবার করে রেজিস্ট্রেশন করা হবে। নতুন নিয়ম
অনুসারে বলা হচ্ছে যে, আবেদন কারীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণের প্রমাণও আপলোড করতে হবে।
লক্ষ্মীর ভান্ডারের সঙ্গে আরও 1000 টাকা দেবে সরকার। ঘোষণা করলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ব্যাঙ্কের পাসবুকের প্রথম পেজ বা বাতিল চেকের ছবি। অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং IFSC কোড নিশ্চিত করতেও সাহায্য করবে। বিভিন্ন অসঙ্গতি পরীক্ষা করা হবে। উক্ত গ্রাহকের ব্যাঙ্কের শাখা পশ্চিমবঙ্গে কিনা তাও পরীক্ষা করা হবে। আর যদি কোনও কারণে, স্থানান্তর সম্পূর্ণ না করা যায়, আর তাহলে অর্থ সরকারকে ফেরত দেওয়া হবে এবং সুবিধাভোগীকে অর্থপ্রদানের স্ট্যাটাস সম্পর্কে জানানো হবে এসএমএস-এর মাধ্যমে।