Krishak Bandhu 2024: কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আবেদন শুরু হল।অনলাইনে আবেদন পদ্ধতি জানুন স্টেপ বাই স্টেপ
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রকল্পগুলি বিগত কয়েক বছরে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। কৃষকদের জন্য ও তাঁদের অবস্থার উন্নতিকরণের স্বার্থে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কৃষক বন্ধু প্রকল্পের (Krishak Bandhu Scheme) সূচনা করে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্য সরকার সমাজের অন্নদাতাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় (Krishak Bandhu)।
তাঁরা যাতে ভালোভাবে জীবন যাপন করতে পারেন, তাঁদের জীবনে যেন আর্থিক প্রতিবন্ধকতা বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, তার জন্য কৃষক বন্ধু প্রকল্পটি ভীষণভাবে গুরুত্বপূর্ণ (Krishak Bandhu)। প্রত্যেক বছর এই প্রকল্পের নাম নথিভুক্ত করেন হাজার হাজার কৃষক (Krishak Bandhu)। চলতি বছরের জন্যেও শুরু হলো কৃষক বন্ধু (Krishak Bandhu) প্রকল্পের জন্য আবেদন গ্রহণ।
Krishak Bandhu Scheme Benifits 2024
পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের জন্য রাজ্য সরকার যে প্রকল্পের সূচনা করেছেন সেটি ‘কৃষক বন্ধু স্কিম’ (Krishak Bandhu Scheme)। বাংলার সমাজে যাদের এক একর বা তার বেশি জমি রয়েছে সেই সকল কৃষকরা কৃষক বন্ধু প্রকল্পের সুবিধা পান (Krishak Bandhu)। রাজ্য সরকারের তরফে কৃষকদের দেওয়া হয় ১০ হাজার টাকার আর্থিক সাহায্য। বিভিন্ন কিস্তিতে এই টাকা কৃষকদের ব্যাংক একাউন্টে পৌঁছে দেয় রাজ্য সরকার (Krishak Bandhu Scheme)।
এই প্রকল্পের আবেদন জমা করা যায় অনলাইনে অথবা অফলাইনে। 2024 সালের জন্য কৃষকরা যারা আবেদন জানাতে আগ্রহী, তাঁরা অবশ্যই এই প্রতিবেদন মন দিয়ে পড়ে নিন। কারণ, কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আবেদন শুরু হচ্ছে। কিভাবে আবেদন জানাবেন, কি কি ডকুমেন্ট লাগবে, আবেদন জমা করার কতদিন পর টাকা পাবেন, সমস্ত আপডেট রইল আজকের এই প্রতিবেদনে।
Krishak Bandhu Application 2024
আগে কৃষক বন্ধু (Krishak Bandhu) প্রকল্পের অ্যাপ্লিকেশন জমা করতে হলে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে যেতে হত। কিন্তু বর্তমানে অনলাইনে এপ্লিকেশন জমা করা যায়। আপনি বাড়িতে বসে খুব সহজেই স্মার্ট ফোন কিংবা ল্যাপটপের মাধ্যমে অ্যাপ্লিকেশন সাবমিট করতে পারবেন।
যেহেতু অনলাইনে আবেদন জমা চলছে, তাই আরও বেশি সংখ্যক কৃষক নিজেদের অ্যাপ্লিকেশন জমা করতে পারবেন। এখন প্রশ্ন হলো কিভাবে আবেদন জমা করবেন। খুব সহজ পদ্ধতিতে কয়েক মিনিটের মধ্যে কিভাবে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আবেদন জমা করা যায়, সেটাই আলোচনা করা হলো আজকের প্রতিবেদনে।
Krishak Bandhu Application Process 2024
- সবার প্রথমে আপনার স্মার্টফোন অথবা ল্যাপটপে ব্রাউজার ওপেন করে গুগলে সার্চ করুন ‘Krishak Bandhu’ লিখে।
- এরপর আপনি অফিসিয়াল ওয়েবসাইট পাবেন ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে।
- ওয়েবসাইটে ভিজিট করলে আপনি দেখতে পাবেন রেজিস্ট্রেশন ফর্ম। সেই অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে আপনাকে।
- এরপর যিনি আবেদন জমা করবেন, অর্থাৎ যার নামে অ্যাপ্লিকেশন হবে, তাঁর ভোটার কার্ডের নাম্বার দিয়ে সার্চ করতে হবে।
- তারপর মোবাইল নম্বর দিন। ‘Get OTP’ অপশনে ক্লিক করুন। আর তাহলেই আপনার মোবাইল নম্বরে একটি ওটিপি চলে আসবে। সেই ওটিপি বসিয়ে Confirm OTP অপশনে ক্লিক করতে হবে।
- এরপর প্রকল্পের আবেদনকারীর একটি ছবি আপলোড করুন।
- আবেদনকারী কৃষকের দ্বিতীয় কোন একটি মোবাইল নাম্বার দিন এবং ইমেল আইডি থাকলে সেটিও দিতে হবে।
- এরপর আবেদনকারী যদি পিএম কিষান প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করা থাকেন তবে ‘Self Declaration’ অপশনে ‘Yes’ অপশনে ক্লিক করতে হবে, যদি না করা থাকে ‘No’ অপশনে ক্লিক করতে হবে।
- এরপর দুয়ারে সরকার আইডি নম্বর অপশনে কিছু বসাবেন না। কিন্তু এরপরের ধাপে আবেদনকারীর আধার কার্ডের ছবি আপলোড করতে হবে।
- আধার কার্ডের নম্বর নির্দিষ্ট ঘরে বসাতে হবে।
- আবেদনকারী কৃষক এরপর ভোটার কার্ডের ছবি আপলোড করবেন।
- এর পরের ধাপে কৃষকের নামটি বড় হাতের ইংরেজি ক্যাপিটাল লেটারে লিখতে হবে। তারপর একে একে অন্যান্য তথ্যগুলি পূরণ করতে হবে।
- এরপর টাইপ অফ ফার্মার অপশনে কৃষক নিজের নামে জমি থাকলে ওনার অপশনে ক্লিক করুন, যদি বর্গাদার হন, তবে বর্গাদার অপশনে ক্লিক করুন, ও পাট্টা জমি হলে পাট্টাদার অপশনে ক্লিক করুন।
- এরপর কৃষক নিজের পাসবইয়ের পাতার ডকুমেন্ট সাবমিট করুন।
- এর পরের ধাপে কৃষকের যে ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট আছে সেই ব্যাংকের নাম, অ্যাকাউন্ট নাম্বার, আইএফএসসি কোড, ব্রাঞ্চের নাম ও একাউন্ট টাইপ বসান।
- এরপর আবেদনকারী কৃষক ত্রিশক্তির জমির তথ্য ল্যান ডিটেলহে বসান।
- আপনার জমিটি কোন জেলায়, কোন ব্লকে, অথবা কোন মৌজার অন্তর্গত রয়েছে তা নির্দিষ্ট ঘরে বসতে হবে।
- এরপর উল্লেখ করতে হবে সংশ্লিষ্ট জমিটির জেলা নাম্বার কত, খতিয়ান টাইপ, খতিয়ান নম্বর এবং জমির পরিমাণ কত সবটাই নির্দিষ্ট ঘরে বসাতে হবে এবং কৃষক নিজের জমির রেকর্ড আপলোড করবেন।
- তারপর সেল্ফ ডিক্লারেশন অপশনে ঠিক চিহ্ন দিন। যেকোনো একটি ডকুমেন্ট সিলেক্ট করুন। জমির সেই ডকুমেন্টটি আপলোড করুন।
- যদি আবেদনকারীর একাধিক মৌজায় আরো জমি থেকে থাকে তাহলে ‘অ্যাড ল্যান্ড ডিটেলস’ অপশনে ক্লিক করুন।
- একদম শেষ ধাপে সমস্ত কিছু ফর্ম ফিলাপ যখন কমপ্লিট, তখন নিচে দেখবেন একটি অপশন আছে ক্রিয়েট ফার্মার (Create Farmer)। সেই অপশনে ক্লিক করুন। আর তাহলেই আপনার আবেদন কমপ্লিট হয়ে যাবে।
আশা করা যায় কৃষকরা বুঝতে পেরেছেন। আর দেরি না করে চটপট অনলাইনে কৃষক বন্ধু স্কিমের অ্যাপ্লিকেশন সাবমিট করুন। আপনার আবেদন জমা পড়ে যাওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই ওয়েবসাইট থেকে প্রকল্পের স্ট্যাটাস চেক করে নিতে পারবেন। তার কিছুদিন পর আপনার আবেদন যদি যোগ্য হয় তবে সরকারি তরফে আপনার অ্যাকাউন্টে চলে আসবে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা।