কোলকাতার সেরা 10 টি দুর্গাপূজা কোথায় হচ্ছে? জানতে ক্লিক করুন।

সব জট কাটিয়ে দুর্গাপূজা এবারে জমজমাটি।

গত দুই বছরে শুধু দুর্গাপূজা নয়, সারা পৃথিবীই যেন থমকে গিয়েছিল। তবে ধীরে ধীরে সকল পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ার ফলে এবারের পূজা বেশ কাঁপাচ্ছে বাঙ্গালীদের। পূজা তো সারা বাংলা জুড়েই হয়, তবে কোলকাতার পুজাতে যেন আছে আলাদা এক রঙ। আসুন জেনে নি, কোলকাতার সেরা ১০ টি পূজা, যা দেখতেই ইতিমধ্যে ভিড় জমিয়েছে রাজ্যের প্রচুর মানুষ।

শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব, যা প্রতি বছর তার নতুন নতুন থিমের জন্য পরিচিত। এবারে তারা ঘোষণা করেছে যে, দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে পূজা প্যান্ডেলের থিম হচ্ছে রোমের ‘ভ্যাটিকান সিটি’। এই বছর, তারা কলকাতার বিধাননগরে অবস্থিত শ্রী ভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনও করছে। সুতরাং এবারে তাদের পূজা যে নজর কাড়বে, তা বলা বাহুল্য।

এরপরে যে প্যান্ডেলের নাম বলবো, তারা এবারে 81 তম বছরে পদার্পণ করল। দক্ষিণ কলকাতা পূজা কমিটি হিসেবে সিংহী পার্ক সার্বজনীন দুর্গাপূজা কমিটিকে এক ডাকে সবাই চেনে। আর এবারে তারা নারায়ণ দেবনাথ এবং তার দ্বারা সৃষ্ট কালজয়ী চরিত্রের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নারায়ণ দেবনাথের তৈরি কার্টুন স্ট্রিপ দিয়ে পুরো প্যান্ডেল সাজানো হয়েছে। তাই এবারে এই পূজা একেবারেই মিস করবেন না।

পরবর্তীতে আসি মানিকতলা চালতাবাগান লোহাপট্টি দুর্গাপুজোর কথায়। 1943 সালে যখন একটি অল্প বয়স্ক, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছেলে নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও কোলকাতায় মা দুর্গা বন্দনার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তিনি হলেন এই কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, শ্রী লক্ষী চাঁদ জয়সওয়াল, এখন 87 বছর বয়সী বৃদ্ধ। রাজা রাম মোহন রায় সরণি এলাকায় এই দুর্গাপূজা এখন উত্তর কলকাতার মানুষের জন্য এক উপহার, যা সেই ব্রিটিশ রাজত্বকাল থেকে চলে আসছে।

এবারে নজর দেবো দক্ষিণ কলকাতার দিকে। এখানের সবচেয়ে বড় দুর্গা পূজা প্যান্ডেলগুলির মধ্যে একটি হল যোধপুর পার্ক পূজা কমিটি। প্রতি বছরই তারা বিভিন্ন ধরণের নতুন থিম নিয়ে আসে। এই প্যান্ডেলে, আপনি সৃজনশীলতার সেরা উদাহরণ দেখতে পাবেন। ৯৫ এর পল্লি পূজাতে বাবুবাগানে গেলে দেখা যাবে ভারতের বিভিন্ন কয়েনের এক স্মৃতিপট। অবশ্যই দেখে আসুন।

এবারে বাগবাজার সার্বজনীন দুর্গাপূজা প্যান্ডেলের ইতিহাস জানবো যা এবারে ১০৪ তম বছরে পদার্পণ করল। প্রায় এক শতাব্দী ধরে বাঙালি সংস্কৃতির ইতিহাস ও অগ্রগতির অবিচ্ছেদ্য অংশ এই পূজা কমিটি। এবারের আকর্ষণ মায়ের বিশালকায় প্রতিমা। দুর্গাপূজা উপলক্ষে, কলকাতার বাগবাজার সর্বাধিক সংখ্যক লোককে আকর্ষণ করে প্রতি বছর।

আমরা এবারে নজর দেবো বাগুইআটির বন্ধু মহল ক্লাবটির দিকে যা সারা দেশে খুব বিখ্যাত। গত বছর, বাগুইআটির বন্ধু মহল ক্লাব পরিচালিত একটি প্যান্ডেলে দুর্গা প্রতিমাগুলিকে সোনায় ঝলমল করতে দেখা গিয়েছিল। যেখানে একটি প্রতিমা 10-11 গ্রাম সোনার চোখ দিয়ে স্থাপন করা হয়েছিল। এবারের থিম হল “ভাগাড়ের মা”। এবারেও যে নজর কাড়বে তা বলতেই হয়।

সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার হল কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় দুর্গা পূজা প্যান্ডেল। প্রতি বছর, ভিন্ন এবং অনন্য থিম সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারকে কলকাতার পূজা প্রেমীদের মধ্যে অন্যতম পছন্দের করে তোলে। অসামান্য শিল্পকর্মের কারণে এখানকার দুর্গাপূজা সবসময়েই বেশ খ্যাতি লাভ করে।

অবশেষে ইলেকট্রিক বিল কমাতে বিরাট সিদ্ধান্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের, পুজোর আগে বিরাট সুখবর।

1943 সাল থেকে চলতে থাকা দক্ষিণ কলকাতার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এই পূজা। একডালিয়া এভারগ্রিন ক্লাব রাজধানী কোলকাতা শহরের অন্যতম জনপ্রিয় একটি দুর্গাপূজা প্যান্ডেল। এই দুর্গাপূজা প্যান্ডেলটি সুন্দর আলোক সজ্জায় সুসজ্জিত এবং একডালিয়া এভারগ্রিন ক্লাব অন্য সকলের মধ্যে আলাদা। এখানের বিশালকায় ঝাড়বাতি সকলের নজর কাড়ে।

বাদামতলা আশার সংঘ দুর্গাপূজা কমিটি প্রতি বছর তাদের উদ্ভাবনী থিমের জন্য পরিচিত। প্যান্ডেলটি এমনকি 2010 সাল থেকেই সৃজনশীলতায় শ্রেষ্ঠত্ব পুরস্কার পেয়ে আসছে। এটি কলকাতার সবচেয়ে বেশি পরিদর্শন করা প্যান্ডেলগুলির মধ্যে একটি। প্রতি বছর প্রচুর দর্শকই এর সাক্ষী হয়ে থাকেন।

রেশন দোকানে মদ, সুরা প্রেমীদের সুখবর, পুজোর সময়, এবার রেশনে কম দামে মিলবে বিদেশী মদ।

হুগলীর শ্রীরামপুরে তৈরি হচ্ছে ১৩০ ফুট উচ্চতার টুইন্স টাওয়ার। এই একই থিমে প্যান্ডেল তৈরি হচ্ছে নদিয়ার কল্যাণীতেও। যদিও এই দুটি কমিটি কোলকাতার বাইরে তবে উল্লেখ করলাম কারণ এখানের থিম সাধারণের নজর কাড়ছে এখন থেকেই। একবার গিয়ে দেখে আসতেই পারেন।

অবশেষে যাদের কথা বলবো তারা হলেন সুরুচি সঙ্ঘ যা নিউ আলিপুরে। এই সঙ্ঘের প্রধান আকর্ষণ বহিরঙ্গন শিল্পসজ্জা। প্যান্ডেলটি 2003 সালে সেরা-সজ্জিত প্যান্ডেল হওয়ার জন্য একটি পুরস্কার জিতেছিল। প্রতি বছরই, তাদের থিম ভারতের একটি ভিন্ন রাজ্যের উপর ভিত্তি করে হয়ে থাকে। এবারের থিম হল, “পৃথিবী আবারর শান্ত হবে”। এমন আরও আপডেট পেতে আমাদের সাথে থাকুন। ধন্যবাদ। Written by Mukta Barai.

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button