Recharge Plans 2024: কমে যাচ্ছে সমস্ত রিচার্জ প্ল্যানের দাম। সস্তা হবে Jio, Airtel, VI, মোবাইলের খরচ অনেকটাই কমে গেল
বর্তমানে ভারতে মোবাইলের রিচার্জ প্ল্যানগুলির দাম (Recharge Plan) এতটাই বেড়ে গেছে যে সাধারণ মানুষের ঘুম উড়ে যাওয়ার জোগাড়। যে রিচার্জ প্ল্যানগুলি আগে ছিল সাধ্যের মধ্যে এখন যেন সেগুলি ছোঁয়া দুষ্কর হয়ে উঠেছে। সাধারণ মানুষের পক্ষে এত টাকা খরচ করে মোবাইলের রিচার্জ করা সম্ভব হয় না। আর তাই নামকরা টেলিকম সংস্থাগুলির জাঁকজমকপূর্ণ রিচার্জ প্ল্যান গুলি বর্জন করছেন আমজনতা। এমতাবস্তায়, গ্রাহক টানতে মোক্ষম সিদ্ধান্ত নিল ভারতবর্ষের টেলিকম সংস্থাগুলি। শোনা যাচ্ছে যে, এবার নাকি কমতে পারে সমস্ত রিচার্জ প্ল্যানগুলির দাম। তাহলে আর চিন্তা কিসের? এই ঘোষণা সকলের জন্যই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।
Mobile Recharge Plan 2024
চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে ভারতবর্ষের বিভিন্ন টেলিকম সংস্থা মোবাইল রিচার্জের দাম একলাফে বাড়িয়েছে। সব বেসরকারি টেলিকম কোম্পানিগুলির এই নয়া সিদ্ধান্ত আমজনতার চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই রিচার্জ প্ল্যানের (Recharge Plan) মূল্যবৃদ্ধি কিন্তু ভালোভাবে নেয়নি ভারতবর্ষের গ্রাহক। স্বাভাবিকভাবেই দেখা যায়, এই মূল্যবৃদ্ধি গ্রাহকদের অসন্তোষের কারণ হয়েছে। অনেকে এর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। জিও, এয়ারটেল ভোডাফোন আইডিয়া ছেড়ে সকলেই এখন ধীরে ধীরে আপন করে নিচ্ছেন বিএসএনএল কে।
আর তাই জন্যই দেশের প্রথম সারির টেলিকম সংস্থা গুলির গ্রাহক সংখ্যা যত দিন যাচ্ছে কমছে। তার বদলে গ্রাহক সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে বিএসএনএল -এর। অনেকে সরাসরি প্রথম সারির টেলিকম সংস্থাগুলি বর্জন করেছেন। সস্তার রিচার্জ প্ল্যান নেওয়ার জন্য বহু গ্রাহকের এখন প্রিয় হয়ে উঠেছে বিএসএনএল। গ্রাহকদের কথায়, বিএসএনএল সাধ্যের মধ্যে বহু রিচার্জ প্ল্যান চালু রেখেছে। এমনিতেই ভারতবর্ষের মূল্য বৃদ্ধির বাজারে মোবাইলের জন্য এত টাকা খরচ করা সম্ভব নয়। আর তাই জন্যই গ্রাহকদের প্রিয় হয়ে উঠেছে BSNL কর্তৃক চালু থাকা রিচার্জ প্ল্যান।
তবে শুধুমাত্র বিএসএনএল নয়, এখনো পর্যন্ত বহু গ্রাহক জিও এবং এয়ারটেলের ওপর ভরসা রেখেছে। তাঁদের বক্তব্য, অতিরিক্ত টাকা খরচ হচ্ছে ঠিকই কিন্তু ভালো পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে। তবে বাজার ধরে রাখতে জিও, এয়ারটেল, ভোডাফোন আইডিয়ার তরফে মাস্টারস্ট্রোক দেওয়া হল। শোনা যাচ্ছে, এবার কমতে পারে মোবাইল রিচার্জের দাম। সাম্প্রতিক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এবার রিচার্জের দাম খুব শীঘ্রই কমাতে পারে বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলি। আর মূলত আসন্ন এক সরকারি পদক্ষেপের উপর নির্ভর করে এই মূল্যহ্রাস হতে পারে। আর যদি সত্যি তাই হয়, তাহলে ভারতবর্ষের গ্রাহকের কাছে সেগুলি অবশ্যই খুশির খবর হতে চলেছে।
সত্যি কমে যাবে মোবাইলের রিচার্জ খরচ?
সূত্রের তরফে খবর, অতি সম্প্রতি দ্য সেলুলার অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (COAI) আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারকে টেলিকম অপারেটরদের উপর আরোপিত লাইসেন্স ফি কমানোর বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য আবেদন করেছে। আর এরপরই নতুন করে মোবাইল রিচার্জের ফি কমবে বলে ধারণা করছেন গ্রাহক। তবে সংশ্লিষ্ট বিষয়টি নিয়ে টেলিকম অপারেটররা দাবি করেছে, সরকার ও টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক আবার এই শিল্পের জন্য নতুন করে ভাবনাচিন্তা শুরু করুক।
একইসঙ্গে, সম্প্রতি ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেসে উঠে এসেছে এই বিষয়টি। যেখানে দেখা যাচ্ছে মোট রাজস্ব (এজিআর), এছাড়াও কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) অবদান, পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) ও কর্পোরেট কর দেওয়ার পর অর্থ বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে। আর এই আর্থিক চাপগুলি প্রধানত ভারতবর্ষের টেলিকম সংস্থাগুলিকে অন্যান্য খাতের তুলনায় অসুবিধায় ফেলছে। তাই সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে যাতে টেলিকম কোম্পানিগুলির ওপর চাপানো ফি কম করা হয়।
সিম কার্ড ছাড়াই ফোন চলবে। BSNL-এর মাস্টারস্ট্রোকে কুপোকাত জিও, এয়ারটেল
বর্তমানে, টেলিকম কোম্পানিগুলির লাইসেন্স ফি সাধারণত মোট রাজস্বের 8 শতাংশে নেওয়া হয়। আর এর মধ্যে 5 শতাংশ নেটওয়ার্ক বাধ্যবাধকতা চার্জকেও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। একই সঙ্গে বলা যায়, কোম্পানিগুলির লাইসেন্স ফির বর্তমান যৌক্তিকতা নিয়ে সাম্প্রতিক কালে মুখ খুলেছেন সিওএআই-এর ডিরেক্টর জেনারেল এসপি কোচার। তিনি বলেন, হাই লাইসেন্স ফি, বিশেষত আগের স্পেকট্রাম-সম্পর্কিত লজিক সরিয়ে দেওয়ার পর একেবারেই অযৌক্তিক। তাঁর মতে, এই ফি করা উচিত বর্তমান হারের সঙ্গে প্রশাসনিক ব্যয়ের সামঞ্জস্য রেখে। এখন দেখা যাক, সত্যি ভারতবর্ষে রিচার্জ প্ল্যানগুলির দাম কম হয় নাকি। আর কম হলেও কবে থেকে তা কার্যকর হয়।