Indian Currency – বাজার থেকে এক্কেবারে ভ্যানিশ 5 টাকার স্পেশাল কয়েন, এই কয়েন আপনার কাছে আছে?
ধীরে ধীরে বাজার থেকে ৫ টাকার কয়েন (Indian Currency) ভ্যানিশ। অনেক সময় বিভিন্ন কারণে দেশের সরকার নোট এবং কয়েনের বদল করে। কিন্তু এই পুরনো ৫ টাকার কয়েন যা বাজারে খুব ভালোই চালু ছিল, যার ফলে খুচরো সমস্যা তৈরি হচ্ছিল না প্রায়, যেকোনো মানুষ হাতে নিয়ে এক নিমেষেই উপলব্ধি করতে পারত যে হাতে ৫ টাকার কয়েন রয়েছে, এরকম একটা সুবিধা জনক আকৃতি হওয়ায় পুরনো ৫ টাকার কয়েন (Indian Currency Old 5 Rs Coin) যথেষ্ট প্রচলিত হয়ে গিয়েছিল।
Indian Currency Old 5 Rs Coin
কিন্তু হঠাৎ কেন ভ্যানিশ হয়ে গেল? এই ভ্যানিশ যে কেউ করেনি, রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (RBI) নয়া নীতিতে এই পুরনো ৫ টাকার কয়েন বাজার থেকে তুলে নিল (RBI Withdrawn Old 5Rs Coin) পুরনো ৫ টাকার কয়েনগুলি ওজনে বেশ ভারী ছিল। হাতে নিলে এক নিমেষেই বোঝা যেত। পাশাপাশি, যেকোনো বয়স্ক মানুষ বা যারা চোখে একটু কম দেখেন, তারাও হাতে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পারতেন যে তার হাতে যে কয়েনটি রয়েছে তা হল ৫ টাকার কয়েন।
ফলে এই সুবিধা দেশের মানুষের কাছে থাকা সত্ত্বেও আরবিআই কেন এই Indian Currency তথা পুরনো ভারী ধরনের ৫ টাকার কয়েনটি বাজার থেকে তুলে নিল? প্রায় রাতারাতি উধাও হতে শুরু করলো পুরনো ৫ টাকার কয়েন। এবার এর কারণ খোঁজ নিতে গিয়ে দেখা গেল এক বিরাট ঘটনা। কি সেই ঘটনা?
পুরনো ৫ টাকার কয়েনগুলি সোজা পাচার হয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশে। বেশ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পাচারকারীদের মাধ্যমে ভারত থেকে পুরনো এই ৫ টাকার কয়েনগুলি বস্তাবন্দী করে Indian Currency নাগাড়ে পাচার করে যাচ্ছিল বাংলাদেশ।
তাহলে এই পুরনো ৫ টাকার কয়েন দিয়ে বাংলাদেশে কি হতো? খোঁজ নিতেই দেখা গেল, সেখানে একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা ভারতের এই ৫ টাকার কয়েন গলিয়ে সেখান থেকে ব্লেড তৈরি (Blade) করত। যে ব্লেড দাড়ি কাটা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের কাজে নিয়মিত লাগে। কিন্তু এই ৫ টাকার কয়েন কেন? দেখা গেছে, এই ৫ টাকায় যে ধাতু রয়েছে সেই ধাতুকে রীতিমত গলিয়ে ৫ থেকে ৬টি ব্লেড তৈরি করা যেত। ফলে হিসাবে একটি ৫ টাকার কয়েন (Indian Currency) দিয়ে ব্লেড তৈরি করে ১০ থেকে ১২ টাকা উপার্জন করতে পারত।
কারণ ১ টি ব্লেডের দাম ২ টাকা দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। ফলে এই লাভ দেখেই অসাধু ব্যবসায়ীরা নাগাড়ে ভারত থেকে পুরনো ৫ টাকার কয়েন নিয়ে চলে যাচ্ছিল বাংলাদেশে। আর তাই RBI কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করে। বাজার থেকে পুরনো এই ৫ টাকার কয়েন তুলে নেওয়া শুরু করে। এখন বাজারে যে নতুন ৫ টাকার কয়েন দেখা যায়, সেটি যথেষ্ট হালকা। সোনালী রঙের প্রায় পাতলা ধরনের একটি Indian Currency বা ৫ টাকার কয়েন। অনেক সময় ১ টাকা বা ২ টাকার কয়েনের সঙ্গেও গুলিয়ে যায়। খুব সহজে বোঝা যায় না যে, এটি ৫ টাকার কয়েন।
সময়ের আগেই সেরে ফেলুন ব্যাংকের জরুরি কাজ, ব্যাংকে নয়া নিয়ম চালু।
অনেক বয়স্ক ব্যক্তি বাজারে বা গাড়িতে ভাড়া দিয়ে গিয়ে অনেক সময় এই ৫ টাকার কয়েন ১ টাকা বা ২ টাকার কয়েন ভেবে দিয়েও ফেলেছেন। কিন্তু কি আর করা যাবে? আর বি আই দেশের অর্থনীতির পক্ষে পুরনো ৫ টাকার কয়েন এইভাবে পাচার হয়ে যাওয়ায় যথেষ্ট ক্ষতি হতে পারে, সেই কারণেই তা তুলে নিয়ে নতুন এই ৫ টাকার কয়েন চালু করেছে।
সাধারণত যে কোনো মুদ্রার দুই ধরনের ভ্যালু (Indian Currency) থাকে। একটি সারফেস ভ্যালু এবং অপরটি মেটাল ভ্যালু। সারফেস ভ্যালুর অর্থ হল সেই মুদ্রায় যে সংখ্যা লেখা থাকে সেই অংকের টাকায় ধার্য করা হয়।
আধার কার্ড ও ব্যাংক একাউন্ট থাকলে মাসে 3000 টাকা দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার, আজই এইভাবে
আর মেটাল ভ্যালু হলো সেই মুদ্রায় (Indian Currency) যতখানি ধাতু রয়েছে, সেই ধাতুর বাজার দর সেই হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। ফলে পুরনো ৫ টাকার কয়েনে মেটাল ভ্যালু সারফেস ভ্যালুর থেকে অনেকগুণ বেশি ছিল। আর সেটাই ব্যবহার করছিল বাংলাদেশের একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা। আর সেই কারণেই বাজার থেকে এই কয়েন তুলে নেয় আর বি আই।
Written by Shatadal.