How to Grow Youtube Channel – শুধুমাত্র মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করার সহজ পদ্ধতিটা জেনে নিন
How to Grow Youtube Channel:
ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করুন, নিয়মিত ইউটিউবে আপলোড করুন, আর মাসের শেষে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করুন। এটাও যেমন সত্যি, ঠিক পাশাপাশি ইউটিউব চ্যানেল খোলার পরে একটি টাকাও আয় করতে পারেননি, এটাও তেমনি সত্যি। ফলে আগেই ঠিক করতে হবে, ইউটিউব চ্যানেল খুললেই দুদিন পর থেকেই হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ টাকা আপনার কাছে আসতে থাকবে, এমনটা নয়।
তবে হ্যাঁ, নিয়মিত নিজের পছন্দের বিষয়ের ওপরে ইউটিউব চ্যানেল (Earning from Youtube) করে ধারাবাহিকভাবে ভিডিও আপলোড করতে পারলে একটা সময় ইউটিউবার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবেন এবং আপনার ব্যাংক একাউন্টে ইউটিউব (How to Grow Youtube Channel) এর তরফে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ঢুকতে পারে। অনলাইনে ইনকামের কথা আসলেই এই মুহূর্তে প্রথমেই ইউটিউব চ্যানেল তৈরি (Online Income from Youtube) করার কথাই বলেন সকলে।
How to Grow Youtube Channel Tips 1:
কিন্তু ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করলেই হলো না, তাতে সফলতা পাওয়ার জন্য বেশ কিছু পদ্ধতি মেনে চলতে হয়। এবার কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল (How to Grow Youtube Channel) তৈরি করবেন, সেখানে কোন প্রক্রিয়ায় ভিডিও আপলোড করলে ভিউ বাড়বে এবং মাসে টাকা উপার্জন করতে পারবেন, সেই বিষয়ে একবার বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
এই মুহূর্তে Youtube চ্যানেল তৈরি করার জন্য হাতের Smartphone হলেই চলবে। ওই স্মার্টফোন থেকেই ইউটিউব চ্যানেল প্রফেশনাল ভাবে তৈরি করে ভিডিও আপলোড করতে পারবেন। এর জন্য একটি জিমেইল একাউন্ট থাকতে হবে। কিভাবে মোবাইল ফোন থেকে ইউটিউব চ্যানেলটি শুরু করবেন (How to Grow Youtube Channel by Mobile Phone)
নিজের পায়ে দাঁড়াতে হলে আজই শুরু করুন এই 5 টি ব্যবসা, জীবনে আর কোন চিন্তা থাকবে না।
কিভাবে শুরু করবেন?
প্রথমেই স্মার্ট ফোনে গিয়ে Youtube App খুলুন।
এবার যদি এই জিমেইল আইডি লগইন করা থাকে তাহলে আর সমস্যা নেই। আর তা না হলে জিমেইল আইডির সঙ্গে ইউটিউব অ্যাকাউন্ট অ্যাড করতে হবে।
চালু মোবাইল নম্বর দিতে হবে, যাতে OTP আসবে।
Your Channel আইকনে ক্লিক করে জিমেইল আইডি দিয়ে লগইন করতে হবে।
তারপর চ্যানেলের নাম, লোগো, ব্যানার তৈরি করে প্রস্তুত করতে হবে।
এরপর Save বাটনে ক্লিক করলেই চ্যানেল তৈরি হয়ে যাবে।
শুধু ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করলেই হবে না, তাতে নিয়মিত ধারাবাহিকভাবে ভিডিও আপলোড করতে হবে। এবার কিভাবে মোবাইল ফোন দিয়ে ভিডিও আপলোড করবেন দেখে নিন (How to Video Upload in Youtube)
মোবাইলে Youtube App খোলার পরে Upload Video অপশনে ক্লিক করুন।
ফোনের গ্যালারিতে থাকা যে ভিডিওটি আপলোড করবেন সেটিকে সিলেক্ট করুন।
এরপর 100 শব্দের মধ্যে একটি Title লিখতে হবে। পাশাপাশি Description লিখে নিতে হবে। এবার ওই ডেসক্রিপশন এর লিংক বিভিন্ন Social Media, Facebook, Twitter, Instagram- এ শেয়ার করতে পারেন।
এবার Upload Video তে ক্লিক করলেই ভিডিও আপলোড হতে থাকবে।
এবার সেই মূল প্রশ্ন, ভিডিও আপলোড করার পরে ইউটিউব (How to Grow Youtube Channel) থেকে কত টাকা আয় করতে পারবেন? এখানে একটা কথা বলে রাখা দরকার, ইউটিউব থেকে এই মুহূর্তে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছেন এরকম বহু ইউটিউবার রয়েছেন। ১ লাখ, ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত প্রতি মাসে আয় করছেন। আবার কেউ কেউ Youtube করার পরেও দীর্ঘদিন অতিক্রম করলেও এখনো পর্যন্ত টাকা আয় করতে পারেননি। ফলে ধারাবাহিকতা মেনে ভিডিও আপলোড করতে হবে।
আর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় একটি সময় নির্দিষ্ট করে নিতে হবে। সকাল, দুপুর, সন্ধ্যা বা রাত্রিবেলা, যে সময়টিকে ধার্য করবেন সেই সময়ে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করবেন। ভিডিও আপলোড করার আগে Shorts তৈরি করে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় পাবলিশ করতে পারেন। তাহলে ভিউ বাড়বে।
ইউটিউবের চ্যানেল Monetisation হওয়ার পরে যে Revenue আসবে Youtube Ad চলার পরে সেই রেভিনিউ Google Adsense Account-এ গিয়ে জমা হবে।
কত ভিউতে ইউটিউব কত টাকা দেয়?
এক্ষেত্রে বলে রাখা দরকার ১ হাজার ভিউতে ১০ হাজার টাকা, ২০ হাজার টাকা বা ১ লক্ষ টাকা, এরকম কোনো নির্ধারিত অংক ইউটিউব এর তরফে নির্দিষ্ট করে বলা নেই। কত টাকা পাবেন তা নির্ভর করবে আপনার ভিডিও কনটেন্ট এর উপরে। সাধারণত এই মুহূর্তে ১০০০ ভিউয়ের উপরে ১ থেকে ৪ ডলার দেওয়া হচ্ছে। আবার আবার ১ মিলিয়ন ভিউতে কখনো কখনো ১০০ থেকে ৫০০ ডলার পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে। সম্পূর্ণটাই ভিডিও কনটেন্ট এর উপর ভিত্তি করে।
কোন চ্যানেল বেশি জনপ্রিয়
তবে বর্তমানে টেক চ্যানেলগুলো (Tech Channel) সবচেয়ে বেশি টাকা পাচ্ছে বলেই জানা গিয়েছে।
ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার এর সংখ্যা বাড়লে টাকা পাওয়া যেতে পারে, এরকম একটা ধারণা অনেকের মধ্যে রয়েছে। তবে এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। Subscriber, ভিডিওতে Like করা, Comment করা, Share করলে টাকা পাওয়া যায়, এই ধরনের একটা প্রচলিত কথা ছড়িয়ে রয়েছে। জেনে নেওয়া দরকার, এই ধরনের কোনো নিয়ম Youtube এর তরফে নেই। অর্থাৎ লাইক, কমেন্ট, শেয়ার, সাবস্ক্রাইবার বাড়লে টাকা দেওয়া হবে এরকম কোনো নিয়ম নেই।
ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করার পর টাকা পেতে গেলে প্রথমেই চ্যানেলটি মনিটাইজেশন (How to Grow Youtube Channel) করতে হবে। আর মনিটাইজেশন করার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম তৈরি করা রয়েছে ইউটিউবে। এবার সেই নিয়ম সম্পূর্ণ হলে অ্যাডসেন্সের তরফে Adsense Pin আপনার ঠিকানায় পাঠানো হবে। সেই এডসেন্স পিন ভেরিফাই করার পরে ব্যাংক একাউন্টের নম্বর বসাতে পারবেন। তারপরে সেই ব্যাংক একাউন্টে প্রতি মাসের ২১ তারিখে ইউটিউবের তরফে টাকা পাঠানো হবে।
এবার youtube চ্যানেল মনিটাইজেশনের জন্য বেশ কিছু নিয়ম দেওয়া রয়েছে। সে ক্ষেত্রে ৩৬৫ দিন সময়সীমার মধ্যে ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার এবং ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম সম্পূর্ণ করতে হবে। তবেই মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। যখন এই নিয়ম পূর্ণ হবে তখন ইউটিউব আপনাকে মনিটাইজেশনের জন্য Apply Link দেবে। সেই লিংকে গিয়ে নাম, ঠিকানা, বয়স, যে একাউন্টে টাকা পেতে চান তার বিস্তারিত তথ্য, উল্লেখ করতে হবে।
Monetisation ছাড়াও ইউটিউব চ্যানেল তৈরি (How to Grow Youtube Channel) করে ইনকাম করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে Affiliate Marketing এর মাধ্যমে আয় করা যায়। এছাড়াও বিভিন্ন Product Reviews, এবং বিভিন্ন কোম্পানি বা সংস্থার বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করতে পারবেন।