Pest Control – ঘরের লাইট জ্বালালেই শ্যামা পোকার উপদ্রব? জেনে নিন শ্যামা পোকা তাড়ানোর উপায়।

বর্ষা যেতেই চারিদিকে শ্যামা পোকা (Syama Poka Green Leaf Hopper) সহ ঘাস ফড়িং জাতীয় বিভিন্ন পোকার উপদ্রব (Pest Control) হয়। আর শীত পুরোপুরি পড়ার আগ পর্যন্ত শ্যামা পোকার উপদ্রব চলতে থাকে। আর ঘরের লাইট জ্বালালেই সারা ঘরে ছেয়ে যায় এই পোকা। এই পোকা ক্ষতিকর না হলেও খাবার, ও বিছানায় ছটিয়ে পড়ে, যা খুবই বিরক্তকর।

Pest Control – শ্যামা পোকা তাড়ানোর উপায়

শুধু তাই নয়, ঘরে পোকা মশার উপদ্রব (Pest Control) কি বেশি? দরজা-জানলা খুললেই ঘরে হু হু করে ঢুকে পড়ছে এগুলি? বা আলো জ্বালালেই ঝাকে ঝাকে উড়ে আসছে পোকা? এসব সমস্যা নিশ্চয়ই আপনাকে ভোগ করতে হয়। মশা কামড়ানো ক্ষতিকারক। এমনকি, কিছু কিছু বিষাক্ত পোকাও ক্ষতি করতে পারে আমাদের। তাছাড়া এগুলি খাবার দাবারে পড়ে যাওয়ার ভয় তো থেকেই যায়। তাহলে এখন প্রশ্ন এই পোকা সমস্যা থেকে রেহাই কিভাবে পাওয়া যাবে।

আসলে পোকা মশা ইত্যাদির উপদ্রব (Pest Control) তো সকল ঘরেই রয়েছে। কিন্তু কোনো ঘরে এগুলি একটু বেশি দেখা যাবে। বিশেষত যাদের কোন সংকীর্ণ জায়গা অথবা জলাশয় বা জঙ্গলে এলাকার কাছাকাছি বাড়িঘর রয়েছে তাদের এই সমস্ত কিছুর অত্যাচার বেশি সহ্য করতে হয়। তবে শুধু এখানেই শেষ নয়। সামনে আসতে চলেছে দীপাবলি উৎসব।

Syama Poka (শ্যামা পোকা)

আর দীপাবলি মানে চতুর্দিকে আলোর বাহার থাকবে এটাই তো মানানসই। কিন্তু পোকার উপদ্রবে এসময়ে আলো জ্বালানোও দায় হয়ে পড়ে ঘরে। আলো জ্বালাতেই ভয় পায় মানুষ। কারণ ঝাকে ঝাকে উড়ে আসে বিভিন্ন রকমের পোকার দল। তবে চিন্তা নেই, এই সমস্যার মুশকিল আসান (Pest Control) চলে এসেছে আজকে। এই পোকা মশার উপদ্রব থেকে সহজে কিভাবে বাঁচা যাবে তা নিয়েই আজকের প্রতিবেদন। দেখে নিন বিস্তারিতভাবে।

পতঙ্গবীদ পাপাই ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, বিশেষত এই সময়টাতে প্রত্যেক বছরই নানারকম কীটপতঙ্গের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। যেমন আমরা সকলেই দেখি যে কালীপুজোর আগে ঘরে আলো জ্বালালেই ঝাকে ঝাকে উড়ে আসছে বিভিন্ন পোকা। এমনকি পোকার ভয়ে অনেকে আলো নিভিয়ে রেখে দেন। কিন্তু দীপাবলি হলো আলোর উৎসব। তাই এই সময় যদি ঘরে আলো না জ্বলে দেখতে ভালো লাগে কি?

শ্যামা পোকার উপদ্রব

শুধু দীপাবলি বলেই নয়, উৎসবের সময় ঘরদোর অন্ধকার ঘুটঘুটে হয়ে থাকলে মোটেই দেখতে ভালো লাগে না। উপরন্ত আলো নিভিয়ে দিয়েও যে এই সমস্যার সমাধান পুরোপুরি হয় তাও কিন্তু নয়। আলো জ্বালালেই আবারো ঝাকে ঝাকে এসে ঢুকে যায় সব পোকা। তাহলে কোনভাবেই কি এগুলি থেকে বাচার উপায় নেই। নিশ্চয়ই আছে, পতঙ্গবীদ পাপাই ভট্টাচার্য একেবারে ঘরোয়া এবং সহজ কিছু উপায়ের কথা (Pest Control) ব্যক্ত করেছেন এই পোকার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য।

ঘরের পোকামাকড় দূর করার সহজ উপায়

১. প্রথমেই কথা বলা যাক প্রাকৃতিক উপায় নিয়ে। নিম গাছের ডাল বা পাতা হল পোকা তাড়াতে অত্যন্ত কার্যকরী জিনিস। তবে শুধু পোকাই নয়, ঘরে যদি মশা বেশি হয়ে থাকে তার হাত থেকে রক্ষা পেতেও এটি মোক্ষম ওষুধ। যেকোনো আলোর সামনে যদি নিম ডাল অথবা কয়েকটি পাতা ঝুলিয়ে রাখেন তাহলে সেই গন্ধে পোকা অথবা মশা আর কিছুই সেখানে এসে জড়ো হবে না।

আরও পড়ুন, স্টেট ব্যাংক সকল গ্রাহকদের গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ পাঠাচ্ছে!! কি লেখা আছে জানুন।

২. নিম ডাল অথবা পাতা যদি না পান তবে নিম তেলও ব্যবহার করতে পারেন সমাধান হিসেবে। একটা বোতল বা কৌটো জাতীয় পাত্রে একটুখানি জল নিন। তাতে একটু নিম তেল ঢেলে দিন। এরপর সেই পাত্র থেকে একটি স্প্রে লাগিয়ে নিয়ে সেই মিশ্রণটি ছিটিয়ে দিন আলো ইত্যাদির গায়ে। এটি নিম ডাল বা পাতার সমানই কাজ করবে।

Syama Poka removal Remedies

৩. সাধারণত বিভিন্ন সুগন্ধি জিনিসের ঘ্রাণ পেলে পোকা মশা ইত্যাদি (Pest Control) আর সেদিকে যায় না। ঘর মোছার সময় বিভিন্ন সুগন্ধি তেল ব্যবহার করতে পারেন। জলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা মিশিয়ে নিন এই জিনিস। তারপর তা দিয়ে ঘর মুছে দেখুন। পোকা মশা এমনকি বিভিন্ন রোগ বহনকারী জীবাণুও অনেকটাই কম হবে ঘরে।

আরও পড়ুন, কমপক্ষে 2 বছরের পুরনো আধার কার্ড থাকলেই, বিরাট সুবিধা দিচ্ছে মোদী সরকার।

৪. সাধারণত আল্ট্রাভায়োলেট বা ইউ ভি লাইটের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয় পোকা, মশা ও অন্যান্য ইত্যাদি পতঙ্গ। বিভিন্ন ই-কমার্স ওয়েবসাইট এবং বাজারে নতুন ধরনের ইনসেক্ট কিলার পাওয়া যাচ্ছে। যেগুলি থেকে ইউভি-রে বের হয়। পতঙ্গের উপদ্রব বাড়িতে কমাতে (Pest Control) দারুন কাজে আসে এগুলি। যদিও এ সমস্ত জিনিস ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু ঝুঁকি রয়েছে।

বিশেষত এইসমস্ত ইনসেক্ট কিলার (Pest Control) বাড়ির ছোট সদস্যদের থেকে দূরে রাখতে হয়। তাই পতঙ্গবীদ পাপাই ভট্টাচার্য পরামর্শ দিয়েছেন আগে ঘরোয়া উপায় গুলি আগে পরীক্ষা করা দরকার। সেগুলিতে সুফল না পেলে তখনই এই ইনসেক্ট কিলার ব্যবহার করা উচিত।
Written by Nabadip Saha.

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button