E Shram Card – প্রতিমাসে 3000 টাকা পেতে এখনই বানিয়ে ফেলুন এই কার্ড। কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পে সবাই আবেদন যোগ্য।

কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক (E Shram Card) কর্মসূচি বা প্রকল্প এনে জনসাধারণের অর্থনৈতিক চাপ অনেকটাই কমানোর চেষ্টা করছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের উল্লেখযোগ্য স্কিমগুলো হলো কিষান যোজনা, উজ্জ্বলা যোজনা, আয়ুষ্মান ভারত যোজনা এমন আরও অনেক। তেমনি আরেকটি কেন্দ্রীয় সরকারের দুর্দান্ত লাভজনক স্কিম রয়েছে যেখানে আবেদন করলে প্রতিমাসে পাওয়া যাবে ৩ হাজার টাকা। এতে দরিদ্র ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষদের পকেটের চাপ অনেকটাই কমেছে। জেনে নেওয়া যাক এই নতুন স্কিম সমন্ধে।

Get Instant 3000 rs Monthly on E Shram Card Scheme

  • কার্ডের বিবরণ
  • আবেদন যোগ্য
  • কার্ডের সুবিধা
  • প্রয়োজনীয় নথি
  • আবেদন পদ্ধতি

কার্ডের বিবরণ

কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন চালু হওয়া এই কার্ডটির নাম ই শ্রম কার্ড তথা E Shram Card. এই কার্ড চালু করার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল খেটে খাওয়া মানুষদের যাদের কোনো স্থায়ী ইনকাম নেই। বৃদ্ধ বয়সে টাকা রোজগারের অসুবিধা হবে কারণ তাদের কোনো পেনশন নেই।

এই E Shram Card বা ই শ্রম কার্ড করলে প্রতিমাসে ৩০০০ টাকা করে জমলে তারা বার্ধক্য সময় একটু ভালোভাবে বাঁচতে পারবে এছাড়া কেউ যদি ছোট ব্যাবসা করতে চান এই টাকা জমিয়ে মূলধন হিসাবে কাজে লাগাতে পারে। এখনো পর্যন্ত দেশের ২ কোটি জনগণ এই কার্ডের মাধ্যমে সুবিধা পাচ্ছেন। আগামীতে এই সংখ্যা আরো বাড়ানোর জন্য পরিকল্পনা সরকারের।

আবেদন যোগ্য

  • এই E Shram Card বা ই শ্রম কার্ড স্কিমে আবেদনের জন্য আবেদনকারীকে অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, অথবা ভাগ চাষী এই ধরনের ফিল্ডের সঙ্গে কাজে যুক্ত থাকতে হবে।
  • কোনো স্থায়ী জব করলে তিনি এই স্কিমে আবেদন করতে পারবেননা।
  • আবেদনকারীর মাসিক ইনকাম তুলনামূলক কম হতে হবে।
  • এই E Shram Card বা ই শ্রম কার্ড প্রকল্পে আবেদনের জন্য আবেদনকারীর বয়স অন্ততপক্ষে ১৬ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৫৯ বছর পর্যন্ত হতে হবে।
  • যে সকল ভারতীয় নাগরিক নিয়মিত আয়কর জমা দেন, তারা এই স্কিমে আবেদন করতে পারবেন না।
  • এছাড়া আবেদনকারী যদি EPFO, ESIC মেম্বার হন তাহলেও এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।

কার্ডের সুবিধা

  • এই E Shram Card বা ই শ্রম কার্ডে আবেদন করলে সেই ব্যক্তি ৬০ বছর পূর্ণ হওয়ার পরে প্রত্যেক মাসে ৩০০০ টাকার পেনশন পেয়ে যাবেন।
  • এই প্রকল্পে ই শ্রম কার্ডের মালিকেরা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সুবিধা পেয়ে যান। তাদের আলাদা করে আবেদন করতে হয়না।
  • E Shram Card বা ই শ্রম কার্ডের জন্য পুরুষ ও মহিলা উভয় আবেদন করতে পারবেন।
  • যদি মহিলা গর্ভবতী হন, তিনি কাজ করার উপযুক্ত না হন তাহলে সরকার সেই পরিবারকেও টাকা দেবেন ।

স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের ব্যালেন্স চেক করুন ঘরে বসে খুব সহজেই নিজের মোবাইলের মাধ্যমে।

  • আপনার সন্তানের পড়াশুনার জন্য আর্থিক সহায়তা পেয়ে যাবেন। এছাড়া আপনার নাম এই কার্ডের তরফে প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনায় নথিভূক্ত হয়ে যাবে।
  • যেখানে একজন E Shram Card বা ই শ্রম কার্ড এর মালিক দুর্ঘটনাগ্রস্ত হলে সরকারের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য পান।
  • এই E Shram Card বা ই শ্রম কার্ড প্রকল্পের নাম থাকার কোন ব্যক্তি যদি হঠাৎ প্রাণ হারান, সম্পূর্ণভাবে বিকলাঙ্গ হয়ে যান, তবে সেই পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। আর যদি ব্যক্তি আহত হন তাহলে ১ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
Lakshmir Bhandar বা লক্ষ্মীর ভান্ডার

প্রয়োজনীয় নথি

  • আধার কার্ড,
  • প্যান কার্ড,
  • ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিবরণ,
  • মোবাইল নম্বর
  • রঙিন পাসপোর্ট সাইজ ছবি,

আবেদন পদ্ধতি

  • অনলাইনে আবেদনের জন্য প্রথমে এই প্রকল্পের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট গিয়ে নিউ রেজিস্ট্রেশন অপশনে ক্লিক করুন।
  • এরপর ‘রেজিস্ট্রেশন ই-লেবার’ অপশনে ক্লিক করতে হবে ও নিজের আধার যুক্ত মোবাইল নম্বরটি লিখতে হবে।

কৃষকবন্ধুরা টাকা পাবেন না। পিএম কিষান যোজনার 17 তম কিস্তির টাকা পেতে এই কাজ করুন।

  • এরপর সেন্ডওটিপি অপশনে ক্লিক করুন।
  • এরপর আপনি স্ক্রিনে আবেদন পত্র দেখতে পাবেন। আবেদন ফর্মটি সঠিক ভাবে পূরণ করুন।
  • ডকুমেন্ট আপলোড করুন। এরপর সাবমিট করুন।
  • তাহলেই ই শ্রম কার্ডের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

যদি আপনিও বৃদ্ধ বয়সে বাড়িতে বসে পেনশনের সুবিধা পেতে চান বা অন্যের সাজাজ্য ছাড়াই বাঁচতে চান তাহলে এই E Shram Card বা ই শ্রম কার্ড তাহলে আবেদন করিয়ে নিন। এই ধরনের আর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদের পেজটি ফলো করুন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button