পুজোর আগে ৮০ হাজার টাকা দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। Business Loan নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিরাট ঘোষণা।

শুরু হয়ে গিয়েছে পূজোর কাউন্টডাউন। আর এই সময়ে Business Loan নিয়ে যেকোনো ব্যবসা করলে লাভের সম্ভাবনা খুবই বেশি। আর পূজোর মরসুম মানেই জামাকাপড় কেনাকাটা থেকে শুরু করে হরেক রকমের নিত্য নতুন জিনিস বাড়িতে নিয়ে আসা। সারা বছর চূড়ান্ত ব্যস্ততার মধ্যেও প্রত্যেকেই অপেক্ষায় থাকেন কবে আসবে দুর্গাপুজো।

Advertisement

এই শারদীয় দুর্গোৎসবের সময় সমস্ত ক্ষেত্রে যে পরিমাণ ব্যবসা (Business Loan) হয়ে থাকে, তা সার্বিকভাবে রাজ্য তথা দেশের আর্থিক পরিস্থিতিকে বহুগুণ উন্নত করে তোলে। আর এই সময়টাতেই ছোট ছোট ব্যবসায়ী, হকার থেকে শুরু করে দোকানদাররা, প্রত্যেকেই একটা ভালো পরিমাণ ব্যবসা করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকেন। আর সেই দিকে নজর দিয়ে যাতে ছোট ছোট ব্যবসায়ী বা হকাররা দুর্গাপূজার এই মরশুমে ভালোভাবে ব্যবসা করতে পারেন, তাই তাদের আর্থিক সহায়তার কথা চিন্তা করেছে রাজ্য সরকার (State Government New Project for Hawker Business Loan) হকারদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের তরফে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

Business Loan for West Bengal Hwaker

পুজোর মরশুমে শপিংমল থেকে শুরু করে বৃহৎ মাপের দোকানগুলিতে কেনাকাটা শুরু হলেও এখনো পর্যন্ত হকারদের নিয়ন্ত্রিত বাজারে ভিড় জমতে থাকে। একটা ভালো পরিমাণ ব্যবসা করেন হকাররা। কিন্তু দেখা যায়, টাকার অভাবে ব্যবসার পরিধি বাড়াতে পারেন না। আর সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত পুরসভা এলাকার ( Business Loan for Municipality Areas Hawker) হকারদের ৮০ হাজার টাকা করে ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Ads

ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় এলাকায় মোট ৭৫ হাজার ২৭২ টি আবেদন জমা পড়েছে। তার মধ্যে ৪৬ হাজার ৫৬৯ টি আবেদন ঋণ দেওয়ার জন্য অনুমোদিত হয়েছে। এর পাশাপাশি ৩৫ হাজার ৩৩৮ জন হকার ইতিমধ্যে ঋণ পেয়েও গিয়েছেন। বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হকারদের জন্য এই ঋণের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। মূলত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলি থেকেই Business Loan দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে বেসরকারি ব্যাংকের থেকেও যাতে ঋণ পাওয়া যায় সেই কারণে রাজ্য সরকারের তরফে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

Advertisement
West Bengal Krishak bondhu scheme (বাংলার নতুন প্রকল্প কৃষক বন্ধু)

সমস্ত পুরসভার এলাকার হকাররা এই ঋণ নিয়ে ব্যবসা করতে পারবেন। তবে কোনো গ্রামীন এলাকার কোনো ব্যক্তি যদি পুরসভায় এলাকায় হকারি করেন, তবে তিনিও এই ৮০ হাজার টাকা ঋণের সুবিধা পাবেন।
এই ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে যে পদ্ধতি নেওয়া হয়েছে, সেটি হল পুরসভা এলাকার হকারদের প্রথম দফায় দেওয়া হচ্ছে ১০০০০ টাকা।

Advertisement

How to get Business Loan

সেই টাকা সংশ্লিষ্ট হকার শোধ করলে দ্বিতীয় দফায় পাবেন ২০ হাজার টাকা।
দ্বিতীয় দফার টাকা শোধ হলে সেই হকার আরো ৫০ হাজার টাকা ঋণ পাবেন।
এই ঋণ পরিশোধের মেয়াদ সর্বোচ্চ এক বছর।
ব‍্যাঙ্কের নির্ধারিত সুদের হারের ওপর ৭ শতাংশ ছাড় পাবেন হকাররা।
এখনো পর্যন্ত যারা আবেদন করেননি সেই সমস্ত হকাররা সংশ্লিষ্ট পুরসভায় গিয়ে আবেদন করতে পারবেন।

Ads

আরও পড়ুন, রেশন দোকানে জমা দিতে হবে রেশন কার্ড। আগে নিয়ম কানুন জেনে নিন।

এপর্যন্ত জানা গিয়েছে, ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে বর্ধমান পুরসভার পারফরম্যান্স সবথেকে ভালো। তারপরেই রয়েছে ব্যারাকপুর মহকুমার একাধিক পুরসভা। হকারদের ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়ার জন্য প্রত্যেকটি পুরসভায় একজন করে নোডাল অফিসার রয়েছেন। এখনো পর্যন্ত সার্বিক ব্যবসা-বাণিজ্যের একটা বড় অংশ হকারদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

আরও পড়ুন, বাড়িতে বসেই টাকা ইনকাম করার সেরা 4টি উপায়,

যারা তুলনায় বড় ব্যবসায়ী, তাদের নির্দিষ্ট দোকান ঘর বা ব্যবসার বৃহৎ জায়গা রয়েছে। সেই জায়গায় তাদের ঋণ পেতে কোনো অসুবিধা হয় না। কিন্তু হকাররা ঋণের সুযোগ সেই অর্থে পান না। তাই রাজ্য সরকারের তরফে এই পদক্ষেপের ফলে হকাররা যথেষ্ট উপকৃত হবেন।

সুখবর বাংলা

Leave a Comment

Advertisement