Holidays – আবারও টানা 7 দিন ভোট উপলক্ষ্যে সমস্ত কর্মক্ষেত্র বন্ধ থাকবে। রাজ্য সরকারের বড় ঘোষণা।
আর কিছুদিনের অপেক্ষা আর তারপরেই লোকসভা (Holidays) নির্বাচনের প্রহর গোনা শুরু। চারিদিকে বিভিন্ন দলের মিটিং, মিছিল ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী ১৯ মে থেকে বাংলার ভোট পর্ব শুরু হতে চলেছে। এই ভোট চলবে ১ লা জুন পর্যন্ত। ভোটের রেজাল্ট গণনা হবে ৪ ঠা জুন। এটি ১৮ তম লোকসভা নির্বাচন। বাংলায় মোট ৪২ টি আসন রয়েছে যেগুলো ৭ দফায় ভাগ করে ভোটগ্রহণ চলবে।
Holidays Declearer for Lok Sabha Election in 2024
ভোট পর্ব চলাকালীন রাজ্য সরকার ছুটি তথা Holidays ঘোষণা করলেন। গত বৃহস্পতিবার একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এই Holidays বা ছুটি ঘোষণা করেন। ৭ দফা ভোট চলাকালীন যে কেন্দ্রে যেদিন ভোট থাকবে সেইদিন সেখানকার সমস্ত সরকারি অফিস, স্কুল, কলেজ থেকে শুরু করে বেসরকারি অফিস ছুটি দেওয়ার নির্দেশ দেন রাজ্য সরকার।
এছাড়া চা বাগানের কর্মী থেকে শুরু করে বিভিন্ন কারখানার কর্মীরাও ছুটি বা Holidays পাবে। সমস্ত বাজার, দোকান সেইদিনগুলোতে বন্ধ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য সরকার। এমনকি যদি কোনো জায়গায় উপনির্বাচন হয় তাহলেও সংশ্লিষ্ট এলাকায় ছুটি দিতে হবে।
যদি কোনো ব্যক্তি অন্য কেন্দ্রে কাজের জন্য গিয়ে থাকে তাহলেও সেই ব্যক্তির ভোটের দিন Holidays বা ছুটি দিতে হবে। উদাহরণ স্বরূপ- কোনও ভোটার যদি উত্তর প্রদেশের বারাণসীর বাসিন্দা হন এবং কর্মসূত্রে কেরালায় থাকেন, সে ক্ষেত্রে বারাণসীর নির্বাচনের দিন (১ জুন) তাকে কেরালার সংস্থা সবেতন ছুটি দিতে বাধ্য।
আবার মেদিনীপুরের কোনও বাসিন্দা যদি কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকেন তবে মেদিনীপুরের ভোটের দিন (২৫ মে) কলকাতার কর্মক্ষেত্র থেকে ছুটি দিতে বাধ্য। এই ছুটির জন্য কোনো রকম বেতন কাটা যাবেনা জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার।
এই Holidays বা ছুটি দেওয়ার কারণ বলতে গেলে যাতে প্রত্যেক ব্যক্তি শান্তিপুর্ন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে তারজন্য ছুটি দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে এই ছুটিকে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপালের অনুমতিক্রমে ‘সাধারণ ছুটি’ বলে উল্লখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, প্রত্যেক ভোটার নিজের কেন্দ্রের ভোটের দিন সবেতন Holidays বা ছুটি পান। ১৯৫১ সালের রেপ্রেজেন্টেশন অফ দ্য পিপলস অ্যাক্ট অনুযায়ী, ভোটের দিন নির্দিষ্ট কেন্দ্রের প্রত্যেক ভোটার তার কর্মস্থল থেকে ছুটি পাবেন।
এই অ্যাক্টের ১৩৫বি ধারা অনুযায়ী, সবেতন ছুটি ধার্য করতে হবে লোকসভা কেন্দ্রের ভোটারদের জন্য। সরকারি, বেসরকারি, আধা সরকারি এবং সমস্ত প্রকারের অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মচারীদের ক্ষেত্রে এই সবেতন ছুটি বাধ্যতামূলক।
স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের ব্যালেন্স চেক করুন ঘরে বসে খুব সহজেই নিজের মোবাইলের মাধ্যমে।
এমনকী, ১৯৫১ সালের রেপ্রেজেন্টেশন অফ দ্য পিপলস অ্যাক্ট এও জানাচ্ছে, যদি কোনও সংস্থার তরফে ভোটারদের ছুটি না দেওয়া হয়, সে ক্ষেত্রে কর্তপক্ষকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত ফাইন দিতে হতে পারে। পাশাপাশি কেবলমাত্র লোকসভা নির্বাচন নয়, একইসময় অনুষ্ঠিত হতে চলা উপনির্বাচন এবং একাধিক রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য।
এবারের লোকসভা নির্বাচনের কোন দিন কোন কেন্দ্রে ভোট রয়েছে সেই তালিকা একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক।
- ১৯ এপ্রিল – জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে
- ২৬ এপ্রিল – দার্জিলিং, রায়গঞ্জ, বালুরঘাট
- ৭ মে – মালদহ উত্তর, মালদহ দক্ষিণ, জঙ্গিপুর, মুর্শিদাবাদ
- ১৩ মে – বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর, আসানসোল, বোলপুর, বীরভূম
- ২০ মে – বনগাঁ, ব্যারাকপুর, হাওড়া, শ্রীরামপুর, হুগলি, উলুবেড়িয়া, আরামবাগ
- ২৫ মে – তমলক, কাঁথি, ঝাড়গ্রাম, ঘাটাল, মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর
- ১ জুন – দমদম, বারাসত, বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার, যাদবপুর, কলকাতা দক্ষিণ, কলকাতা উত্তর
পশ্চিমবঙ্গের স্কুলে ছুটির নিয়ম বদল। ইচ্ছে মত ছুটি নিতে পারবে শিক্ষকরা।
আপনিও আপনার অফিসে আপনার কেন্দ্রের ভোটের দিন Holidays বা ছুটি পেয়ে যাবেন তাই নির্বিঘ্নে সকাল সকাল ভোট পর্ব সেরে ফেলতেই পারেন। নির্বাচন সংক্রান্ত অন্যান্য খবরের আপডেট পেতে এই পেজ ফলো করুন।