পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন সংশয়, অর্থ দপ্তরের জরুরী নির্দেশ।
রাজ্য সরকারি কর্মী হোক বা হোক কেন্দ্র সরকারি, বেতন-পেনশন সংক্রান্ত যে কোন কাজ করা উচিত নির্দেশ মেনেই। সরকারি নির্দেশ মতো না এগোলে বেশ সমস্যার সম্মুখীন হবার সম্ভাবনা থেকেই যায়। তাই আর কাল বিলম্ব না করে সরকারি নির্দেশে কি বলা হয়েছে, তা জেনে নিন। আর খুব দ্রুত নিজের মোবাইল থেকেই সেরে ফেলুন এই কাজ। বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
অতি দ্রুত সরকারি কর্মীদের বেতন-পেনশন সংক্রান্ত আপডেট করার নির্দেশ অর্থ দপ্তরের।
প্রতি মাসে যাতে বিনা বাধায় পেনশন (Pension) আসে তা নিশ্চিত করতে লাইফ সার্টিফিকেট (Life Certificate) গুরুত্বপূর্ণ। সময়ের মধ্যে জমা দেওয়া না হলে পেনশন বন্ধ হয়ে যায়। বেশিরভাগ অবসর প্রাপ্ত ব্যক্তির কাছে পেনশনই আয়ের একমাত্র উৎস।
অনেকের বয়সের কারণে জীবন শংসাপত্র পেতে শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকায় অসুবিধা হতে পারে। তাঁদের কথা মাথায় রেখে কেন্দ্র ডিজিটাল জীবন শংসাপত্র তথা Digital Life Certificate তৈরি করেছে। এই শংসাপত্র অনির্দিষ্টকালের জন্য বৈধ নয়। মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে অবশ্যই পুনর্নবীকরণ করা উচিত।
সরকারি কর্মীরা সঠিক সময়ে মাসিক পেনশন পেতে চাইলে আগামী 30 শে নভেম্বরের মধ্যেই সেরে ফেলতে হবে এই কাজ। শুনতে খারাপ লাগলেও সময়ের মধ্যে এই কাজ না সারলে দৈনন্দিন জীবনে আসতে পারে বেশ খারাপ সময়। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য আজকের এই আপডেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আসুন সবিস্তারে পুরোটা জেনে নেওয়া যাক।
ডেডলাইন হল আগামী 30.11.2022. তাই হাতে আর বেশি সময় নেই। সরকারি কর্মীদের জমা দিতে হবে অ্যানুয়াল লাইফ সার্টিফিকেট। যাদের বয়স গত পয়লা অক্টোবর থেকে 80 তথা Eighty পেরিয়ে গেছে, সেই সকল পেনশনভোগী কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্যই এই নিয়ম চালু হয়েছে। আর যাদের বয়স এর থেকে কম তাদের এই কাজ করতে হবে পয়লা নভেম্বর থেকেই।
সরকারি কর্মীরা কোথায় জমা করবেন?
উভয় ক্ষেত্রেই সময়সীমা শেষ হবে আগামী 30 শে নভেম্বর, 2022. এই কাজ পেনশনভগী সরকারি কর্মীদের করতে হবে স্থানীয় পোস্ট অফিস অথবা কোন ব্যাংকের মাধ্যমে। তবে ঘরে বসেও নিজের মোবাইল থেকেই ডোরস্টেপ ব্যাংকিং বা অনলাইন পদ্ধতিতেও সেরে ফেলা যাবে এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি।
কীভাবে জীবন শংসাপত্র জমা দেবেন?
জীবন প্রমাণ সংক্রান্ত ওয়েবসাইট https://jeevanpramaan.gov.in/ বা অ্যাপের মাধ্যমে ইলেকট্রনিকভাবে জীবন শংসাপত্র জমা দেওয়া যেতে পারে। পেনশনভোগী তাঁর নাম, মোবাইল নম্বর, আধার নম্বর এবং অন্যান্য পেনশন সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে বাড়ি থেকেই ডিজিটাল পদ্ধতিতে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে পারেন। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে এই কাজ করা হয়।
একাধিক ব্যাংকে একাউন্ট থাকলে RBI এর এই নিয়ম মানুন, নইলে সব টাকা জলে যাবে।
যদি প্রক্রিয়াটি খুব জটিল মনে হয়, অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা পেনশন বিতরণকারী ব্যাঙ্কে যেতে পারেন। সেখানে একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে। জীবন শংসাপত্র জমা দেওয়ার আরেকটি পদ্ধতি হল ডোরস্টেপ ব্যাঙ্কিং। একজন পোস্টম্যান বা স্বীকৃত কর্মকর্তাও অবসরপ্রাপ্তদের এই প্রক্রিয়ায় সাহায্য করতে পারেন।
এনআরআই অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা যদি জীবন শংসাপত্র গ্রহণের জন্য শারীরিকভাবে ভারতে আসতে না পারেন, তবে শংসাপত্রটি ব্যাঙ্ক অফিসার, নোটারি, ম্যাজিস্ট্রেট বা ভারতীয় কূটনৈতিক এজেন্টের মতো আধিকারিকদের মাধ্যমে করা যেতে পারে। যদি একজন এনআরআই পেনশনভোগী ভারতীয় দূতাবাস বা কনস্যুলেটে যেতে অক্ষম হন, তাহলে সেই বিষয়ে চিকিৎসকের শংসাপত্র সহ জীবন শংসাপত্র এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক নথি কর্তৃপক্ষকে ই-মেলের মাধ্যমে পাঠাতে পারেন।
DA বকেয়া থাকলেও সরকারি কর্মীদের নতুন ভাতা যোগ করে বেতন বৃদ্ধি করলো সরকার, ঝড়ের গতিতে বাড়বে বেতন।
লাইফ সার্টফিকেট পেনশনভোগীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি। তার ইহ জগতের অস্তিত্বের প্রমাণ এই নথি। লাইফ সার্টফিকেট অনুমোদিত পেনশন ডিস্ট্রিবিউটার বা যেকনো ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিসে এই নথি দেখাতে হয়। পাশাপাশি এর মাধ্যমে মৃত্যুর পর কর্মক্ষেত্র থেকে পেনশন হিসেবে তিনি আর কোনও টাকা পাবেন না এটাও নিশ্চিত করা হয়। সরকারি কর্মীদের সাধারণত বছরে একবার এই কাজ করার প্রয়োজন হয়।
এমন আরও গুরুত্বপুর্ণ আপডেট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট দেখতে থাকুন। এছাড়াও নানা ধরণের আর্থিক বিনিয়োগ, সরকারি এবং বেসরকারি ক্ষেত্রের নানা খবর, পড়া শোনা সংক্রান্ত স্কলারশিপ, ব্যবসার আইডিয়া ছাড়াও আরও প্রয়োজনীয় বিষয়গুলি জানতে দেখতে থাকুন আমাদের প্রতিবেদন। আপনার কিছু জানার থাকলে অবশ্যই লিখুন কমেন্ট বক্সে। ধন্যবাদ।
Written by Mukta Barai.