G20 Summit – বৈঠক থেকে চীনের পাঁজর ভেঙ্গে দিলেন মোদী আর বাইডেন। ভারত আমেরিকার গোপন চুক্তিতে ভাতে মরবে চিন।
চলতি মাসের গত ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে শুরু হয়েছিল G20 Summit এর শীর্ষ সম্মেলন। বিশ্বের ১৫ টিরও বেশি দেশ থেকে সাংগঠনিক নেতা ও সদস্যরা অংশগ্রহণ করেছিলেন এই বৈঠকে। যার মধ্যে ছিল আমেরিকা, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপীয় দেশগুলি এবং আমাদের দেশও। গতকাল অর্থাৎ ১০ ই সেপ্টেম্বর শেষ হয় এই শীর্ষ সম্মেলন। আর গতকালকের এই G20 Summit সম্মেলনে এক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকল সকলে।
G20 Summit 2023 in India
ভারত এবং পাশ্চাত্যের দেশ গুলির মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্য কে আরো সুদৃঢ় করার জন্য নতুন পরিকল্পনা করলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বিডেন। নতুন বাণিজ্য পথ তৈরি করা হলো ভারত থেকে মধ্যপ্রাচ্য হয়ে আমেরিকা পর্যন্ত। যার ফলে এখন আর ভারতকে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য চীনের পথ দিয়ে পা ফেলতে হবে না। নতুন এই প্ল্যানের নাম দেওয়া হয়েছে রিয়েল ডিল।
আর রিয়েল ডিলের মাধ্যমে ভারতের ব্যবসা বাণিজ্য থেকে এবারে চিরতরে পিছু হটল চীন। এবার আর কোন অংশীদারিত্ব দেখাতে পারবে না চীন ভারতের আমদানি রপ্তানি ব্যবসা-বাণিজ্যের উপর। ফলে বড়সড়ো লোকসান হল চীনের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে।
নতুন এই বাণিজ্য পথের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইন্ডিয়া মিডিল ইস্ট ইউরোপ ইকনোমিক করিডোর (India Middle East Europe economic corridor)’ এতদিন পর্যন্ত বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলিতে বাণিজ্যিক আমদানি অথবা রপ্তানির জন্য ভারতকে ভরসা করতে হতো চীনের ওপরেই। কারণ চীনের মধ্য দিয়ে বিস্তৃত ছিল সেই বাণিজ্য পথ। কিন্তু এখন থেকে ভঙ্গ করা হলো চীনের এই ওয়ান রোড ওয়ান বেল্ট পলিসি।
G20 Summit এ আমেরিকার প্রেসিডেন্টের মাস্টার প্ল্যান এর কাছে নতজানু হয়ে পড়ল চীন। জো বিডেনের কথা অনুযায়ী নতুন এই ভারত মিডিল ইস্ট ইউরোপ ইকোনমিক করিডরের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পেতে চলেছে ভারত। এর ফলে ভারতের ব্যবসা বাণিজ্যে নতুন জোয়ার আসবে। যা দেশের অর্থনৈতিক ভিতকে আরো শক্তিশালী করবে।
প্রেসিডেন্ট বিডেন আরো জানিয়েছেন যে G20 Summit এর মধ্যে থেকে বিশ্বের মোট আটটি দেশ সংযুক্তভাবে তৈরি করবে এই নতুন ইকোনমিক করিডর। এটি ভারত থেকে ইসরাইল হয়ে ইউরোপ পর্যন্ত যাবে। এর ফলে আরো দৃঢ় হতে চলেছে ভারত আমেরিকার জোট এবং পা ভাঙতে চলেছে চীনের।
এদিনের G20 Summit সম্মেলনে উপস্থিত হওয়ার আগেই আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার সেই বৈঠকেই কার্যত চিন দমনের নীতিমালা নিয়ে রুদ্ধদার বৈঠক হয়। কার্যত চিনের মদতে পাকিস্তান ও যাতে সন্ত্রাসী কার্যকলাপকে প্রশ্রয় না দিতে পারে, সেই দিকেও নজর রয়েছে দুই রাষ্ট্রনেতার। আর এর থেকেই পরিষ্কার ডোনাল ট্রাম্পের বিদায়ের পর ও ভারত আমেরিকার সম্পর্কে একটুও চির ধরেনি।
আরও পড়ুন, আরও কমলো সোনার দাম। কাল থেকে 5 দিন অনেক সস্তায় সোনা দেবে মোদী সরকার।
ভারত যে এখন একটি অন্যতম সক্ষম দেশ তা বুঝে গিয়েছে সারা বিশ্ব। ভারত ছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, সৌদি আরব, ইসরাইল, ইতালি, জার্মানি, ফ্রান্স, আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি অন্তর্ভুক্ত থাকতে চলেছে নতুন এই বাণিজ্য পথের অধীনে। এটি বিস্তার করবে এশিয়ার পশ্চিমে জর্ডন এবং ইসরাইল পর্যন্ত। নতুন এই বাণিজ্য পথ তৈরিতে আরো উন্নত হতে চলেছে ভারতের সঙ্গে বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলির সম্পর্ক। যার প্রভাবে এরপর বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে চলেছে ভারতীয় অর্থনীতিও।
প্রেসিডেন্ট জো বিডেন জানিয়েছেন যে G20 Summit সম্মেলনের প্রধান নীতিকথা হলো One Earth, One Family, One Future. আর এবার নিজেদেরকে এক পারিবারিক বন্ধনে বেঁধে সকলের এক উদ্দেশ্য গড়ে তুলতে এই ঐতিহাসিক চুক্তি সারলেন দুই দেশের রাষ্ট্র নেতা। বৈঠকের শেষে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন “আজ এই শীর্ষ সম্মেলনের সভাপতিত্ব করতে পেরে আমি গর্বিত অনুভব করছি।
আরও পড়ুন, বাতিল হচ্ছে কয়েক লক্ষ SC ST OBC কাস্ট সার্টিফিকেট। মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ।
আমার পরম বন্ধু জো বিডেন এখানে উপস্থিত থাকায় আরো বেশি আনন্দ লাগছে আমার। সকলে আজ আমরা এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হয়ে থাকলাম। আগামী দিনে ভারতকে বিশ্বের উন্নত দেশগুলির তালিকায় আনতে এই চুক্তি বিশেষভাবে সহায়তা করবে।”
Written by Nabadip Saha.