Free Ration

ভারতীয় জনসাধারণকে তুলনামূলক কম দামে খাদ্যশস্য প্রদান করে সরকার। রেশন (Ration) ব্যবস্থা সকল জনসাধারণের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। সমাজে অনেক মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষ বিনামূল্যে রেশনের দ্বারা অত্যন্ত উপকৃত হন। সম্প্রতি সরকার রেশন নিয়ে একটি প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দুর্গাপুজোর বিজয়ার উপহারের মতো সরকারের তরফে জানানো হয়েছে আগামী ২০২৮ সাল পর্যন্ত সাধারণ মানুষ ফ্রির রেশন পাবেন।

আর এই খবরটি সম্পর্কে আরো ডিটেলস নিম্নে আলোচনা করা হলো। চলুন এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানা যাক। ভারতবর্ষের রেশন ব্যবস্থার প্রতি আমজনতার অগাধ ভরসা। এই দেশের সাধারণ মানুষকে বিনামূল্যে রেশন সরবরাহ করে সরকার। চাল, গম, চিনি ছাড়াও পাওয়া যায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। মূল্যবৃদ্ধির বাজারে রেশনের প্রতি সাধারণ মানুষকে নির্ভর করতেই হয়। তার এবার শোনা যাচ্ছে, আগামী পাঁচ বছর ফ্রিতে রেশন দেবে সরকার।

Free Ration Benifits In India

ভারতবর্ষে বসবাসকারী কোটি কোটি জনসাধারণ সরকারের দেওয়া রেশন ব্যবস্থার উপর সরাসরি নির্ভরশীল। এই দেশে এমন বহু পরিবার রয়েছে যারা এখনও দু-বেলা খাবারের জন্য সরকারের দেওয়া রেশনের চাল কিংবা গম বা আটার উপর নির্ভরশীল। ইতোমধ্যে, পুজোর উৎসব মাঝেই এই সমস্ত আর্থিকভাবে দুর্বল জনসাধারণের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হলো।

সূত্রের খবর,কয়েকদিন আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সভায় এক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। বৈঠকটি শেষ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, ২০২৪ এর জুলাই থেকে ২০২৮ এর ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত দেশের প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার অধীনে সকল দেশবাসীকে বিনামূল্যে রেশনের সামগ্রী সরবরাহ করা হবে। স্বাভাবিক ভাবেই বোঝা যাচ্ছে,কেন্দ্র সরকারের এই সিদ্ধান্ত অনেকের মুখে হাসি ফোটাতে চলেছে। ভীষণ সুবিধা হবে দেশের সাধারণ জনতার।

পুজোর মাঝে রেশন কার্ড নিয়ে বড় ঘোষণা। এবার ব্যাপক সুবিধা পাবেন লাখ লাখ মানুষ

আগামী পাঁচ বছরের জন্য ফ্রি রেশন ব্যবস্থা দেশের আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষদের খাদ্যের চাহিদা মেটাবে। তাঁরা সকলেই ভীষণভাবে উপকৃত হবেন। শোনা যাচ্ছে, রেশন ব্যবস্থায় বিশেষ একপ্রকার চাল দেওয়া হবে। জানা যায়, এবার থেকে শুনে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফোর্টিফাইড চাল দেওয়া হবে। এই চাল দেওয়ার প্রধান কারণ হলো রক্তাল্পতা রোগের দূরীকরণ ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ঘাটতি দূর করা।

আর এই সিদ্ধান্তের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের খরচ হবে মোট ১৭,০৮২ কোটি টাকা। যার ১০০ শতাংশ অর্থায়ন করবে কেন্দ্র। রেশনে যে চাল দেওয়া হবে, সেই চাল সাধারণ মানুষের পুষ্টির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। গোটা বিষয়টি সম্পর্কে মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান দু বছর আগে অর্থাৎ ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে একটি আর্থিক বিষয় সম্পর্কিত মন্ত্রিসভা কমিটি এই বছরের মার্চ মাসের মধ্যে পুরো দেশে চাল ফোর্টিফিকেশনের উদ্যোগ বাস্তবে রূপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল। এখনও পর্যন্ত মোট তিনটি ধাপে প্রক্রিয়াটি বাস্তব রূপ পাচ্ছে। সরকারের এই পদক্ষেপ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা সাধুবাদ জানিয়েছেন। সরকারের সিদ্ধান্তে খুশি হয়েছেন আমজনতা।