Pay Commission – পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক শিক্ষিকাদের বেতন ফেরানোর নির্দেশ, কি কারনে জেনে নিন।
Pay Commission – বেতন ফেরত দিতে হবে শিক্ষক শিক্ষিকাদের।
বেতন ফেরাতে হবে পশ্চিমবঙ্গের প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকাদের। 6th Pay Commission এর নিয়মানুযায়ী রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের তরফে এরকমই বিজ্ঞপ্তি জারি করার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। রাজ্যের সমস্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক- শিক্ষিকাদের বেতন ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে শিক্ষা দপ্তর।
এক্ষেত্রে জানা যাচ্ছে, ২০০৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারীর পরে যে সমস্ত প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকা অতিরিক্ত টাকা বেতন নিয়েছেন তাদের সেই টাকা ফেরত দিয়ে দিতে হবে। এই সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তিতে সংশ্লিষ্ট স্কুলকে Google Sheet পূরণ করার জন্য বলা হয়েছে। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক বা DI দের মারফত শিক্ষা দপ্তরে গিয়ে জমা পড়বে। তারপরে তার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
এই বিষয়ে যা জানা যাচ্ছে, 5th Pay Commission অনুযায়ী ২০০৯ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারির পর যে সমস্ত স্কুল মাধ্যমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে উন্নীত হয়, সেই সমস্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক ২০০ টাকা গ্রেড পে পাবেন। শিক্ষা দপ্তরের এক যুগ্ম সচিবের এই নির্দেশকে ঘিরেই সংশ্লিষ্ট মহলে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। সেখানে মুখ্য সচিবের ওই নির্দেশে জানানো হয়েছিল, উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা ২০০ টাকা গ্রেড পের সঙ্গে অতিরিক্ত ৩ শতাংশ হারে বর্ধিত বেতন পাবেন।
২০০৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত যুগ্ম সচিবের সেই নির্দেশ অনুযায়ী প্রধান শিক্ষকেরা অতিরিক্ত বেতন নিয়েছেন। এবার ওই নির্দেশ অর্থ দপ্তরের অনুমোদন নিয়ে হয়নি বলেই শিক্ষা দপ্তর থেকে জানা যায়। সেখানে আরো জানা গিয়েছে, যে সমস্ত প্রধান শিক্ষক এই অতিরিক্ত বেতন নিয়েছিলেন, রিটায়ার হওয়ার পর তাদের পেনশন পেতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
5Th Pay Commission বা রোপা ২০০৯ এর মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিকের প্রধান শিক্ষকদের জন্য অতিরিক্ত বেতন বৃদ্ধির কোনো কথা বলা ছিল না। তাই এই সমস্যাও তৈরি হতে শুরু করেছে। আর সেই অতিরিক্ত বেতনের টাকা ফেরত দিয়ে তবেই পেনশনের (Pay Commission) জটিলতা কাটাতে হচ্ছে। এরকম একটা পরিস্থিতিতে শিক্ষা দপ্তরের তরফে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এই ধরনের প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষিকা এখনও পর্যন্ত যারা চাকরি করছেন, তাদের তালিকা তৈরি করে পাঠাতে হবে। অতিরিক্ত বেতনের টাকা তারা ফিরিয়ে দিয়েছেন কিনা সেটাও জানাতে হবে।
এই বিষয়ে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী সমিতির তরফে বলা হয়েছে, উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং শিক্ষিকাদের অতিরিক্ত দায়িত্বভার বহন করতে হয়। তাই প্রয়োজনে শিক্ষা দপ্তর Pay Commission ও অর্থ দপ্তরের অনুমোদন নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকাদের জন্য অতিরিক্ত বেতন বৃদ্ধির ব্যবস্থা করুক।
পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির তরফে জানানো হয়েছে, শিক্ষা দপ্তর এখনো পর্যন্ত কোনো প্রধান শিক্ষককে সরাসরি টাকা ফেরত ফেরত দেওয়ার কথা বলেনি। যারা প্রধান শিক্ষক পদে নির্দিষ্ট সময়ে চাকরি করেছেন তাদের বিস্তারিত তথ্য, অতিরিক্ত বেতন নিয়েছেন কিনা, তা জানাতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে অনেক প্রধান শিক্ষক অবসর নিয়েছেন। কিছু শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন।
প্যান কার্ড চালু নাকি বন্ধ, চেক করুন ঘরে বসে, জেনে নিন পদ্ধতি।
সে ক্ষেত্রে কোনো শিক্ষক অতিরিক্ত বেতন নিয়েছেন, কোনো শিক্ষক হয়তো নেননি, তাই সঠিক পরিসংখ্যান জোগাড় করার জন্যই সেই বিষয়টি সম্বন্ধে প্রকৃত তথ্য জানার চেষ্টা হচ্ছে। তারপর এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বাম জমানায় যে অস্বচ্ছতা তৈরি করা হয়েছিল শিক্ষা প্রশাসনের মধ্যে, বর্তমানে সেই অস্বচ্ছতা অনেকটাই দূর করা সম্ভব হবে। এই পদ্ধতির ফলেই শিক্ষা দপ্তরের কাজে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা আসবে।
J officials notice diyachilo sob taka ter kach theke ferot nik sarker.