Electricity Bill – বাংলায় দ্বিগুন হারে বাড়তে চলেছে বিদ্যুৎের দাম, সমস্যায় সাধারন মানুষ।
Electricity Bill – ফের গ্রাহকদের পকেটে চাপ, বাড়তে পারে বিদ্যুৎ বিল।
কলকাতা এবং তৎ-সংলগ্ন এলাকার গড়ে ১০-১২ শতাংশ হারে বাড়তে পারে (Electricity Bill) মাসিক বিদ্যুতের বিল। কারণ,গত মার্চ মাসে সিইএসসি গ্রাহকদের যে বিদ্যুৎ বিল পাঠিয়েছে সেখানে জানুয়ারি মাসে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ ক্রয় খাতে সিইএসসির যে বাড়তি খরচ হয়েছে তা গ্রাহকদের থেকে তুলতে চায়ছে সংস্থা। এই বাড়তি চার্জকে ফুয়েল অ্যান্ড পাওয়ার পারচেজ অ্যাডজাস্টমেন্ট সারচার্জ’ বা সংক্ষেপে এফপিপিএএস বলে বিলে উল্লেখ করা হয়েছে।
যদিও বিলে উল্লেখ করা হয়েছে, তবে এফপিপিএএস বাবদ গ্রাহকের থেকে এখনও এই খাতে অর্থ নেওয়া হচ্ছে না। মূলত, এই বাড়তি খরচ গ্রাহকদের থেকে নেবার ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের নির্দেশিকার জন্য অপেক্ষা করছে সিইএসসি বলেই মনে করা হচ্ছে।
একে কাটফাটা গরম, তার মধ্যে কারেন্ট থাকবে না, গোদের উপর বিষফোঁড়া বঙ্গবাসীর।
সাধারণত জ্বালানির খরচ বৃদ্ধি বা কোনও কারণে বিদ্যুৎ কেনার খরচ (Electricity Bill) বাড়লে তা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা ও সিইএসসি প্রথমেই গ্রাহকদের কাছ থেকে মেটানোর চেষ্টা করে না। গ্রাহকদের মাশুল শেষ বার বাড়ানো হয়েছিল ২০১৪ সালে। তবে লাগু হওয়া কেন্দ্রীয় বিধির জন্য এই বছরের জানুয়ারি মাসে সিইএসসি বাড়তি খরচ গ্রাহকদের থেকে আদায় করার লক্ষ্যে প্রাথমিক পদক্ষেপ করেছে।
প্রসঙ্গত, গত ২১ ডিসেম্বর বিদ্যুৎ (সংশোধনী) বিধি সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্র। সেখানে বলা হয়েছিল, কয়লার দাম বাড়লেই অবিলম্বে দাম বৃদ্ধি পাবে বিদ্যুতেরও। ফলত যদি কোনও মাসে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত কয়লা বা অন্য কোনও জ্বালানির দাম বৃদ্ধি হওয়ার জন্য বিদ্যুৎ কেনার খরচ বেড়ে যায়, তবে সেই বাড়তি খরচ গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায় করতে হবে দু মাস পরের বিলের মাধ্যমে। কিন্তু যদি কোনও কারণে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা সেটা আদায় করতে না পারে, তবে পরবর্তীতে আর কখনও সেই টাকা গ্রাহকদের থেকে আদায় করা যাবে না।
এদিকে এই বছরের জানুয়ারিতে খোলা বাজারে বিদ্যুতের দাম (Electricity Bill) বৃদ্ধি পেয়েছিল। ফলস্বরূপ গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে নিজস্ব ক্ষমতা অনুসারে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরেও বাজার থেকে সিইএসসি-কে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ কিনতে হয়, তার খরচ বেড়ে যায়। পাশাপাশি ই-নিলামে কয়লার দাম বাড়ায় বেড়েছিল সিইএসসি-র নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচও। এই সব মিলিয়েই জানুয়ারিতে সিইএসসি-র বিদ্যুৎ উৎপাদন ও কেনা মিলিয়ে ডিসেম্বরের তুলনায় খরচ বেশ খানিকটা বেড়ে গেছে।
সিইএসসি-র তরফে গ্রাহকদের যে বিল পাঠানো হয়েছে, তার দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় কেন্দ্রীয় ওই বিধিটির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এর নীচে এনার্জি চার্জ ও ফিক্সড/ডিমান্ড চার্জ যোগ করে তার উপর ১১.২ শতাংশ হারে এফপিপিএএস খাতে চার্জের কথা লেখা হয়েছে। তবে এখনই এফপিপিএএস বাবদ অর্থ গ্রাহকদের থেকে নেওয়া হচ্ছে না। তবে সিইএসসি বিলে উল্লেখ করা আছে, পরবর্তীকালে আগাম জানিয়ে তা গ্রাহকদের থেকে আদায় করা হবে।
হঠাৎ করে বিদ্যুৎ বিল (Electricity Bill) বেড়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়বেন গ্রাহকরা। এই প্রসঙ্গে সিইএসসি-র এক আধিকারিক জানান, ‘যেহেতু কেন্দ্রীয় বিধি, ভাই তা সিইএসসি-কে মানতেই হবে। অন্যথায় তারা আইনগত সমস্যা পড়বে। কেন্দ্রীয় বিধিতে বলা হয়েছে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশন উপযুক্ত নির্দেশিকা নিয়ে আসবে। যেহেতু পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশন এখনও কোনও নির্দেশিকা জারি করেনি, তাই সিইএসসি এফপিপিএএস বাবদ বিল করলেও আপাতত গ্রাহকদের থেকে তা আদায় করছে না।’
গ্যাস থেকে শুরু করে সবজি, ফল সমস্ত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম উর্দ্ধমুখী। এমতাবস্থায় ফের নতুন করে বিদ্যুতের দাম বাড়ার ফলে মধ্যবিত্তের পকেটে ভালো রকমের চাপ পড়তে চলেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
তীব্র গরমে কারেন্ট থাকবে না, মহা ভোগান্তিতে রাজ্যবাসী, নবান্নের পদক্ষেপ।