Education System – রাজ্যের স্কুল ও কলেজ পড়ুয়াদের জন্য বিরাট সুখবর। নতুন নিয়ম চালু করলো শিক্ষা দপ্তর।

শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা তথা Education System কে আরও উন্নত করার করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে শিক্ষা দপ্তর নয়া কিছু পদ্ধতি আনতে চলেছেন। যাতে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার মান আরও বাড়ে। প্রতিটি কেন্দ্রীয় স্কুল, কলেজে ইংরাজীর ওপর জোর দেওয়া হয়। শুধুমাত্র কিছু রাজ্যের স্কুলে তাদের আঞ্চলিক ভাষায় পড়ানো হয়। যাতে সর্ব জায়গায় নিজেদের প্রকাশ করতে তাদের কোনো অসুবিধার মধ্যে পড়তে না হয়।

Digital Study Material in New Education System

কিন্ত সেই অর্থে ছাত্র ছাত্রীদের নিজেদের রাজ্যের আঞ্চলিক ভাষার ওপর তেমন গুরুত্ব দেওয়া হতনা। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে জাতীয় শিক্ষানীতির (Education Policy of India) সাথে মিল রেখেই পড়াশুনার মান বজায় রাখতে শিক্ষা দপ্তর বিভিন্ন রাজ‍্যে ছাত্রছাত্রীদের জন‍্য আঞ্চলিক ভাষার ওপর জোর দিতে চলেছে সেই জন্য প্রথম কর্মসূচি (Education System) হিসাবে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

সেটা হলো প্রতিটি রাজ্যের ছাত্র ছাত্রীদের নিজেদের আঞ্চলিক ভাষায় ডিজিটাল স্টাডি মেটিরিয়াল বানাতে হবে। এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার সময় বরাদ্দ করে দিয়েছে তিন বছর। সকল ছাত্রছাত্রী যাতে নিজেদের আঞ্চলিক ভাষা সমন্ধে জ্ঞান অর্জন করতে পারে, পড়তে পারে, লিখতে পারে অর্থাৎ ভাষার প্রতি দক্ষতা বাড়ে তার জন্যই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে আঞ্চলিক ভাষার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

কি কি কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে?

জানা যাচ্ছে, শিক্ষা মন্ত্রকের একটি সভায় আনুষ্ঠানিক ভাবে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ইউজিসি (UGC), এআইসিটিই (AICTE), এনসিইআরটি (NCERT), এনআইওএস (NIOS), ইগনু (IGNOU) এবং আইআইটি (IIT), সিইউ(CU), এনআইটির (NIT) এর মত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠ‍্য বিষয় হিসাবে আঞ্চলিক ভাষা কে রাখতে হবে। এছাড়া বিভিন্ন রাজ‍্যের সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকেও এই বিজ্ঞপ্তি জানানো হয়েছে।

উদ্দেশ্য

সারা দেশ জুড়ে শিক্ষা বিস্তারে যে দ্বন্ব এবং ভাষাগত বিবাদ আছে তা দূর করার উদ্দেশ্যে নতুন নির্দেশিকা জারি হয়েছে। এই নির্দেশ অনুসারে আগামী তিন বছরের মধ‍্যে স্কুল সহ উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠ‍্যক্রমগুলিকে (Education System) আঞ্চলিক ভাষায় সরবরাহ করতে হবে। আঞ্চলিক ভাষায় পড়লে শিক্ষার্থীদের পড়া বোধগম্য হবে ভালো করে।

ফলে শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহ বাড়বে। ভারতবর্ষে মোট ২২ টি সরকারি ভাষা সহ বহু আঞ্চলিক ভাষা ও আনুষ্ঠানিক ভাষার চল রয়েছে। তাই এই ভাষার বিভিন্নতা অনেকক্ষেত্রেই শিক্ষার্থীর শিক্ষা গ্রহনের ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়া নিজেদের মাতৃভাষাকে শিক্ষার আঙিনায় বলতে না পারায় তাদের পড়াশুনা করতে অনেকটাই অসুবিধা হয়, বাঁধার সম্মুখীন হয়।

শুরু হলো জয়েন্ট পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপ! কিভাবে আবেদন করবেন জেনে

মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষা দান

তাই নিজদের মাতৃভাষা শিক্ষার মধ্যে থাকলে শিক্ষার মান অনেকটাই উন্নয়ন হবে। শিক্ষা মন্ত্রকের মতে, স্থানীয় ভাষায় শিক্ষা গ্রহন করলে ছাত্রছাত্রীর উদ্ভাবনী চিন্তাধারনা আরও বাড়বে। তারা তাদের নিজেদের মতন করে ভাবতে শিখবে। যেটা তাদের চিন্তাভাবনাকে উৎসাহিত করবে। ছাত্রছাত্রীর শিক্ষা গ্রহণের হার বেড়ে যাবে। এবং পড়াশুনার ইচ্ছাও বাড়বে।

উল্লেখ‍্য, এই নিয়ম সঠিকভাবে কার্যকর হলে শিক্ষা ব‍্যবস্থায় (Education System) আমূল পরিবর্তন আসবে এবং শিক্ষা ব‍্যবস্থা আগামী দিনে নতুন রূপ নেবে যেটা ছাত্রছাত্রীদের জন‍্য বিশেষ গ্রহনযোগ‍্যও হবে। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকার এর উদ্যোগে বিগত দু বছর ধরেই অনেক বই আঞ্চলিক ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। যাতে শিক্ষার্থীদের বুঝতে সুবিধা হয়।

উচ্চমাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হওয়ার পর কোন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করা উচিত? বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ জানুন।

যেমন প্রযুক্তি বিদ্যা, চিকিৎসা বিদ্যা, আইন, স্নাতক কিংবা স্নাতকোত্তরের বিভিন্ন বই ৩০ টিরও বেশী আঞ্চলিক ভাষায় পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা যেমন জেইই, নিটের শিক্ষা উপকরনগুলিও পাওয়া যাচ্ছে। আগামী দিনে প্রতিটি স্কুলে আঞ্চলিক ভাষা পাঠ্য পুস্তক হিসাবে গ্রাহ্য হওয়ার পর আরো সর্বোচ্চ স্তরে এই ভাষার বিস্তার হবে সেটা আশা করা যায়। ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশুনার মান উন্নয়নে এই পদক্ষেপ (Education System) অনেকটাই সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button