Digital Agriculture Mission 2024: দেশে চালু হতে চলেছে ডিজিটাল কৃষি মিশন! কৃষকদের স্বার্থে সাতটি প্রকল্প চালু করতে চলেছে কেন্দ্র
ভারতবর্ষ কৃষি প্রধান দেশ। এদেশের কৃষকরাই দেশের ভিত। অন্নদাতা কৃষকদের জন্য এর আগে বেশ কিছু প্রকল্পের সূচনা করেছিল রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার। তবে এবার শোনা যাচ্ছে অন্য কথা। ভারতে চালু হচ্ছে ডিজিটাল এগ্রিকালচার মিশন (Digital Agriculture Mission). একটি নয় বরং একসঙ্গে সাতটি প্রকল্প চালু করতে চলেছে কেন্দ্র। ডিজিটাল এগ্রিকালচার মিশন (Digital Agriculture Mission) সম্পর্কে আজকের এই প্রতিবেদনে রইল বিস্তারিত তথ্য। দেশের কিষান দের জন্য এটি অবশ্যই একটি সুখবর।
Digital Agriculture Mission 2024
কৃষকদের সুবিধার্থে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরাট পদক্ষেপ। এক নয়, বরং সাত সাতটি প্রকল্প নিয়ে চালু হতে চলেছে ডিজিটাল কৃষি মিশন(Digital Agriculture Mission). ডিজিটাল এগ্রিকালচার মিশন চালু করে কৃষকদের সুবিধা প্রদান করতে চাইছে কেন্দ্র সরকার। সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অনুমোদন করে সাতটি প্রকল্প সম্বলিত এই এগ্রিকালচার মিশন(Digital Agriculture Mission).
সরকারের এই উদ্যোগের জন্য বরাদ্দ হচ্ছে মোট ১৩,৯৬৬ কোটি টাকা। জানা যাচ্ছে, এই সাতটি প্রকল্প নিয়ে গড়ে ওঠা ডিজিটাল জন-পরিকাঠামোর গঠনের উপর ভিত্তি করে কৃষকদের জীবন ধারণের স্বাচ্ছন্দ্য বিধানে প্রযুক্তির ব্যবহার করবে ডিজিটাল কৃষি মিশন(Digital Agriculture Mission).
নতুন পেনশন প্রকল্প চালু করল সরকার! কী কী সুবিধা পাবেন? দেখে নেওয়া যাক
Digital Agriculture Mission In India
সূত্রের খবর, ডিজিটাল কৃষি মিশনে(Digital Agriculture Mission) যে সকল বিষয়গুলি আলোচনার আওতায় দেখা হবে তা হল, মাটির চরিত্র, কিভাবে ডিজিটাল উপায়ে ফসল মূল্যায়ন করা যায়, ডিজিটাল উৎপাদন ক্ষমতার মডেলিং।
এছাড়া শস্য ঋণের নেওয়ার জন্য সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন, এর পাশাপাশি কৃত্রিম মেধা ও বিগ ডেটার মতো আধুনিক প্রযুক্তিকে যুক্ত করা ও ক্রেতাদের কে যুক্ত করাও এই মিশনের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। শুধু তাই নয় মোবাইল ফোনে নতুন কৃষি সংক্রান্ত জ্ঞান ভাণ্ডার গড়ে তোলাও এই মিশনের উদ্দেশ্যের মধ্যে পড়বে।
যেহেতু ভারত মৌসুমী বায়ুর দ্বারা প্রভাবিত একটি দেশ, তাই এখানে কৃষি সিদ্ধান্ত সহায়ক ব্যবস্থার উপগ্রহণের মাধ্যমে খরা, বন্যা, আবহওয়া সংক্রান্ত তথ্য, এছাড়াও ভূগর্ভস্থ জল ও জলের প্রাপ্যতা সংক্রান্ত তথ্য কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ গৃহীত হবে। জানা যাচ্ছে, মিশনে ফসল বিজ্ঞান ব্যবস্থাও গড়ে তোলা হবে।
সবাইকে 5000, 10,000 টাকা করে দিচ্ছে রাজ্য সরকার! নতুন প্রকল্পে খুশির জোয়ার বাংলায়
আরও শক্তিশালী করা হবে কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রকে। দেশে কৃষি-বিজ্ঞান ও গবেষণার জন্য ছাত্রছাত্রীদের আরও আগ্রহী করে তোলা হবে যাতে তাঁরা উন্নত গবেষণার দিকে অগ্রসর হতে পারেন। সব মিলিয়ে বলা যায়, এ গোটা ব্যবস্থার দ্বারা অত্যন্ত উপকৃত হবেন দেশের অন্নদাতা কৃষকরা।
যদিও এই গোটা বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন কৃষক ক্ষোভকে কমিয়ে তাঁদের সন্তুষ্ট করতে সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে। আর কিছুদিনের মধ্যেই এই বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। প্রকল্পের আবেদন শুরু হবে দেশে।