College Admission: কলেজে ভর্তির পদ্ধতি পরির্বতন করা হলো এই পদ্ধতিতে অ্যাডমিশন ফর্ম ফিলাপ করুন
চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে ৮ ই মে তারিখে (College Admission). তারপরও কেটে গিয়েছে দীর্ঘ সময়। সমস্ত উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ ছাত্র ছাত্রীরা কলেজে ভর্তির জন্য অপেক্ষা করে বসে আছেন। স্কুলের গণ্ডি পার করে কলেজে ভর্তির জন্য প্রত্যেক ছাত্র ছাত্রীরা উদগ্রীব হয়ে থাকে। যদিও এবার লোকসভা নির্বাচনের জন্য কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া কিছুটা দেরি হয়েছে। জানা যাচ্ছে জুন মাস থেকে রাজ্যের সমস্ত কলেজগুলোতে অ্যাডমিশন তথা College Admission প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে।
WB College Admission Rules Have Changed Check New Online Portal
এহেন অবস্থায় আপনার সন্তানও কি চলতি বছরে College Admission বা কলেজে ভর্তি হবে? তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনটি রইল শুধুমাত্র আপনার জন্য। কারণ জানা যাচ্ছে, এবার থেকে কলেজে ভর্তি নিয়মে আমূল পরিবর্তন আসতে চলেছে আর যার সরাসরি প্রভাব পড়বে পড়ুয়াদের উপর। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। তাহলে জানুন নতুন পদ্ধতি সংক্রান্ত নানান তথ্য।
দীর্ঘ সময় যাবত পশ্চিমবঙ্গের College Admission বা কলেজগুলিতে ভর্তির প্রক্রিয়া অফলাইন মাধ্যমে আয়োজিত হত। সংশ্লিষ্ট পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট কলেজগুলি তাদের নিজ দায়িত্বে ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তির প্রক্রিয়া আয়োজন করত। বিগত কয়েক বছরে এই নিয়মের বিশেষ পরিবর্তন করা হয়েছে। একটিমাত্র কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে রাজ্যের সমস্ত কলেজে ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তির প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার আহ্বান জানিয়েছিল উচ্চ শিক্ষা দপ্তর।
তবে বিগত বছরগুলিতে বেশ কিছু পরিকাঠামোগত সমস্যা থাকার কারণে কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে কলেজে ভর্তির পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট কলেজগুলি নিজস্ব অনলাইন পোর্টালে ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তির ব্যবস্থা করেছিল। চলতি বছরে এই ব্যবস্থার পরিবর্তন করে একটি মাত্র কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তির বা College Admission এর প্রক্রিয়া চালু করা হচ্ছে।
উচ্চ শিক্ষা দপ্তর থেকে একটি পোর্টাল লিংক দিয়ে দেওয়া হবে। সেই পোর্টালের মাধ্যমে রাজ্যের যে কোনো জায়গা থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের পছন্দমত College Admission বা কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন। পুরো প্রক্রিয়াটি হবে অনলাইনে। ছাত্র-ছাত্রীদের ফর্ম ফিলাপ থেকে শুরু করে কাউন্সিলিং এবং কাউন্সিলিংয়ের পর অ্যাডমিশন পর্যন্ত সরাসরি কলেজের সঙ্গে যোগাযোগ করার প্রয়োজন থাকবে না।
ভর্তি হওয়ার বা College Admission এর পর ছাত্র-ছাত্রীরা সরাসরি শিক্ষা গ্রহণের জন্য অর্থাৎ ক্লাস করার জন্য কলেজে যেতে পারবেন। ভর্তি প্রক্রিয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট পোর্টালের কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। এই পোর্টালের মাধ্যমে এডমিশনকে সেন্ট্রালাইজ এডমিশন বলা হচ্ছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই সেন্ট্রালাইজ এডমিশন কেন বলা হচ্ছে?
সেন্ট্রালাইজ এডমিশন প্রক্রিয়া অনলাইনের মাধ্যমেই করতে হয়। অর্থাৎ বাড়িতে বসেই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি করা যাবে। এটি একটি সরকার প্রদত্ত এডমিশন পোর্টাল। এই পোর্টালে অনেকগুলো কলেজের নাম দেওয়া থাকে। ছাত্রছাত্রী তাদের পছন্দসই কলেজ চয়েস করতে পারবে। তারপরে ভর্তি হতে পারবে অর্থাৎ ভর্তির জন্য অ্যাডমিশন ফর্ম ফিলাপ করতে পারবে তবে এই কাজটি করতে কতগুলো ধাপ পেরোতে হবে।
আবেদন পদ্ধতি
- প্রথমে তাদের রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে।
- তারপর নিজের একটি প্রোফাইল তৈরি করতে লাগবে।
প্রোফাইল তৈরি করতে গেলে প্রথমে নিজের পরিচিতি, নিজের ঠিকানা,নিজের অভিভাবকের পরিচিতি, নিজের যোগ্যতা অর্থাৎ মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিকের নাম্বার ,রোল, রেজিস্ট্রেশন, উত্তীর্ণ হওয়ার বছর সমস্ত কিছু উল্লেখ করতে হবে। তারপর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে। সর্বশেষে নিজের ছবি এবং স্বাক্ষর আপলোড করতে হবে। এইভাবে একটি প্রোফাইল তৈরি করতে হবে।
প্রোফাইল তৈরি কাজ সম্পন্ন হয়ে গেল। এবার শুরু হবে কলেজে অ্যাডমিশন তথা College Admission নেওয়ার আসল কাজটি। এই কাজটিও করতে হবে কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে। সেগুলি হল-
প্রথমেই একটি পোর্টালে অনেকগুলো কলেজের নাম দেওয়া থাকবে তার মধ্য থেকে আপনার পছন্দসই একটি কলেজ নির্বাচন করতে হবে। তবে তার আগে ওই কলেজটি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রয়েছে সেটিকেও নির্বাচন করতে হবে।
এইভাবে একই পোর্টাল থেকে একাধিক ভিন্ন ভিন্ন কলেজ ও একাধিক ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নির্বাচন করতে পারবে ছাত্রছাত্রীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত কলেজ নির্বাচন করা হয়ে গেল এরপরে কোন সাবজেক্ট নেওয়া হবে সেই সাবজেক্ট নির্বাচন করতে হবে। গত বছর আলাদা আলাদা কলেজের জন্য আলাদা আলাদা ফর্ম ফিলাপ করতে হয়েছিল। যেটা ছিল অনেকটাই জটিল কিন্তু এই বছর ব্যাপারটি অনেক সহজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সেন্ট্রালাইজ এডমিশনের মূল বৈশিষ্ট্য হল একটি পোর্টাল থেকেই বিভিন্ন কলেজের জন্য ফর্ম ফিলাপ করতে পারার সুবিধা। অর্থাৎ একই ছাতার তলায় সমস্ত রকম পছন্দের জিনিস একত্রে পেয়ে যাওয়া। সেই সাথে এর ফর্ম ফিলাপ করতে কোনরকম ফিস দিতে হবে না সেটাই শোনা যাচ্ছে।
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
নিম্নলিখিত নথিগুলির পিডিএফ ফর্ম্যাটে স্ক্যান করা কপি করতে হবে।
- মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রবেশপত্র বা নিবন্ধন
- মাধ্যমিক পরীক্ষার মার্কশিট
- উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার নিবন্ধন
- উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রবেশপত্র
- উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মার্কশিট
- ফটো আইডি (যেমন আধার কার্ড, ভোটার কার্ড)
- ব্যাঙ্ক পাসবুকের প্রথম পৃষ্ঠা, বাতিল চেক, বা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট
- প্রতিটি আবেদনকারীর যোগ্যতা এবং বিশদ
আবেদন ওয়েবসাইট
আগ্রহী প্রার্থীরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উচ্চশিক্ষা বিভাগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট, ‘বেঙ্গল হায়ার এডুকেশন’-এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন (College Admission).
নতুন নিয়মে কলেজে ভর্তির পোর্টালে আবেদন শুরু হলো। কিভাবে আবেদন করবেন? কি নথি লাগছে?
পোর্টালে মোট কলেজের সংখ্যা
পোর্টালে মোট 461টি সরকারি এবং সরকারী সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজ কেন্দ্রীভূত রয়েছে। আবেদনকারী ছাত্র ছাত্রীরা তাদের পছন্দ এবং যোগ্যতার মানদণ্ডের ভিত্তিতে এরমধ্যে থেকে 25টি কলেজে আবেদন জানাতে পারবেন (College Admission).
আবেদনের সময়সীমা
আবেদন পর্ব শুরু হয়েছে ২৪ জুন এবং শেষ হবে ৭ ই জুলাই। তাই যেসমস্ত উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীরা কলেজে অ্যাডমিশন নেবেন তারা এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবেদন পর্ব সম্পন্ন করুন।
আর এই সেন্ট্রালাইজ অ্যাডমিশন পদ্ধতিতে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় ছাত্র ছাত্রীদের অ্যাডমিশন পদ্ধতি অনেকটাই সহজতর হয়েছে।
এমন আরও অন্যান্য খবরের জন্য আমাদের এই পেজে (College Admission).