প্যান কার্ড সংক্রান্ত নির্দেশিকা কেন্দ্রের। একাজ না করলে চরম ভোগান্তি। কি করবেন, জেনে নিন।
আর্থিক লেনদেন নিয়ে বেশ আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে দেশে। এখন প্যান কার্ড সমস্ত ছোট বড় আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রেই করা হয়েছে বাধ্যতামূলক। আর এই প্যান কার্ড করাও এখন বেশ সহজ। আধার কার্ড থাকলে এখন সেই আধার এর মাধ্যমেই হয়ে যাচ্ছে ভেরিফিকেশন। আর মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই জেনারেট হয়ে যাচ্ছে প্যান নম্বর।
সমস্ত রকমের আর্থিক লেনদেন কোর্টে বাধ্যতামূলক প্যান কার্ড।
কেন্দ্র হোক বা রাজ্য, এই প্যান কার্ডের বিষয়ে কারো কোন রকমের মতপার্থক্য নেই। NSWS অর্থাৎ ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো সিস্টেমে এই প্যান কার্ড ব্যবহার করা যাবে। এই NSWS হচ্ছে একটি পদ্ধতি যার লক্ষ্য হল বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে তথ্য জমা দেওয়ার দ্বৈততা হ্রাস করা, কমপ্লায়েন্সের বোঝা কমানো, প্রকল্পের কাজের সময়কাল কমানো এবং ব্যবসা শুরু করা এবং আরও সহজতর করা।
কেন্দ্রীয় এবং বানিজ্য শিল্প মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল মহাশয় এই প্যান কার্ডের বিষয়ে বিশেষ আলকপাত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বিভিন রকমের সরকারি কাজের ক্ষেত্রে প্যান কার্ড ব্যবহার করেই কাজ সারা যাবে। কারণ সেটি অনেক বেশি সুরক্ষিত একটি বিষয় হবে। আর বর্তমানে ডিজিটাল লিঙ্কিং ব্যবস্থা চালু হয়ে যাওয়ার ফলে মোবাইল নম্বর থেকে শুরু করে ই-মেইল, আধার সব কিছুই পোর্টালে আছে।
এই সকল কারণে কেন্দ্রীয় কোন কাজ হোক বা হোক রাজ্যের কাজ, এখন থেকে এই প্যান কার্ডের ন্মবরকেই বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়ে বলা হচ্ছে। কারণ এই প্যান ব্যবহার করলে এর সাহায্যে যেকোনো রকমের আর্থিক লেনদেন এর যাচাইকরণ খুবই দ্রুত হয়ে যাবে। ফলে সমস্ত রকম কাজেই আসবে বিশেষ গতি।
এর ফলে যে কোন রকমের জালিয়াতি বন্ধ করা সম্ভব হবে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে। দেশের বানিজ্য মন্ত্রকের সাথে ইতিমধ্যে এই সকল বিষয়ে আলোচনা সম্পন্ন করা হয়ে গিয়েছে। এখন শুধুমাত্র আইনি অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের রাজস্ব দপ্তর এর সাথে এই বিষয়ে আলোচনা সম্পন্ন করা হয়েছে।
মাত্র 50 টাকাতেই শুরু করুন, পোস্ট অফিস এর New Scheme. রিটার্ন 35 লক্ষ। কিভাবে? বিস্তারিত দেখুন।
আর এর ফলে প্রত্যেক কাজের জন্য আবেদনকারীকে বার বার ফর্ম ফিলাপ করার প্রয়োজন পড়বে না। এছাড়াও এই সকল সুবিধাগুলি তারা ভারতের যেকোনো প্রান্ত থেকেই নিতে পারবেন। আর এর যাচাইকরণ করার জন্যও অনন্তকাল ধরে কোর্টে হবে না অপেক্ষা। আর প্যান পোর্টালে আধারের মতোই প্রচুর তথ্য থাকে যা ভারতের জেকন অফিস থেকেই অ্যাক্সেস করা সম্ভব।
ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে জিএসটি, লাইসেন্স, পি ট্যাক্স, ট্যান, টিন নম্বর ইত্যাদির প্রয়োজন হয়। আর্থিক লেন্দেঙ্করতেও লাগে অনেক রকমের নম্বর। একই তথ্য অথচ তৈরি করতে হয় আলাদা আলাদা ডেটাবেস। এর ফলে সার্ভারেও চাপ থাকে। আর যাচাইকরণে লাগে অনেক সময়। এই সকল সমস্যার সমাধানে এই পদ্ধতিতে জোড় দিচ্ছে কেন্দ্র।
তবে এই সকল সুবিধা আপনি তখনই পাবেন যখন আপনার প্যান কার্ডটি থাকবে সঠিক। অএন্নেকি এই পান কারদকে ততটা গুরুত্ব দিতে চান না। অনেকেই এখনো পর্যন্ত মোবাইল নম্বর, আধার কার্ড লিংক পর্যন্ত করান নি। তাদের ক্ষেত্রে এই সকল সুবিধা পেতে বেশ বেগ পেতে হবে।
দেশের অন্যতম ৩টি নামী ব্যাংক গ্রাহকদের বড় ধাক্কা, হয়রানি এড়াতে এক্ষুনি ব্যবস্থা নিন।
ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যবহারিক প্রয়োগ চলছে। সব কিছু ঠিকঠাক চলতে থাকলে খুব দ্রুতই তা আনা হবে সকলের জন্য। এক্ষেত্রে কাজ হবেপ্রায় 100% সঠিক। পুরোপুরি ভাবে চালু হলে সাধারণ মানুষ এর বিশেষ সুবিধা লাভ কোর্টেও সক্ষম হবেন। এমন আরও বিষয়ে জানতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন। ধন্যবাদ।
Written by Mukta Barai.