Business Idea: মাত্র 30,000 টাকা বিনিয়োগ করে সারাবছর ব্যাপক লাভ। কয়েক মাসে ধনী হওয়ার জন্য আরম্ভ করুন এই বিজনেস
Fish Farming Business Idea
নতুন কোনো ব্যবসা শুরু করার ভাবনা থাকলে প্রথমেই মাথায় আসে, কিসের ব্যবসা শুরু করা যায় (Business Idea). কোন ব্যবসায় তুলনায় কম মূলধন ব্যবহার করে ব্যাপক লাভ করা সম্ভব। আপনার মাথাতেও যদি এই কথা এসে থাকে, তবে আজকের প্রতিবেদন অবশ্যই আপনার জন্য। কারণ এই প্রতিবেদন এক বিশেষ ব্যবসা সম্পর্কে আলোচনা করা হচ্ছে। যে ব্যবসায় একজন ব্যক্তি মাত্র ৩০ হাজার টাকা ইনভেস্ট করে অল্প সময়ের মধ্যে ধনী হতে পারবেন।
High Profit Business Idea 2025
বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে। তাঁর মধ্যে একটি হল মাছ চাষ। বলা হচ্ছে বিশেষ করে বায়োফ্লক প্রযুক্তির (Biofloc Fish Farming) কথা। এই প্রযুক্তিটি ব্যবহার করে বর্তমানে তরুণ কৃষকরা অনেক অল্প সময়ের মধ্যে প্রচুর মুনাফা অর্জন করছে। বিশেষ করে কম জায়গায় আর কম খরচে এই বিজনেস শুরু করা যায়। তার চেয়েও ভাল ব্যাপার হল কম সময়ে মাছ চাষে বিপ্লব ঘটাচ্ছে বায়োফ্লক প্রযুক্তি।
বায়োফ্লক প্রযুক্তি আসলে কী?
বায়োফ্লক প্রযুক্তি হল এমন এক পদ্ধতি, যেখানে বিশেষ ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করে মাছের বর্জ্যকে রূপান্তর করা নয় প্রোটিনে। এতে যে উপকারটা হয়, তা হল মাছের খাবারের খরচ অনেকটা কমে যায়। এর ফলে অল্প জায়গায় অনেক বেশি পরিমাণে মাছ চাষ করা যায়।
এই পদ্ধতি ব্যবহার করবেন কিভাবে?
এই পদ্ধতি ব্যবহার করে মাছ চাষ করতে হলে প্রথমে আপনাকে একটি সিমেন্ট বা পলিথিন দিয়ে ট্যাঙ্ক তৈরি করতে হয়। এরপর সেই ট্যাঙ্কটি নির্দিষ্ট পরিমাণ জল দিয়ে ভর্তি করে তাতে মাছ ছাড়তে হবে। সাধারণত, মাছ যে সমস্ত খাবার খায় তার ৭৫% মল-মূত্র থেকে বেরিয়ে আসে। এর ফলে যেটা হয়, খাবারের খরচ অনেকটাই বেঁচে যায়। এই ট্যাঙ্কের ভিতরে বায়োফ্লক ব্যাকটেরিয়া ময়লা গুলিকে প্রোটিনে রূপান্তর করে। ফলে আর নতুন করে অতিরিক্ত খাবার দিতে হয় না, মাছ আরো দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
এই পদ্ধতি ব্যবহার করে কি কি মাছ চাষ করা যায়?
বায়োফ্লক পদ্ধতি ব্যবহার করে বিভিন্ন মাছ চাষ করা যায়। উদাহরণস্বরূপ, শিঙি মাছ, কই কার্প, পাবদা, কমন কার্প, পাঙ্গাস, তেলাপিয়া, ও দেশি মাগুর।
এই ব্যবসা শুরু করতে খরচ ও লাভ কত?
এই ব্যবসা শুরু করতে হলে ১০ হাজার লিটারের একটি ট্যাঙ্ক বানাতে আপনার খরচ পড়বে প্রায় ৩২ হাজার টাকা থেকে ৩৫ হাজার টাকা মতো এবং এটি আপনি প্রায় ৫ বছর টানা ব্যবহার করতে পারবেন। আর এই বিজনেস থেকে লাভ আসে ভালই। মোটামুটি ৬ মাসের মধ্যে ৩ থেকে ৪ কুইন্টাল মাছ উৎপাদন করা যায়। বাজারে এই মাছ মোটা অঙ্কের টাকায় বিক্রি করে কয়েকগুণ মুনাফা পাবেন।
আরও পড়ুন: কম বিনিয়োগে ডবল মুনাফার ব্যবসার আইডিয়া। মাত্র কয়েক হাজার টাকায় সফল ব্যবসা
সরকারি ভর্তুকির সাহায্য মিলবে?
আপনি যদি মাছ চাষ করতে আগ্রহী হয়ে থাকেন, তবে সরকারের প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনার আওতায় ভর্তুকি পাবেন ৪০ থেকে ৬০% মতো। যোজনার আওতায় পুরুষ চাষিরা পাচ্ছেন ৪০% ও মহিলা চাষিরা পাচ্ছেন ৬০% পর্যন্ত ভর্তুকি। ফলে যারা বর্তমানে নতুন ব্যবসা শুরু করতে চাইছেন তাদের জন্য এটি অন্যতম সেরা সুযোগ হতে পারে।
উপসংহার: এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ বা ফিশ ফার্মিং বিজনেস করে অনেক মানুষ উপকৃত হয়েছেন। আপনিও চাইলে আরম্ভ করতে পারেন মাছ চাষ। পাচ্ছেন সরকারি ভর্তুকি। অল্প সময়ের মধ্যে ব্যাপক লাভ আসে এই ব্যবসায়।