Bhu-Aadhaar

ভারতবর্ষের নাগরিকদের জন্য আধার কার্ড অতি প্রয়োজনীয় একটি ডকুমেন্ট (Aadhaar Card)। বর্তমানে সমস্ত ক্ষেত্রেই আধার কার্ড ছাড়া চলে না (Aadhaar Card)। যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজের ক্ষেত্রে আধার কার্ড (Aadhaar Card) বর্তমানে অত্যাবশ্যকীয়। তবে শুধুমাত্র এখন ব্যক্তি বিশেষের জন্য নয়, জমির জন্যও করতে হবে আধার কার্ড (Bhu-Aadhaar)। আর একে বলা হচ্ছে ভূ-আধার কার্ড (Bhu-Aadhaar)।

কিভাবে বানাতে হবে এই আধার কার্ড (Bhu-Aadhaar)? এই আধার কার্ড বানানোর জন্য ঠিক কোন কোন ডকুমেন্ট লাগবে? কোন পদ্ধতিতে কিভাবে আধার কার্ড বানাতে হবে? সবটা রইল আজকের এই প্রতিবেদনে। সবটা জানতে অবশ্যই আজকের প্রতিবেদন মন দিয়ে পড়ে নিন।

Bhu-Aadhaar Details Card 2024

বর্তমানে সমস্ত অফিসিয়াল ক্ষেত্রে আধার কার্ড (Aadhaar Card) কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা আলাদা করে বলার নয়। আধার কার্ডে কোনো গাফিলতি ধরা পড়লে তার জন্য বকতে হয় ব্যক্তির সাধারণকে। আধার কার্ড সঙ্গে না রাখলেই নয়। আর এবার বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে ভু-আধার। ভারতবর্ষের নাগরিকদের নতুন নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

গত মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় বাজেটের পর সরকারের তরফে ভু-আধার (Bhu-Aadhaar) বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার ছিল কেন্দ্রীয় বাজেট। আর এই বাজেটের সময় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে স্পষ্ট ভাবে জানানো হয় এবার গ্রামীণ এলাকায় অবশ্যই বাধ্যতামূলক ভূ-আধার কার্ড।

ভারতবর্ষের গ্রামীণ এলাকায় জমির জন্য করা হবে একটি পরিচিত নম্বর। যাকে বলা হচ্ছে ভু-আধার (Bhu-Aadhaar) নম্বর। ভারতের সমস্ত ক্ষেত্রে আধুনিকরণের চেষ্টা চালাচ্ছে ভারত সরকার। আর তাই ভু-আধার (Bhu-Aadhaar) বিষয় টিকে এত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বলা যায় জমি সংক্রান্ত বিষয় গুলিকে ডিজিটাল মাধ্যমে রূপান্তরিত করা হচ্ছে।

পশ্চিমবঙ্গে শুরু হচ্ছে বাংলার বাড়ি প্রকল্প। বাড়ি বানানোর টাকা পেতে কিভাবে আবেদন করবেন

What is Bhu-Aadhaar 2024?

ভারতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বর্তমানে ডিজিটাল ব্যবস্থা কে অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আধুনিক করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে ভারত সরকার। আর সেই প্রসঙ্গে চলে আসছে ভু-আধার বিষয়টিও। এতদিন যেখানে গ্রামীন এলাকার জমিগুলির জন্য আলাদা কোন নম্বর নির্ধারণ করা হয়নি, এখন সেই পদ্ধতিতে গুরুত্ব আরোপ করতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার।

এবার থেকে জমির ডকুমেন্ট প্রমাণপত্র ডিজিটালভাবে সংরক্ষিত হবে। জমির জন্য এই পরিচিত নম্বর সংরক্ষিত হবে ভু-আধার (Bhu-Aadhaar) নম্বর হিসেবে। শহরাঞ্চলে সমস্ত জমি সংক্রান্ত ব্যাপারগুলিকে ডিজিটাল করার প্রচেষ্টা কেন্দ্রীয় সরকারের। সংশ্লিষ্ট প্রসঙ্গে কেন্দ্র অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার জমিগুলির জন্য রাজ্যের সঙ্গে একযোগে কাজ করবে।

ব্যবস্থা নেওয়া হবে জমি সংস্কার বিষয়ে।‌ আর এটি প্রযোজ্য হবে গ্রামাঞ্চল এবং শহরাঞ্চল উভয়ের ক্ষেত্রেই। এর জন্য সময় দেওয়া হয়েছে তিন বছর।সরাসরি বলা হয়েছে সংস্কারের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে তিন বছরের মধ্যে।

কিভাবে কাজ করবে Bhu-Aadhaar?

সংশ্লিষ্ট ভু-আধার ব্যাপারটিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানান, এই জমি সংক্রান্ত যে সংস্কার ও কাজগুলি করা হবে, সেগুলি শহর ও গ্রামাঞ্চলে যেকোনো জায়গাতেই হতে পারে। তিনি আরো বলেন, প্রক্রিয়াটির মধ্যে ব্যবস্থা থাকবে জমি সংক্রান্ত প্রশাসন পরিকল্পনা ও ম্যানেজমেন্ট-এর। এর পাশাপাশি এও বলা হয়েছে শহরাঞ্চলের ক্ষেত্রে পরিকল্পনার বিষয়টি থাকবে অন্তর্ভুক্ত। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনীয় অর্থনৈতিক সাপোর্টের জন্য ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানা যাচ্ছে।

আর গ্রামীণ অঞ্চলে কিভাবে জারি থাকবে কাজটি? জানানো হয়েছে, গ্রামাঞ্চলের ক্ষেত্রে জমি সংক্রান্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করার ক্ষেত্রে জমির ক্ষেত্রে সংযুক্ত থাকবে ইউনিক ল্যান্ড পার্সেল আইডেনটিফিকেশন নম্বর (ULPIN)। জমি সংক্রান্ত ম্যাপগুলি আর নথিতে নয় সেই সমস্ত নথিকে এবার থেকে ডিজিটাল মাধ্যমে রূপান্তরিত করা হবে।

কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আবেদন শুরু হল। অনলাইনে আবেদন পদ্ধতি জানুন স্টেপ বাই স্টেপ

Bhu-Aadhaar সাধারণ মানুষকে কি সুবিধা দেবে?

ভারতবর্ষের জমিগুলির মালিক কে, জমিগুলি অর্থাৎ ল্যান্ড রেজিস্ট্রি এই বিষয়গুলিকে আরো স্বচ্ছ করার জন্য জোর দেওয়া হচ্ছে। আর সেই পদক্ষেপের একটি প্রতিফলন হল ভু-আধার। আর এই পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে সাধারণ মানুষ অনেকটাই সুবিধা পাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সুবিধা হবে কৃষকদেরও। যার দ্বারা কৃষকদের ঋণ পেতে অনেকটা সুবিধা হবে, জমি সংক্রান্ত বিষয়গুলি ডিজিটালে রূপান্তরিত হলে গোটা প্রসেসটি আধুনিকরণ করা সম্ভব হবে।পাশাপাশি জমি সংক্রান্ত কারচুপি বন্ধ হবে।

প্রসঙ্গ উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, মূলত সংস্কারের উপর জোর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে অর্থনৈতিক পলিসির ওপর। আর তাই উৎপাদনের সহযোগী উপাদানগুলির পাশে থাকছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর তাই গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে উৎপাদনের উপাদান জমি, শ্রমিক, মূলধন, প্রযুক্তির মতো বিষয়গুলির উপর। তার ফলশ্রুতি এই সকল পদক্ষেপ। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদ্ধতি আরম্ভ হয়ে গেলে সারা ভারতবর্ষ উপকৃত হবে।