Banglar Bari Prokolpo: পশ্চিমবঙ্গে শুরু হচ্ছে বাংলার বাড়ি প্রকল্প। বাড়ি বানানোর টাকা পেতে কিভাবে আবেদন করবেন
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিগত কয়েক বছরে বেশ কিছু জনকল্যাণকারী প্রকল্পের (Prokolpo) সূচনা করেছেন। প্রতিটি প্রকল্পের (Prokolpo) প্রধান লক্ষ্য থাকে সমাজের সমস্ত জনসাধারণের কাছ অবধি সরকারি সুবিধা পৌঁছে দেওয়া। সম্প্রতি একটি নতুন প্রকল্পের (Prokolpo) ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ২১ শে জুলাই এর মঞ্চ থেকে তিনি বাংলার বাড়ি প্রকল্প (Banglar Bari Prokolpo) আরম্ভ করার ঘোষণা করেছেন।
২১ জুলাই এর মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বাংলার বাড়ি আমরা ডিসেম্বর থেকে শুরু করব” (Banglar Bari Prokolpo)। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে পশ্চিমবঙ্গের সূচনা হতে চলেছে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের (Banglar Bari Prokolpo)। বঙ্গবাসীর জন্য সুখবর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের তরফে।
WB Govt Scheme: Banglar Bari Prokolpo
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্পগুলি বঙ্গ সমাজের সকল স্তরের মানুষের কাছে উপকারের মতো। প্রতিটি প্রকল্পের (Prokolpo) সহায়তায় সাধারণ মানুষ ততোধিক উপকৃত হচ্ছেন। বলাই বাহুল্য কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, খাদ্য সাথী, স্বাস্থ্য সাথী, রূপশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডার-সহ পশ্চিমবঙ্গ সরকার একগুচ্ছ প্রকল্প (Prokolpo) জনসাধারণকে উপহার দিয়েছেন।
যে সকল প্রকল্পের সাহায্য পেয়ে ধন্য ধন্য করেছেন বঙ্গবাসী। এদিকে ২০২৪ সালে ছিল লোকসভা নির্বাচন। নির্বাচন কর্মসূচি ঘিরে তৎপর ছিল রাজ্য সরকার। রাজনৈতিক দল গুলির তরফে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। তবে রাজ্য সরকার সরাসরি প্রকল্পের সুবিধা বাড়িয়ে দেয়। ভোটের আগেই মাস্টার স্ট্রোকের মত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের তরফে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা দ্বিগুণ করা হয়।
বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের অধিকাংশ মহিলার কাছেই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প শুধুমাত্র মাসিক হাত খরচা নয়। বরং এই প্রকল্পের টাকা তাঁদের সংসারে প্রয়োজন হয়, সন্তানদের পড়াশোনার খাতে প্রয়োজন হয়। ফলে সরকারের এই সিদ্ধান্ত সানন্দে গ্রহণ করেন সবাই। লোকসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের দারুণ রেজাল্ট তারই প্রতিফলন বলে মনে করা হচ্ছে।
Krishak Bandhu 2024: কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আবেদন শুরু হল।অনলাইনে আবেদন পদ্ধতি জানুন স্টেপ বাই স্টেপ
বাংলার বাড়ি প্রকল্প চালু হচ্ছে ডিসেম্বর থেকে!
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি প্রকল্প অর্থাৎ পিএম আবাস যোজনা সম্পর্কে আমরা সবাই জেনেছি। তবে কেন্দ্রের পর এবার রাজ্য সরকার আনতে চলেছে বাংলার বাড়ি প্রকল্প। যে প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হবেন পশ্চিমবঙ্গের নিম্নবিত্ত মানুষেরা। আশা করা যায় বাংলার গৃহহীন মানুষেরা প্রকল্পের সাহায্য পেয়ে নিজেদের পাকা বাড়ির স্বপ্নপূরণ করতে পারবেন।
আর সেই আশাতেই অপেক্ষারত সবাই। লোকসভা ভোটের দারুণ সফলতার পর একুশে জুলাই এর মঞ্চ ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে সবচেয়ে বড় কর্মসূচি। যথারীতি ২১ জুলাই মঞ্চকে ঘিরে উপচে পড়ে সমর্থকদের ভিড়। রাজ্য সরকার এই মঞ্চেই নতুন বাড়ি প্রকল্পের ঘোষণা করেন।
দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঞ্চ থেকে ঘোষণা করেন, ডিসেম্বর মাসে বাংলার বাড়ি প্রকল্প শুরু হবে। আর সেই ঘোষণার পরেই খুশির বাঁধ ভেঙেছে বঙ্গবাসীর। তবে শুধুই নতুন প্রকল্পের ঘোষনা নয়। মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন, বাংলার জনপ্রিয় লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে দুই কোটিরও বেশি মহিলা কে টাকা দেওয়া হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের ফল এবং লড়াইয়ের বক্তব্যও উঠে এসেছে মুখ্যমন্ত্রীর কথার মধ্যে দিয়ে।
নিজের বক্তব্যের শুরুতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলার মানুষকে তিনি স্যালুট জানান৷ এত চমকানি, ধমকানি, নির্বাচন কমিশনের একপেশে ভূমিকা সত্ত্বেও বাংলার মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন জানিয়েছেন৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলায় আমরা তিনটে দলের সঙ্গে লড়েছি৷ বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেস। এদের সঙ্গে লড়াই করে জিততে হয়েছে৷’
কবে থেকে শুরু হচ্ছে বাংলার বাড়ি প্রকল্প?
এর আগে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন বাংলায় বিগত ১২ বছরে ৪৩ লক্ষ বাড়ি করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ১১ লক্ষ লোকের বাড়ির তালিকা এখনো কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পড়ে আছে। কেন্দ্র করে দেয়নি। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, আবেদন জমা থাকা ১১ লক্ষ মানুষের বাড়ি তৈরির জন্য রাজ্য সরকার মোট ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা খরচ করে তাঁদের বাড়ি বানিয়ে দেবেন।
এবার সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে কোমর বেঁধে লাগলো পশ্চিমবঙ্গ সরকার। মুখ্যমন্ত্রী নিজ বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে বলেছেন, ডিসেম্বর মাস থেকে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের সূচনা হবে। তারপর অতি দ্রুত বাংলার সাধারণ মানুষ নিজেদের পাকা বাড়ি পেয়ে যাবেন। একুশে জুলাই এর মঞ্চ থেকে কেন্দ্রের দিকে তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তবে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের সফলতা যে রাজ্য সরকারের আত্মবিশ্বাস পুনরুদ্ধার করেছে, তা নিঃসন্দেহে স্বীকার করতে হয়। খুব সম্ভবত আগামী দিনেও আরো বেশ কিছু নতুন প্রকল্পের সূচনা করবে রাজ্য সরকার। রাজ্যবাসীর অপেক্ষা, নতুন প্রকল্প গুলির ঘোষণা কবে শোনা যাবে। বঙ্গবাসীর কল্যাণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্যই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেবেন।