Rail Transit – ভারত বাংলাদেশে নতুন রেল ট্রানজিট। ভারতের সাথে ট্রানজিটে বাংলাদেশের সুবিধা ও অসুবিধা।

প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের সাথে এবার গুরুত্বপূর্ণ Rail Transit চুক্তি স্বাক্ষর করলো ভারত। বাংলাদেশের অবস্থান এমন এক জায়গায় যেখানে ভারতের উত্তর পূর্ব অঞ্চলগুলির সাথে যোগাযোগ করা অনেক সহজ হয়। ভৌগোলিক অবস্থান এর দিক থেকে তাই বাংলাদেশ আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই বিষয়কই একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে।

Advertisement

Bangladesh India Rail Transit Issue

ইতিমধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে ১০ টি সমঝোতা স্বাক্ষরে সই করেছেন। সেইগুলির মধ্যে এটি অন্যতম। ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে রেল ট্রানজিটের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এতদিন দুই দেশের মধ্যে ট্রানশিপমেন্টে পদ্ধতিতে কারবার হতো। আবার আসা যাক ট্রানজিট এবং ট্রানশিপমেন্টের মধ্যে পার্থক্য কি?

ট্রানজিটের অর্থ কি?

ট্রানজিট বলতে বোঝায় যখন একটি দেশ অন্য কোনো দেশের জমি ব্যবহার করে ট্রানজিটের ক্ষেত্রে নিজের দেশের পণ্য রপ্তানি করে। ট্রানজিটের ক্ষেত্রে নিজের দেশের পণ্য পরিবহনে তার নিজের দেশের যানবাহনই ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ ভারত যদি ভুটানে বা নিজ দেশেই নিজ পরিবহন ব্যবহার করে বাংলাদেশের ভূমি পথে তা রপ্তানি করে তখন তাকে ট্রানজিট বলা হয়। এবং এখানে ট্রানজিট সুবিধা পাচ্ছে বাংলাদেশ।

Ads

সবজির দাম সেঞ্চুরি পার, মাছেরও দাম আকাশছোঁয়া! সমস্যায় পড়ছেন ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ই।

ট্রানশিপমেন্টের অর্থ কি?

ট্রানশিপমেন্টের অর্থ হলো প্রথম দেশ দ্বিতীয় দেশের ভূমি ব্যবহার করে পণ্য তৃতীয় দেশে সরবরাহ করবে। কিন্তু সেখানে তারা নিজেদের পরিবহন ব্যবস্থা ব্যবহার করতে পারবে না। এতদিন ভারত তার বর্ডার অব্দি পণ্য নিয়ে যেতো এবং তারপর বাংলাদেশের ইঞ্জিন মারফৎ সেই দ্রব্য রপ্তানি হতো। বর্তমানে পাঁচটি রুটে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে ট্রেন চলে।

Advertisement

তিনটি যাত্রীবাহী ট্রেন এবং দুটি পণ্যবাহী। যেখানে ভারতের সীমান্ত অব্দি ট্রেন আসার পর তা বাংলাদেশী ইঞ্জিনে করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নিয়ে আসা হয়, সেখানে যান চালকও থাকেন বাংলাদেশেরই।

Advertisement

এই চুক্তির মাধ্যমে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে খুব তাড়াতাড়ি ট্রানজিট গড়ে উঠবে। যা সারা বিশ্বে একটি নজির গড়ে তুলবে। ট্রানজিট রেল পরিষেবা চালু হলেই ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশই ব্যাপক পরিমাণ লাভ করবে। রেল ট্রানজিট চুক্তি অনুযায়ী ভারত পশ্চিমবঙ্গের গেদে থেকে ভুটান সীমান্তবর্তি ডালগাও পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রেন চালু করতে চায়। এর ফলে সময় এবং খরচ দুটোই সাশ্রয় হবে।

Ads

এবার আসা যাক বাংলাদেশের সুবিধার কোথায়। সূত্র মারফৎ খবর বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে পণ্য পরিবহনের ফলে প্রতি টন পণ্যের জন্য ভারত সরকার বাংলাদেশকে ৩০০ টাকা করে প্রদান করবে। তাহলে বোঝায় যাচ্ছে একটি পণ্যবাহী ট্রেনে কত টন মাল সরবরাহ করা হয়। ফলে বাংলাদেশ এখানে অনেকাংশে লাভজনক হবে।
Written by Sathi Roy.

সম্পাদক

Leave a Comment

Advertisement