Bangla Shasya Bima – বাংলার কৃষকদের জন্য বিরাট সুখবর। এবার বিনামুল্যেই দিচ্ছে সরকার। আজই নাম লেখান।
প্রাকৃতিক কারন ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারনে, বর্তমানে কৃষকদের (Farmer Bangla Shasya Bima) মাথে চাষ করা আরও কথিন হয়ে দাড়িয়েছে। আর এই মুহুর্তে কৃষকদের সুরক্ষায় নয়া পদক্ষেপ নিলো সরকার।
Bangla Shasya Bima for farmers
বছরের বিভিন্ন সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে থাকে। এর ফলে কৃষকদের ভারী মাত্রায় লোকসানের সম্মুখীন হতে হয়। ভারতবর্ষ কৃষি প্রধান দেশ। তাই কৃষকদের এই সমস্যার হাত থেকে বাঁচাতে বিনামূল্যে শস্য বীমার আওতায় আনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। খরা ও বন্যা জাতীয় প্রাকৃতিক দুর্যোগে যে সমস্ত কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হন, তাঁরা এই বিমার (Bangla Shasya Bima) মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ পাবেন। এই লক্ষ্যেই জেলা কৃষি দপ্তর কর্তৃক প্রতিটি জেলার কৃষকদের শস্য বীমার আওতায় নাম নথিভুক্ত করা হচ্ছে।
সোমবার এই নিয়ে প্রচার চালানো হয়েছে। জানা যাচ্ছে, এই লক্ষ্যে স্থির থেকে ঝাড়গ্রাম জেলাশাসকের দপ্তর থেকে শস্য বীমা সংক্রান্ত একটি ট্যাবলো গাড়ি উদ্বোধন করা হয়েছে। এই গাড়ি জেলার আটটি ব্লক আর ঝাড়গ্রাম পৌর এলাকায় আগামী ৭ দিন ধরে প্রচার চালাবে।
Bangla Shasya Bima list
বর্তমানে এই প্রচারের মাধ্যমে জেলার প্রতিটি কৃষকের কাছে এই তথ্য পৌঁছে দেওয়াই লক্ষ্য জেলার কৃষি দপ্তরের। কৃষকদের নিজ নিজ ব্লকের কৃষি দপ্তরে গিয়ে শস্য বিমার (Bangla Shasya Bima) জন্য নাম নথিভুক্ত করতে হবে। কৃষকদের বারবার মাইকিং এর মাধ্যমে এই সম্বন্ধিত তথ্যগুলি জানানো হচ্ছে। বর্তমানে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে শস্য বিমায় নাম নথিভুক্ত করণ করা হচ্ছে।
এই বিমায় কেবলমাত্র যাঁদের চাষযোগ্য জমি রয়েছে তাঁরাই নাম নথিভূক্ত করতে পারবেন। জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, বর্তমানে ঝাড়গ্রাম জেলায় প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার কৃষক রয়েছে। এই সব কৃষকের কাছেই রয়েছে চাষযোগ্য জমি। আর তাঁরা সকলেই চাষবাস করেন। একমাত্র যাঁরা চাষাবাদ করেন তাঁরা এই বিমায় নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন।
আরও পড়ুন, পিএম কিষান যোজনার 14 তম কিস্তির টাকা কবে একাউন্টে ঢুকবে? জেনে নিন।
কৃষকদের বারবার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শস্য বীমায় নাম নথিভুক্ত করার কথা বলা হচ্ছে। এই মর্মে সোমবার থেকে মাইকিং পর্যন্ত শুরু হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে। তাঁরা বারবার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শস্য বীমায় নাম নথিভুক্ত করণের উপর জোর দিচ্ছেন। এই প্রসঙ্গে ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক সুনীল আগারওয়াল বলেছেন, গোটা আগস্ট মাস ধরে কৃষকরা শস্য বিমায় নিজেদের নাম সম্পূর্ণ বিনামূল্যে নথিভুক্ত করতে পারবেন।
আরও পড়ুন, স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের নতুন নিয়ম, বিরাট সুখবর, এবার সাধারন মানুষের সুবিধা হবে।
বন্যা ও খরার মতো বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কৃষকদের ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়। এবার থেকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও যাতে তারা Bangla Shasya Bima এর ক্ষতিপূরণ পান, সেই দিকেই বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। এই কারণেই সোমবার দিন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ট্যাবলো গাড়ি উদ্বোধন করা হয়েছে। এই গাড়ি আগামী ৭ দিন জেলার প্রতিটি ব্লক ও পৌর এলাকায় ঘুরে ঘুরে প্রচার করবে।