Bangla Awas Yojana: আবাস যোজনা প্রকল্পে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর! পাকা বাড়ি থাকলেও টাকা পাবেন, জানাল সরকার

পাকা বাড়ি থাকলেও দেওয়া হবে আবাস যোজনার টাকা

বাংলা আবাস যোজনা (Bangla Awas Yojana) প্রকল্পে নতুন আপডেট। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্য একাধিক নিত্য নতুন প্রকল্প চালু করেছেন। আর সেই সকল প্রকল্পের মধ্যে অবশ্যই উল্লেখযোগ্য বাংলা আবাস যোজনা। আর এই প্রকল্প নিয়েই সম্প্রতি এক নতুন ঘোষণা সামনে এসেছে। যা জানা যাচ্ছে, যদি আপনার পাকা বাড়ি থাকে, তবেও আপনি আবাস যোজনা প্রকল্পের টাকা পাবেন। আসুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

Bangla Awas Yojana Scheme

অতীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশবাসীর জন্য পাকা বাড়ি বানিয়ে দিতে একটি প্রকল্পের সূচনা করেন, যার নাম হল পিএম আবাস যোজনা (PM Awas Yojana). তবে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষের স্বার্থে বাংলার আবাস যোজনা (Bangla Awas Yojana) প্রকল্প চালু করেছেন। এই প্রকল্পের অন্তর্গত সুবিধাভোগী ব্যক্তিরা পাকা বাড়ি পাবেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য সরকার পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী সেই সকল মানুষদের বাড়ি বানিয়ে দেবে যাদের মাথার ওপর পাকা বাড়ির ছাদ নেই। সরকারের এই প্রকল্পের মাধ্যমে অনেক মানুষ সুবিধা পাবেন বলেই ধারণা করা যায়। তবে সম্প্রতি এই আবাস যোজনা প্রকল্পে আবার একটি নতুন ঘোষণা শোনা যাচ্ছে।

আবাস যোজনা প্রকল্পের নিয়ম বদলে গেল!

বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পে একের পর এক নিয়মের বদল সত্যি বলতে আবাস যোজনার কাজে সমস্যা সৃষ্টি করছে। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার আবাস যোজনার উপভোক্তাদের নিয়ে চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করা নিয়ে কার্যত হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন। আর নিয়মের বারবার পরিবর্তন সত্যি বলতে আবাস যোজনার তালিকা তৈরির কাজকে আরও জটিল করে তুলছে। ফলে আবাস যোজনা প্রকল্পের তালিকা তৈরীর কাজ কবে শেষ হবে, তা নিয়ে এখনো পর্যন্ত সংশয় তৈরি হয়েছে প্রশাসনের একাংশে।

আর তার ওপর আগামী ১১ নভেম্বর থেকে শুরু হবে সকল ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ। আর এই নিয়েও চিন্তিত জেলা প্রশাসন। আর তার কারণ হল, ব্লক প্রশাসনের কর্মীরাই এই দুটি কাজের দায়িত্বে রয়েছেন এবং তাঁরা আবাসের কাজে এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন যে, ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ ঠিকমতো করা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে।

আবাস যোজনার নিয়ম নিয়ে জটিলতা!

গত ৩০ অক্টোবর ছিল তালিকা তৈরির শেষ দিন। কিন্তু ঠিক তার আগেই নবান্ন থেকে নির্দেশ আসে গ্রাহকদের শুধু ইটের দেওয়ালের বাড়ি থাকলেই তাঁদের নাম বাদ দেওয়া যাবে না। বরং ছাদ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে। অর্থাৎ, আবাস যোজনার নতুন নিয়ম বলছে, এখন থেকে ঢালাই ছাদ থাকলে তবেই সেই গ্রাহকের নাম বাদ দেওয়া যাবে। আর অন্যদিকে, যাদের টালি বা টিনের ছাউনি আছে, তাঁদের নাম তালিকায় রাখা হবে।

ফলে বোঝাই যাচ্ছে আবার নতুন করে সমীক্ষা শুরু করতে হয় আর বাদ পড়া নামগুলো পুনরায় যাচাই করতে হবে। সরকারের তরফে সাম্প্রতিক নির্দেশে বলা হয়েছে যে, গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের তালিকায় থাকা উপভোক্তা যাঁরা ঋণ নিয়ে বাড়ি তৈরি করেছেন, তাঁরা আবাস যোজনা স্কিমে অর্থ পাবেন।

5 লাখ টাকার ফ্রি ট্রিটমেন্ট দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিভাবে আবেদন করবেন?

এখন সকল ব্লক প্রশাসনের কর্মীরা আবার মাঠে নেমেছেন। নতুন করে তথ্য যাচাই করার জন্য। তাঁরা তথ্য যাচাই করছেন এই বিষয়ে যে ছাদযুক্ত পাকা বাড়ির মালিকেরা ঋণ নিয়ে বাড়ি করেছেন কি না। এর মধ্যে প্রশাসনের একাংশের মতে, এই নিয়মের মাঝেমধ্যের বদলের ফলে ব্লক প্রশাসনের কর্মীরা আবাস যোজনার তালিকা তৈরিতে প্রচুর সময় ব্যয় করছেন। হিসাব থেকে দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের প্রত্যেক ব্লকে প্রায় ১০ হাজার উপভোক্তা নাম নথি ভুক্ত করিয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিবার নতুন সমীক্ষা চালাতে গিয়ে অত্যাধিক সময় ব্যয় হচ্ছে ও উপভোক্তাদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে।

Related Articles

Back to top button