Life Certificate – সমস্ত পেনশন গ্রাহকদের ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার নির্দেশ। কি কি পরিবর্তন হলো জেনে নিন
পেনশন পেতে হলে ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল সরকার
দেশের সমস্ত পেনশন গ্রাহকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি হল লাইফ সার্টিফিকেট (Life Certificate). আর একজন পেনশন গ্রাহককে নির্দিষ্ট সময় লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়। বর্তমানে অধিকাংশ পেনশন গ্রাহক ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেন। আর এবার লাইফ সার্টিফিকেট নিয়ে নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় সরকার। আপনিও যদি এখনো লাইফ সার্টিফিকেট জমা না দিয়ে থাকেন, তাহলে অতিসত্বর সার্টিফিকেট জমা দিন। আজকের প্রতিবেদনে রইল বিস্তারিত তথ্য। যদি আপনিও নতুন আপডেট না জেনে থাকেন তবে অবশ্যই সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি পড়ে নেবেন।
Life Certificate Instructions By Govt
একজন পেনশনপ্রাপক বেঁচে আছেন কি না, তা নিশ্চিত করার জন্য প্রতি বছরের অক্টোবর এবং নভেম্বর মাসে তাঁদের লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে হয় বা জমা দেওয়ার নিয়ম থাকে। লাইফ সার্টিফিকেট নিয়ে নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। প্রত্যেক পেনশন গ্রাহককে বলা হয় ডিজিটাল পদ্ধতিতে তাঁদের লাইফ সার্টিফিকেটটি জমা দেওয়া বাড়াতে। আর সেই লক্ষ্যে এবার প্রচার চালাচ্ছে সরকার।
এর আগে দু’টি পর্যায়ে প্রচার চালানো হয়েছিল। আর এবার তৃতীয় দফায় প্রচার শুরু হয়েছে ১ নভেম্বর থেকে। জানা যাচ্ছে চলবে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। বিশেষত দেশে বসবাস রত অতিপ্রবীণ নাগরিক অর্থাৎ যারা ৮০ বছরের বেশি বয়সি সেই রকম পেনশনপ্রাপকদের মধ্যে এবার ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়া প্রচলন বাড়ানো এবং চলতি বছরের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থায় সামগ্রিকভাবে ৫০ লক্ষ প্রাপককে টেনে আনাই কেন্দ্রের প্রধান উদ্দেশ্য।
দেশের পেনশন গ্রাহকদের লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার নির্দেশ!
সাধারণত, যে সকল নাগরিকেরা ভারতের বসবাস করেন এবং ব্যাঙ্ক-ডাকঘরের শাখা থেকে পেনশন নেন, সেক্ষেত্রে পেনশন গ্রাহকরা ব্যাংক কিংবা পোস্ট অফিসের যে শাখা থেকে পেনশন গ্রহণ করেন সেখানে গিয়ে তাঁদের লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়। তবে এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, পেনশন গ্রাহক যদি চলাফেরায় অক্ষম হন তবে বণ্টনকারী সংস্থার প্রতিনিধি বাড়ি এসে তাঁকে নিয়ে যান। আর এই দুই পদ্ধতির পাশাপাশি চালু রয়েছে আরও একটি পদ্ধতি আর সেই পদ্ধতি হলো ডিজিটাল ব্যবস্থায় সার্টিফিকেট জমার নিয়ম।
বর্তমানে বহু পেনশন গ্রাহক ডিজিটাল ব্যবস্থায় সার্টিফিকেট জমা দেন। এতে যে প্রধান সুবিধা থাকে তা হল, পেনশনার বাড়িতে বসে নিজেই তাঁর লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে পারেন। আর কেন্দ্র চায়, দেশের সমস্ত পেনশনপ্রাপকই ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিজেদের লাইফ সার্টিফিকেটই জমা দেন। তার সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা করতে। তাই পেনশন ও পেনশনার কল্যাণ বিভাগ ইতিমধ্যে তৃতীয় দফার প্রচারে শামিল করেছে ভারতে পেনশন বণ্টনকারী ১৯টি ব্যাঙ্ক, এর পাশাপাশি ৭৮৫টি জেলা ডাকঘর, এবং ৫৭টি পেনশনার কল্যাণ সংগঠন, কেন্দ্রের প্রাক্তন সেনা কল্যাণ বিভাগ যুক্ত হয়েছে। এ ছাড়া প্রচারে যোগ দিয়েছে বৈদ্যুতিন এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক ও আধার কর্তৃপক্ষ ইউআইডিএআই। তথ্য বলছে, তৃতীয় দফায় ভারতের ১৫০টি শহরে ৮০০ অঞ্চলে ক্রমাগত প্রচার চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই দু’লক্ষেরও বেশি প্রাপক নিজেদের ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিয়ে দিয়েছেন।
ডিজিটাল পদ্ধতিতে লাইফ সার্টিফিকেট জমা!
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পেনশন গ্রাহকরা জীবনপ্রমাণ পোর্টালের মাধ্যমে ডিজিটাল ব্যবস্থায় প্রধানত দুই ভাবে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে পারবেন। প্রথমত, পেনশন গ্রাহকরা আধারের মাধ্যমে মুখের ছবি খতিয়ে দেখে অর্থাৎ (ফেস অথিন্টিকেশন) দেখিয়ে আর দ্বিতীয়ত, আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতেও এই কাজ করা যাবে। আর এর মধ্যে মুখের ছবি খতিয়ে দেখে সার্টিফিকেট জমার উপরেই বেশি জোর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।
জানুয়ারি থেকে সরকারি কর্মীদের বেতন 18000 টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারে। প্রস্তাব গেল অর্থ দপ্তরে
আর তা কী ভাবে জমা দিতে হয়, সেটি প্রচার অভিযানে পদ্ধতির প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে নানান জায়গায় বিভিন্ন শিবির স্থাপন করে। সংশ্লিষ্ট ব্যাপারে সকলকে কারিগরি সাহায্য দেবে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক ইউআইডিএআই। এর পাশাপাশি, নানান মাধ্যমে প্রচার চালানো হবে যেমন দূরদর্শন, আকাশবাণী এছাড়াও কেন্দ্রের জনসংযোগ দফতরের মারফত। আবার এও শোনা যাচ্ছে, ব্যবহার করা হবে বিভিন্ন শর্ট ফিল্ম, এসএমএস, এক্সের মতো মাধ্যমকেও।