দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে মিলছে মমতার স্পেশাল বার্তা! আগে জানলে আগে পাবেন, দেখুন।
দুয়ারে সরকার ক্যাম্প নিয়ে এবারে বেশ উত্তেজনা রাজ্যে। কারণ আগামী পঞ্চায়েত ভোটের আগে এটাই শেষ বারের দুয়ারে সরকার ক্যাম্প। সব রকমের সুবিধা একই ছাতার তলায় পেতে হলে যেতেই হবে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে। দুয়ারে সরকারের ষষ্ঠ দফায় বাড়তি আকর্ষণ মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি। পয়লা এপ্রিল থেকে রাজ্য জুড়ে চালু হয়েছে দুয়ারে সরকার শিবির। এবারের ষষ্ঠ দফার এই কর্মসূচি অন্য বারের দুয়ারে সরকার শিবিরের চেয়ে বেশ খানিকটা আলাদা।
দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে মমতার উপহারে খুশি জনতা।
কারণ এই দুয়ারে সরকার শিবিরের স্থায়িত্ব তুলনামূলকভাবে অন্য বারের চেয়ে কম হতে চলেছে এবং তার থেকেঔ বড় ব্যাপার, এই বারের শিবিরে দেওয়া হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠি! এই বারে যেসব মানুষ দুয়ারে সরকার শিবির থেকে সরকারি পরিষেবা নিতে আসবেন, তাদের সবাইকে দেওয়া হবে মুখ্যমন্ত্রীর এই লিখিত বার্তা। এর আগে, দুয়ারে সরকার শিবিরের নানান কর্মসূচি নিয়ে জন সাধারণের কাছে মোবাইলের মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠে বার্তা প্রেরণ করার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল।
এ বার দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে সেই তালিকায় নব তম সংযোজন মুখ্যমন্ত্রীর নিজের লিখিত বার্তা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই চিঠিতে লেখা থাকছে দুয়ারে সরকার শিবির নিয়ে বিশদ তথ্য। চিঠির মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, 2020 সাল থেকে রাজ্যের মানুষের হাতের নাগালে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেবার লক্ষ্যে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে পাঁচ বার দুয়ারে সরকার শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। পয়লা এপ্রিল থেকে ষষ্ঠ বারের জন্য তাঁর সরকার এই পরিষেবা নিয়ে সাধারণ মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ফের হাজির হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত পুরসভা এবং পঞ্চায়েত এলাকাতে দুয়ারে সরকারের পরিষেবা দেওয়া হবে বলে ওই চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর ওই চিঠিতে লেখা আছে, 1 থেকে 10 এপ্রিল এই প্রথম পর্যায়ে সরকারি পরিষেবা পাওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের আবেদন গ্রহণ করা হবে। এরপরে চালু করা হবে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ। এখানে 11 থেকে 20 এপ্রিলের মধ্যে শিবির থেকে সরকারি পরিষেবা দেওয়ার কাজ চালানো হবে।
এই বারের ষষ্ঠ দফার শিবিরে, রাজ্য জুড়ে মোট 1 লক্ষ শিবির চালানো হবে। এর মধ্যে 70 শতাংশ, অর্থাৎ 70 হাজার শিবির স্থায়ী জায়গায় হবে। বাকি 30 শতাংশ, অর্থাৎ 30 হাজার শিবির হবে ভ্রাম্যমান। এই বারের শিবিরে মোট 33 টি সরকারি পরিষেবা মিলবে শিবিরগুলিতে। এই 33 টির মধ্যে 4 টি একদম নতুন পরিষেবাও আছে। নতুন 4 টি পরিষেবা হল বিধবাদের পেনশন, মেধাশ্রী, ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড এবং বাংলা কৃষি, সেচ, যোজনার আওতায় আসা ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্প।
প্রসঙ্গত, ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পের কথা চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের রাজ্য বাজেটে প্রথম ঘোষণা করা হয়। এই বারের শিবিরে মিলবে এই পরিষেবাও। শুধু পরিষেবায়নয়, এবারের শিবিরে, শিবির বা কোনও সরকারি পরিষেবা সংক্রান্ত অভিযোগ জানাবার ও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রতিটি শিবিরে একটি তালাবন্ধ বাক্স রাখা হয়েছে, যেখানে সাধারণ মানুষ তাদের অভিযোগ জমা করতে পারবেন। পরবর্তীতে ওই বাক্সে জমা পড়া অভিযোগপত্রগুলি খতিয়ে দেখবেন নবান্নের আধিকারিকেরা।
সাপ্তাহিক রাশিফল (3-9ই এপ্রিল, 2023) – মেষ থেকে মীন, পার্ট-1 দেখে নিন।
এর ফলে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে রাজ্যের মানুষের সমস্যার সরাসরি সমাধান করা সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে সরকারের তরফে। গত সপ্তাহের শুক্রবার রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী একটি বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে দুয়ারে সরকার শিবির এবং সরকারি পরিষেবা নিয়ে এই সমস্ত সিদ্ধান্তগুলি নেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে নবান্নের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি সরাসরি উপভোক্তারা হাতে পেলে সরকারের সঙ্গে রাজ্যের সাধারণ মানুষের সংযোগ তৈরি হবে।
মহিলা সম্মান সেভিংস সার্টিফিকেট – এপ্রিল থেকে সরকারের নতুন প্রকল্প, কি কি সুবিধা পাবেন জেনে নিন।
যার ফলে যে কোনও কর্মসূচি রূপায়ণে সুফল পাবে রাজ্য সরকার এবং উপভোক্তা দু’পক্ষই।’ প্রসঙ্গত, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে মাথায় রেখেই মুখ্যমন্ত্রী এই সব গঠনমূলক উদ্যোগ নিচ্ছেন বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ নিয়োগ দুর্নীতিতে রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত হয়েছে, তাই সরকারি পরিষেবা আর্থিক অনুদান ইত্যাদির মাধ্যমে ফের মানুষের মন যোগাতে চাইছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল, এমনটাই অনুমান করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
Written by Parna Banerjee.