বকেয়া ডিএ নিয়ে রাজ্যের ভোল বদল, ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ অর্থদপ্তর, ডিএ ঘোষণার ইঙ্গিত।
বকেয়া ডিএ সংক্রান্ত যাবতীয় হিসেবের বিষয় দেখে রাজ্য অর্থদপ্তর।
আজ মহালয়ার পুণ্য তিথি। দেবীর মর্তাগমন। এর মধ্যেই ডিএ (Dearness Allowance) প্রসঙ্গে রাজ্য অর্থদপ্তর এর হাইকোর্ট চত্বরে যাওয়ার বিষয়টি বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে সরকারি কর্মচারী মহলে। তাহলে কি পূজার আনন্দকে আরও উপভোগ্য করে তুলতে সুখবর শীঘ্রই আসতে চলেছে? বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হল।
মামলা মোকদ্দমা চলছে সেই ২০১৬ সাল থেকে এই বকেয়া DA মামলা নিয়ে। এখনও ফাইল ঘুরছে কোলকাতা হাইকোর্টে। কখনও অবমাননা এর মামলা, কখনও বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেবার মামলা। কিন্তু আশানুরূপ বাস্তব সাফল্য অর্থাৎ মহার্ঘভাতা পাচ্ছেন না কর্মীরা। বারংবার সিদ্ধ হয়েছে, ডিএ রাজ্য সরকারি কর্মীদের ন্যায্য আইনি অধিকার। তবে রাজ্য অর্থদপ্তর সরকারি কর্মীদের মাস পয়লা মাইনের ব্যবস্থা করেছে।
শনিবারে স্বভাবতই ছুটির দিনে রাজ্য অর্থদপ্তর এর শীর্ষকর্তার হাইকোর্টে যাওয়া নিয়ে জল্পনা এখন তুঙ্গে। প্রায় ৬ ঘণ্টা সময় কাটান হাইকোর্ট চত্তরে। ছুটির দিনে কেন হাইকোর্টে? স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন প্রশ্ন উঠছে কর্মীদের মনে। শনিবারে বিচারপতি হরিস ট্যান্ডন, অরিন্দম মুখার্জি, অমৃত সিনহা’রা ছিলেন হাইকোর্টে।
সকাল ১০.৩০ মিনিটের আগেই সেই শীর্ষকর্তা প্রবেশ করেন হাইকোর্টে। তিনি অবশ্য একাই সেখানে যান। দীর্ঘ ৬ ঘণ্টা কাটানোর পর হাইকোর্ট থেকে বাইরে বেড়িয়ে আসেন তিনি। তবে সেখানে সারাদিন তিনি কি কাজ করলেন বা কথায় ছিলেন, তা জানা যায় নি। এই বিষয়ে অর্থদপ্তরের আধিকারিকেরা কিছুই জানান নি।
ডিএ মামলায় কর্মীদের জয়, আবার মত বদলালো রাজ্য, পুজোর আগে ডিএ ঘোষণা হবে, কি জানালেন এজি।
আইনজীবিদের বক্তব্যে, রাজ্য অর্থদপ্তর এর অর্থকর্তা বা সরকারি যে কোন শীর্ষ আধিকারিকেরা হাইকোর্টে মূলত সরকারি কাজেই অ্যাডভকেট জেনারেল এর সাথে পরামর্শ করতে যান। কিন্তু শনিবারে হাইকোর্টে ছিলেন না অ্যাডভকেট জেনারেল। তাহলে তিনি গেলেন কেন?
তাহলে কি কোন বিশেষ আলোচনা করতে যাওয়াই মূল কারণ? আলোচনার বিষয় কি বকেয়া ডিএ? আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন। ধন্যবাদ।
Written by Mukta Barai.