বেতন বৃদ্ধি

এবারে শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি সহ ন্যায্য দাবিগুলি দেখতে পারে সফলতার মুখ।

এবারে বেতন বৃদ্ধি, উৎসশ্রী পোর্টাল, কনফার্মেশন লেটার, সিনিয়রিটি ইত্যাদি নিয়ে সরাসরি চিঠি গেল রাজ্যের খোদ শিক্ষমন্ত্রী ব্রাত্য বসুর হাতে। আর কারা দিলেন এই চিঠি? চিঠিতে কি কি বলা আছে? শিক্ষকদের এই সকল দবিগুলি কতটা যুক্তিসঙ্গত? এই বিষয়ে শিক্ষমন্ত্রীর বক্তব্যই বা কেমন? আসুন এই নিয়ে জেনে নি বিস্তারিত।

দেশের ভবিষ্যৎ গড়ার কারিগর হলেন শিক্ষক সমাজ। তবে রাজ্য এখন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়ে তোলপাড়। অন্যদিকে শিক্ষকদের একাধিক দাবি নিয়ে তারা বহু বছর ধরেই শিক্ষা দপ্তরের সাথে যোগাযোগ করে আসছেন। পূর্বে বিকাশ ভবনে একাধিকবার বেতন বৃদ্ধি সহ অন্যান্য বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হলেও সমাধান মেলে নি।

এতো দিন প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি সহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে শিক্ষা দপ্তর, বিকাশ ভবন সহ নানা জায়গায় যোগাযোগ করেছে রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক সংগঠন সহ অরাজনৈতিক সংগঠনগুলি। পূর্বে ‘উস্থি’ নামক সংগঠন এর উদ্যোগে কালজয়ী আন্দোলনে গ্রেড পে বৃদ্ধি হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষকদের। তবে এবারে বেতন বৃদ্ধি সহ 10টি দাবি সহ রাজ্যের শাসক দলের নামাঙ্কিত সংগঠন হিসেবে চিঠি পাঠালেন WBTPTA এর প্রেসিডেন্ট শ্রী অশোক রুদ্র মহাশয়।

আসুন জেনে নি যে তিনি শিক্ষকদের স্বার্থে বেতন বৃদ্ধি ছাড়া আর কি কি দাবির কথা জানালেন? গত 23 শে সেপ্টেম্বর, 2022 তারিখে অশোক অশোক রুদ্র মহাশয় তাদের সংগঠনের লেটার হেডে 10 টি দাবির কথা উল্লেখ করে চিঠি পাঠান খোদ শিক্ষা দপ্তরে ব্রাত্যবাবুর কাছে। কি সেই 10 দফা দাবি?

ওয়েস্ট বেঙ্গল তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন এর দাবি অনুযায়ী বেতন বৃদ্ধি 10 দফা দাবির মধ্যে প্রথমেই বলা হয় প্রাথমিকে হেড টিচার প্যানেল তৈরীর বিষয়ে। বিগত 10 বছরের বেশি তৈরী প্রাথমিকে নিয়োগ হয় নি কোন প্রধান শিক্ষক। এছাড়া বহু দিন ধরেই শিক্ষকদের দাবি ছিল যে, রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকদের যাতে অন্যান্য সরকারি কর্মীদের মতো ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ স্কিম এর আওতায় আনা নি, তার সুব্যবস্থা করা।

বেতন সংক্রান্ত বিষয়ে সিনিয়রীটি বিষয়ে দাবি জানানো হয় চিঠিতে। এছাড়া শিক্ষকদের চাকরি শুরু করার 2 বছর পরে তাদেরকে চাকরির কনফার্মেশন লেটার দেবার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। কারণ, ট্রান্সফার এবং পেনশন পাবার ক্ষেত্রে এই কনফার্মেশন লেটার না থাকলে বেশ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় প্রাথমিক শিক্ষকদের।   

নবান্নের নতুন নির্দেশে সরকারি কর্মীদের মেসেজে এবারে কত পাচ্ছেন, 4800? জানুন বিস্তারিত।

এছাড়াও, শিক্ষা বহির্ভুত BLO সংক্রান্ত কাজ থেকে প্রাথমিকের শিক্ষকদের অব্যহুতি দেবার কথা জানানো হয়। এছাড়া অনলাইন পিএফ স্টেটমেন্ট, পড়ুয়াদের স্মার্ট ক্লাস, শিক্ষকদের নির্দিষ্ট আই ডি কার্ড ইত্যাদি বিষয়েও বলা হয় শিক্ষমন্ত্রীকে। সর্বোপরি, প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিষয়গুলি ক্ষতিয়ে দেখার আবেদনও করা হয় সেখানে।

সংগঠন সভাপতি অশোক রুদ্র মহাশয়ের বক্তব্য, “আমরা শিক্ষমন্ত্রীর কাছে প্রাথমিক শিক্ষকদের কিছু দাবিদাওয়া তুলে দিয়েছি। রাজ্যের বহু প্রাথমিক স্কুলে প্রধান শিক্ষকের কাজ চালাতে হচ্ছে টিচার ইন চার্জকে। তা বদলে সমস্ত স্কুলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের দাবি শিক্ষমন্ত্রীর কাছে জানিয়েছি।” তাদের দাবি, শিক্ষমন্ত্রী তাদের বেতন বৃদ্ধি সহ 10টি দাবি গুরুত্ব দিয়ে শুনেছেন, খতিয়ে দেখার আশ্বাসও দিয়েছেন। তারা এই সকল বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপের আশার কথা জানিয়েছেন।

সরকারি কর্মচারীদের অবসরের বয়স 65 করার প্রস্তাব মন্ত্রীসভায়, কত সালে জয়েন করলে এই সুবিধা পাবেন।

তবে আর একটি বিষয় হলো, শিক্ষমন্ত্রীকে সাংবাদিকদের করা ঐ চিঠি সম্পর্কিত বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,”তৃণমূল ভবনে তো অনেকেই আসেন। কে এই অশোক রুদ্র? ঠিক চিনতে পারছি না তো!” এমন মন্তব্যে কপালে ভাঁজ পড়েছে অনেকেরই। একদা প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর সাথে শিক্ষা বিষয়ক অনেক দলীয় বৈঠকে তাকে দেখা গিয়েছে।

এছাড়া রাজ্যের শাসক দলের প্রধান শিক্ষক সংগঠন হিসেবে WBTPTA এর নাম বহুল পরিচিত। সেক্ষেত্রে শিক্ষমন্ত্রীর এমন মন্তব্য কেন? এতে কি কিছুটা মনক্ষুন্ন হলেন অশোক রুদ্র বাবু? শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয় ছাড়াও অন্যান্য বিষয়ে খোঁজ খবর পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে নজর রাখুন। উল্লেখযোগ্য খবরের সঠিক তথ্য  সঠিক সময়ে পেতে সাথে থাকুন। ধন্যবাদ।
Written by Mukta Barai.