wall clock

Wall clock : কম দামে, ভালো মানের রকমারি ব্রান্ডেড দেওয়াল ঘড়ির অন্যতম জনপ্রিয় ঠিকানা কলকাতার এই দোকানগুলো। জানুন কোথায়।

আমরা সকলেই বাড়িঘর সাজানোর সময় একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস সাজাতে কখনো ভুল করিনা  সেটি হল দেওয়াল ঘড়ি (Wall clock)। একটি গৃহসজ্জার মধ্যে যেমন দৃষ্টিনন্দন হয়ে থাকে একটি দেওয়াল ঘড়ি সেরকম আমাদের দৈনন্দিন জীবনেও একটি প্রয়োজনীয় বস্তু হলো দেওয়াল ঘড়ি। আমাদের সকলেরই সময় দেখার জন্য একটি প্রয়জনীয় জিনিস হল ঘড়ি।

ভারতের প্রথম ইংল্যান্ডের(England) তৈরি ঘড়ি এসেছিল মুম্বাই চেন্নাই কলকাতা বন্দরে বিভিন্ন ব্রিটিশ জাহাজগুলোর মাধ্যমে। কথিত আছে ভীম নাগের দোকানে কুক – কেলভির দেওয়াল ঘড়ি সর্বপ্রথম লাগিয়েছিল ১৮৫৮ (1885) সালে টমাস কুক নামক এক ঘড়ি ব্যবসায়ী। এরপরে কলকাতার বাঙালি পরিবারের মধ্যে দেওয়াল ঘড়ি লাগানো বিষয়টা আভিজাত্যের প্রতীক বলে গণ্য করা হতে থাকে। তবে সেই প্রাচীন পন্থা বর্তমান সময়ে একই রকম রয়েছে, গৃহসজ্জায় দেওয়াল ঘড়ি সাজানো এখনোও গুরুত্বপূর্ণ রয়েছে

কলকাতা শহরে বেশকিছু জায়গা রয়েছে যেখানে দেওয়াল ঘড়ি (Wall clock) অত্যন্ত বিখ্যাত, অনেক সস্তায় অনেক রকমারি ঘড়ির কালেকশন (collection) থাকে এই সমস্ত জায়গায়। চলুন সেই সমস্ত জায়গার হদিশ এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।

রাধাবাজার
ঘড়ি (Wall clock) কেনার জন্য অন্যতম আদর্শ জায়গা হল রাধাবাজার এটি কলকাতা লালবাজার অঞ্চলের কাছাকাছি। রাধাবাজারে অসংখ্য দোকান রয়েছে যেখানে  অনেক কম দামে অনেক ভাল মানের এবং বিভিন্ন ডিজাইনের ঘড়ি পাওয়া যায়, শুধুমাত্র দেওয়াল ঘড়ি নয় বিভিন্ন রকমারি হাতঘড়িও পাওয়া যায় এই অঞ্চলে। রাধাবাজারের বিভিন্ন দোকানে পাইকারি দামেও একাধিক ঘড়ি বিক্রি হয়ে থাকে। অন্যান্য অনেক জায়গার ঘড়ির দোকানের বিক্রেতারা রাধাবাজারে এসে পাইকারি দামে ঘড়ি কিনে নিয়ে যা। লিন্ডসে স্ট্রিটের একটি ঘড়ির দোকান রয়েছে যেটি বছরের পর বছর ঘড়ি প্রেমীদের জন্য অন্যতম প্রিয় দোকান বলে আখ্যা পেয়ে এসেছে।

আরও পড়ুন – সবচেয়ে সস্তায়, জিভে জল আনা সুস্বাদু বাঙালি খাবারের ঠিকানা কলকাতা শহরের এই রেস্তোরাঁগুলো

অ্যাংলো সুইচ ওয়াচ এন্ড কোম্পানি
সম্প্রতি এই দোকানটির অনেক শাখা কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চলে গড়ে উঠেছে। তবে পার্কস্ট্রিট এবং বিবাদীবাগ অঞ্চলের এই দোকানটি বেশি জনপ্রিয়। বেশিরভাগ ঘড়ি (Wall clock) প্রেমীরা এই দুই অঞ্চলের অ্যাংলো সুইচ ওয়াচ এন্ড কোম্পানি দোকানের উপর ভিড় জমায়। এই দোকানটি সর্বপ্রথম স্থাপিত হয়েছিল পার্কস্ট্রিটে ১৯০৮ সালে। পৌরাণিক এই দোকানটি বর্তমানেও বেশ জনপ্রিয়। এই দোকানে বিভিন্ন মূল্যবান ঘড়ি মেরামতের ব্যবস্থাও রয়েছে। এখানে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ঘড়ির প্রচুর কালেকশন রয়েছে।

নিলাম ঘর
বিভিন্ন পুরনো দিনের সিনেমায় গ্র্যান্ডফাদার ক্লক নামক একটি দেওয়াল ঘড়ি (Wall clock) ব্যবহার হতে আমরা দেখে থাকি। বর্তমানেও অনেকেই এই অথেন্টিক ঘড়ি নিজেদের অন্দরসজ্জার একটি অংশ করে তুলতে চায়। কলকাতার নিলাম ঘর বলে ঘড়ির দোকানে এই ধরনের গ্র্যান্ডফাদার ক্লক পেয়ে যাবেন বিভিন্ন আকারের বিভিন্ন ডিজাইন এবং বিভিন্ন দামে। এ ধরনের ঘড়ি আসলে সেগুন ও মেহগিনি কাঠ দিয়ে তৈরী হয়ে থাকে। এই ধরনের দেওয়াল ঘড়ির (Wall clock) নিজস্ব সৌন্দর্য গৃহসজ্জার ক্ষেত্রে একটি অন্যতম ভূমিকা পালন করে।