Sahanubhuti Scholarship: রাজ্যে সরকার চালু করলো নতুন সহানুভূতি স্কলারশিপ প্রকল্প। কারা আবেদন জানাতে পারবেন? কিভাবে আবেদন? বিস্তারিত জানুন

Sahanubhuti Scholarship In West Bengal

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে চালু হল সহানুভূতি স্কলারশিপ প্রকল্প (Sahanubhuti Scholarship). গত কয়েক বছরে ছাত্রছাত্রীদের জন্য একাধিক স্কলারশিপ চালু করেছে রাজ্য সরকার। সরকারের এই স্কলারশিপগুলি প্রচুর শিক্ষার্থীকে পড়াশোনায় অগ্রগতিতে সাহায্য করে। তাঁদের স্বপ্নপূরণ করতে সাহায্য করে। আজকের প্রতিবেদনে রইল নতুন চালু হাওয়া সহানুভূতির স্কলারশিপের বিবরণ। ‌অবশ্যই সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পড়ে নেবেন।

Sahanubhuti Scholarship Scheme

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার বরাবরই এই রাজ্যের পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য বেশ কিছু জনমুখী প্রকল্প (Government Scheme) নিয়ে হাজির হয়েছে।‌ এর মধ্যে অন্যতম হল রাজ্যের প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য প্রকল্প। রাজ্যের প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়া এবং ভবিষ্যৎ জীবনকে আরও সুগম করে তোলার উদ্দেশ্য নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে নিয়ে আসা হয়েছে সহানুভূতি স্কলারশিপ।

এই স্কলারশিপ প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিকভাবে সহায়তা করবে।ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের মাধ্যমিক এবং তার পরবর্তী উচ্চ শিক্ষার জন্য সরকারের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য পাবেন। আজকের এই প্রতিবেদনে রইল সহানুভূতি স্কলারশিপ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য। ‌এই স্কলারশিপের আবেদন যোগ্যতা, আবেদন পদ্ধতি জেনে নিন একনজরে।

সহানুভূতি স্কলারশিপ প্রকল্পের উদ্দেশ্য

রাজ্য সরকার যে সহানুভূতি স্কলারশিপ প্রকল্প চালু করেছে তা রাজ্যের পিছিয়ে পড়া প্রতিবন্ধী শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে অনেক সাহায্য করবে। প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে লেখাপড়া করে ভবিষ্যতে দাঁড়াতে পারেন, তাঁরা
যাতে নিজেদের স্বপ্নপূরণ করতে পারেন শুধুমাত্র তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকল্পটি চালু করার উদ্যোগ নিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এর জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার পরিষেবা বিভাগ-এর পক্ষ থেকে এই প্রকল্পটি শুরু করা হলো

সহানুভূতি প্রকল্পে আবেদনের যোগ্যতা

যারা ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে সহানুভূতি প্রকল্পের জন্য আবেদন জমা করতে চান, তাঁদের মানতে হবে বেশ কিছু শর্ত। সেগুলি কি কি? আসুন দেখে নেওয়া যাক। ১শ) আবেদনকারী শিক্ষার্থীকে ৪০ শতাংশের বেশি প্রতিবন্ধী হতে হবে। ২) যারা দৃষ্টি-প্রতিবন্ধী, শ্রবণ-প্রতিবন্ধী, অস্থি সংক্রান্ত প্রতিবন্ধী এবং মানসিক প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রী তাঁরা এই প্রকল্পে আবেদন জানাতে পারবেন। ৩) আবেদনকারী শিক্ষার্থীকে অবশ্যই নবম শ্রেণী বা তার উচ্চ শ্রেণীর পড়ুয়া হতে হবে। ৪) রাজ্যের কেন্দ্রীয় সরকারের অন্য কোন মেধা বৃত্তির সুবিধাভোগী হলে সেই ছাত্র-ছাত্রী কিন্তু এই প্রকল্পে আবেদন জমা করতে পারবেন না। ৫) আবেদনকারী শিক্ষার্থীর পারিবারে বার্ষিক আয় হতে হবে ২ লক্ষ টাকার বেশি।

এই স্কলারশিপ প্রকল্পে 2500 টাকা দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কন্যাশ্রী প্রকল্প ফরম ফিলাপ

সহানুভূতি স্কলারশিপের আবেদন পদ্ধতি

যে সকল ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা অফলাইনের মাধ্যমে সহানুভূতি স্কলারশিপে আবেদন করতে চান, তাঁরা প্রথমে সম্পূর্ণ ফর্মটি সঠিক বিবরণের সঙ্গে পূরণ করবেন। আর তারফর যে কোন কাজের দিনে আপনি সংশ্লিষ্ট জেলা জনশিক্ষা প্রসার আধিকারিকের কার্যালয়ে গিয়ে সেই ফর্ম জমা করবেন। আপনি আবেদনপত্রের সঙ্গে অবশ্যই প্রয়োজনীয় নথিপত্র যুক্ত করে জমা করবেন।

যে যে প্রয়োজনীয় নথি লাগবে সেগুলি হল- ১) শিক্ষার্থীর প্রতিবন্ধকতা বিষয়ক শংসাপত্রের জেরক্স ২) আবেদনকারী শিক্ষার্থীর পারিবারিক বার্ষিক আয়ের প্রমাণপত্র ৩) আবেদনকারীর পরিচয় পত্র ৪) আবেদনকারীর ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং IFSC Code ৫) আবেদনকারী প্রার্থীর পূর্ব শ্রেণীর মার্কশিট ইত্যাদি।

ছাত্রছাত্রীদের 6000 টাকা স্কলারশিপ দিচ্ছে পোস্ট অফিস! যোগ্যতা ও আবেদন পদ্ধতি জেনে নিন

সহানুভূতি স্কলারশিপে আবেদনের লাস্ট ডেট

সহানুভূতি স্কলারশিপে আবেদনের শেষ তারিখ- হল ২৭/১২/২০২৪।‌ তবে আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে বা কিছু জিজ্ঞাস্য থাকে তাহলে আপনি অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।

Related Articles

Back to top button