Mutual Fund: মিউচুয়াল ফান্ডের 5 গোপন টিপস! মাত্র কয়েক মাসেই হবেন কোটিপতি

Five Secret Tips About Mutual Fund

অল্প সময়ে টাকা দ্বিগুণ করতে হলে মিউচুয়াল ফান্ডের (Mutual Fund) বিকল্প হয় না। আপনি যদি মিউচুয়াল ফান্ডের কিছু গোপন টিপস জেনে যান, তাহলে আপনিও নিমেষে কোটিপতি হবেন। বড়লোক হতে কে না চান? তবে উপার্জনের টাকা কিভাবে সঠিক ভাবে সঞ্চয় করলে দ্বিগুণ রিটার্ন পাওয়া সম্ভব। আর তার জন্যই দিনের পর দিন ধরে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে মিউচুয়াল ফান্ডের প্রতি। আজকের প্রতিবেদনে আমরা জেনে নেব মিউচুয়াল ফান্ডের ৫ গোপন টিপসের সম্বন্ধে।

Five Secret Tips About Mutual Fund

প্রত্যেকটা মানুষ তাঁদের উপার্জনের টাকা এমন জায়গায় বিনিয়োগ করতে চান যে জায়গা হবে নির্ভরযোগ্য এবং যে জায়গা থেকে ভালো রিটার্ন পাওয়া সম্ভব হবে। আর এই দুই উদ্দেশ্য সফলের জন্যই আপনাকে সঠিক ভাবে প্ল্যান করে সঞ্চয় করতে হবে। আপনি যদি অল্প সময়ে টাকা দ্বিগুণ করতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে আপনি আর্থিক বিনিয়োগ করতে পারেন মিউচুয়াল ফান্ডে।

একথা ঠিক মিউচুয়াল ফান্ডে টাকা বিনিয়োগ করা একটু ঝুঁকির বিষয়ে অবশ্যই, তবে এখানে বিনিয়োগ করে আপনি কয়েক মাসের মধ্যেই কোটিপতিও হতে পারেন। তবে ওই যে আগের থেকেই বলার, মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার জন্য আপনাকে আগের থেকেই পাঁচটি টিপস সম্বন্ধে জানতে হবে। আর তাই নেই আমাদের আজকের প্রতিবেদন।

মিউচুয়াল ফান্ডের পাঁচ গুরুত্বপূর্ণ টিপস

মিউচুয়াল ফান্ড হল বৃহৎ সংখ্যক বিনিয়োগকারীর অর্থের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিনিয়োগ ব্যবস্থা। যার অর্থ পরিচালিত হয় একজন পেশাদার ফান্ড ম্যানেজার দ্বারা। যিনি বাজারের বিশ্লেষণ এবং বিনিয়োগের কৌশল ব্যবহার করেন। আর এগুলি ব্যবহার করে তিনি সিকিউরিটিজের পোর্টফোলিও তৈরি করেন। বিনিয়োগকারীদের অর্থ স্টক, বন্ড, মানি মার্কেট ইনস্ট্রুমেন্ট, অন্যান্য সিকিউরিটিতে বিনিয়োগ করেন।

বিনিয়োগ থেকে অর্জিত আয় বিতরণ করা হয় মূলধনের লাভ বিনিয়োগকারী দের মধ্যে। যা তাদের ইউনিটের মূল্য বৃদ্ধি করে। বাজারের ওঠা-পড়া মিউচুয়াল ফান্ডের উপরও প্রভাব ফেলে। এই মিউচ্যুয়াল ফান্ডের প্রধানত পাঁচটি টেকনিক রয়েছে যা এখনো পর্যন্ত অনেক বিনিয়োগকারী জানেন না। এই টিপস আপনাকে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ঝুঁকি কমিয়ে দেয় আপনার লাভের পরিমাণ বাড়ায়। এই বিনিয়োগের আগে বিস্তারিত জেনে রাখা জরুরী।

১) মিউচুয়াল ফান্ড শুধু ধনীদের জন্য নয়

অনেকের মনে ভাবনা থাকে যে মিউচুয়াল ফান্ড হয়তো শুধুমাত্র ধনীদের জন্য। কিন্তু সেই ভাবনা আসলে ভুল। আসলে যেকোনো আয়ের মানুষই এসআইপি (Systematic Investment Plan) এর মাধ্যমে বিনিয়োগ করতে পারেন মিউচ্যুয়াল ফান্ডে। সেক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি মাত্র ৫০০ টাকা থেকেই বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন।

২) বাজারের অস্থিরতা

সাধারণত,এসআইপিতে নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না বাজারের অস্থিরতায়। তবে এই বিষয়টি মনে রাখা জরুরী, দীর্ঘমেয়াদে চক্রবৃদ্ধি হারে সুদের মাধ্যমে একজন বিনিয়োগকারীর রিটার্ন বৃদ্ধি পায়।

৩) স্বল্পমেয়াদে বিনিয়োগ কৌশল

আপনাকে যে সব সময় দীর্ঘমেয়াদে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করতে হবে তা কিন্তু নয়। অল্প টাকা দিয়ে আপনি স্বল্পমেয়াদেও মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন। তবে তার আগে আপনাকে প্ল্যান সম্পর্কে আরো ডিটেলসে জানতে হবে।‌

৪) পোর্টফোলিও

একটা বিষয় মনে রাখবেন, এই ফান্ডে বিনিয়োগ-এর মাধ্যমে ইক্যুইটি, ডেট এবং হাইব্রিড ফান্ডে বিনিয়োগ করার সুযোগ থাকে। পোর্টফোলিওতে বৈচিত্র্য আসে আর ঝুঁকি কমে।

৫) ইক্যুইটি এবং ডেট

সাধারণত দেখা যায়, SIP ইক্যুইটির সাথে যুক্ত থাকে। তবে বিনিয়োগকারী চাইলে আপনারা ডেট ফান্ডেও বিনিয়োগ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে যদি ডেট এসআইপি বন্ড এবং সরকারি সিকিউরিটিতে বিনিয়োগ করা যায়, তাহলে মূলত পোর্টফোলিওর স্থিতিশীলতা বজায় রাখে।

1 হাজার টাকা ইনভেস্ট করুন আর পেয়ে যান 35 লাখ টাকা। নিজের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখুন।

৬) ঝুঁকি হ্রাস

সাধারণত মিউচ্যুয়াল ফান্ড ঝুঁকিপূর্ণ হলেও, যদি সঠিক পরিকল্পনা করা যায় এবং দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি রাখা যায় তাহলে ঝুঁকি কমিয়ে ভালো রিটার্ন পাওয়া সম্ভব। আর এখানে বিনিয়োগের আগে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ আর্থিক উপদেষ্টার সাথে পরামর্শ করুন। তারপর আপনার সুবিধা জনক প্ল্যানে বিনিয়োগ করুন।

Related Articles

Back to top button