Ration Card: কোটি কোটি রেশন কার্ড বাতিল হচ্ছে। এই কাজ না করলে রেশন বন্ধ। আপনার কার্ড সুরক্ষিত থাকবে কিভাবে?

Fake Ration Card Banned In India

পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে রেশন কার্ড (Ration Card) গুরুত্বপূর্ণ একটি ডকুমেন্ট। জনসাধারণের সুবিধার্থে সরকার বিনামূল্যে খাদ্যশস্য প্রদান থেকে বাজার দামের তুলনায় কম দামে খাদ্যশস্য বিতরণ এই রেশন কার্ডের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছে দেন। তাই রেশন কার্ডের সব নিয়ম কানুন মেনে চলা খুব জরুরী। সম্প্রতি রেশন ব্যবস্থা সম্পর্কিত নতুন নিয়ম চালু হয়েছে। বাতিল হচ্ছে কোটি কোটি রেশন কার্ড। যদি না করে থাকেন এই কাজ।

Fake Ration Card Banned In India

বর্তমানে রেশন কার্ডের মাধ্যমে সুবিধা পাচ্ছেন সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ। কিন্তু হঠাৎ করে যদি রেশন কার্ড বাতিল হয়ে যায় সেক্ষেত্রে খুব সমস্যা হবে সবার। তাই সময় থাকতে রেশন কার্ড সম্পর্কিত নিয়মগুলি মেনে চলা জরুরী। আপনিও যদি এখনো পর্যন্ত রেশন কার্ডের নতুন নিয়ম না জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই প্রতিবেদন মন দিয়ে পড়ে নেবেন।

ইতিমধ্যে দেশ জুড়ে জাল রেশন কার্ড (Fake Ration Card) ছড়িয়ে পড়েছে। আর ভারত সরকার দেশ জুড়ে ছড়িয়ে থাকা জাল রেশন কার্ডগুলির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। তাই আপনার কাছে যদি রেশন কার্ড থাকে আপনিও যদি রেশন কার্ডের একজন সুবিধাভোগী হয়ে থাকেন, তাহলে এই তথ্য ভীষণ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ আপনার জন্যেও। সম্প্রতি, কোটি কোটি জাল রেশন কার্ড সনাক্ত এবং বাতিল করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।

জাল রেশন কার্ডের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ!

ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রকের মতে, দেশব্যাপী একটি যাচাইকরণ প্রক্রিয়া আরম্ভ হয়েছে যার ফলে প্রায় 5.8 কোটি জাল রেশন কার্ডের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। যাচাইকরন প্রক্রিয়ায় আধার কার্ডের সাথে রেশন কার্ডের বিশদ ক্রস-চেক করে এবং কেওয়াইসি পদ্ধতি ব্যবহার করে এই যাচাই সম্পন্ন করেছিল কর্তৃপক্ষ। জাল রেশন কার্ডের প্রধান সমস্যা হল এই যে, দেশের বহু মানুষ তাঁরা অযোগ্য হয়েও যোগ্য ব্যক্তিদের বরাদ্দ বিনামূল্যে খাদ্যশস্য হস্তগত করছিল। এই কারণেই সরকার রেশন কার্ডধারীদের পরিচয় যাচাইয়ের কাজ চালু করেছে। যাতে দেশের দরিদ্র সাধারণ মানুষ, যাঁরা যোগ্য একমাত্র তাঁরাই শুধু সুবিধা নিতে পারেন।

একটি উদ্বেগজনক খবর সামনে আসছে। যেখান থেকে জানা যাচ্ছে বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের মতো অবৈধ অভিবাসীরা রেশনের মতো সুবিধা পাওয়ার জন্য কখনও কখনও ব্যবহার করছে জাল আধার কার্ড। আর এর মাধ্যমেই অযোগ্য লোকেরা সিস্টেমের সুবিধা নিচ্ছেন। তবে জাল রেশন কার্ডই একমাত্র সমস্যা নয়। সমস্যা রয়েছে জাল আধার কার্ড নিয়েও। যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। যদিও অনেক রেশন কার্ডকে আধার কার্ডের সাথে লিঙ্ক করা হয়েছে। তবে সব কার্ড ডিজিটালাইজড নয় বা যাচাইকরণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েও যায়নি। রিপোর্ট অনুযায়ী বলা যায় যে, KYC প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মোট PDS সুবিধাভোগী দের মাত্র 64% যাচাই করা হয়েছে। এর অর্থ বিপুল সংখ্যক রেশন কার্ডধারীর অনেকেই এখনো পর্যন্ত পুরোপুরি যাচাই করেননি।

চালু হল নতুন গ্রিন রেশন কার্ড। কী কী সুবিধা মিলবে?

আপনার রেশন কার্ড সুরক্ষিত রাখবেন কিভাবে?

আর এখন সরকারের মূল লক্ষ্য, শুধুমাত্র যোগ্য ব্যক্তিরা যাতে পিডিএস এবং অন্যান্য স্কিমগুলি থেকে উপকৃত হন, তা নিশ্চিত করা। খাদ্যশস্য এবং অন্যান্য সম্পদ যাতে সঠিক লোকের কাছে যায়। তা নিশ্চিত করার জন্য শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ। এখন আপনার যদি একটি বৈধ রেশন কার্ড থাকে, আর আপনি যদি প্রকৃত সুবিধাভোগী হন, তাহলে আপনাকে দেখে নিতে হবে আপনার তথ্য আপ টু ডেট আছে নাকি আর আপনার তথ্য আধারের সাথে লিঙ্ক করা আছে নাকি। তা নিশ্চিত করা অপরিহার্য। আর নাহলে রেশন সুবিধা নিতে আপনার অসুবিধা হবে রেশন কার্ড বাতিল হতেও পারে।

Related Articles

Back to top button