LPG Cylinder 2024: রান্নার গ্যাস নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত! কড়া হচ্ছে কেন্দ্র! এই কাজ না করলে বাতিল হবে গ্যাস কানেকশন
ভারতবর্ষের প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরে বর্তমানে LPG Cylinder বাধ্যতামূলক। রান্নার গ্যাস ব্যবহারের ফলে কমেছে উনুন, কাঠের জালে রান্না। সাধারণ মানুষ এখন এলপিজি কানেকশন নিয়ে অনেক বেশি সন্তুষ্ট(LPG Cylinder). ভারতবর্ষের ঘরে ঘরে রান্নার গ্যাসের কানেকশন পৌঁছে দিতে বেশ অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু রান্নার গ্যাসের কানেকশন নিয়ে এবার বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র(LPG Cylinder). প্রত্যেক গ্রাহকদের এই বিষয়ে ডিটেলসে জানা জরুরি। নয়তো গ্যাস কানেকশন(LPG Cylinder) বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আসুন এই বিষয়ে আজকে বিস্তারিত জানা যাক।
LPG Cylinder: কেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত!
রান্নার গ্যাস(LPG Cylinder) সম্পর্কিত সুবিধার পাশাপাশি এই নিয়ে বেশ অনেকবার সামনে এলো রান্নার গ্যাস সংক্রান্ত জালিয়াতির খবর। বিশেষ করে বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার হওয়া ডোমেস্টিক সিলিন্ডার নিয়ে অভিযোগ উঠেছে প্রচুর। আর তাই এই বিষয়টি রুখতেই নতুন করে সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। এর মধ্যে সম্প্রতি চলছে রান্নার গ্যাসের সঙ্গে বায়োমেট্রিক সংযুক্ত করার পদ্ধতি(LPG Cylinder). বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বায়োমেট্রিক পদ্ধতির ফলে জালিয়াতি রোখা অনেকটা সহজ হবে।
বছরে 3টি এলপিজি সিলিন্ডার পাবেন এক্কেবারে ফ্রিতে! রাজ্য সরকারের নতুন ঘোষণায় ঘুম উড়লো সবার
একটা বিষয় মনে রাখা জরুরি যে, ডোমেস্টিক সিলিন্ডারের সঙ্গে কাজের ক্ষেত্রে পার্থক্য রয়েছে বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের। শুধু তাই নয়, এই দুই প্রকার সিলিন্ডারের ক্ষেত্রে পার্থক্য দেখা যায় আকার, আয়তন এবং দুই ধরণের সিলিন্ডারের (LPG Cylinder) দামের ক্ষেত্রেও।
বাণিজ্যিক ও ডোমেস্টিক গ্যাস সিলিন্ডারের দামের পার্থক্য আলাদা। বিশেষ করে বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম কিন্তু সাধারণ ঘরে ব্যবহৃত গ্যাসের চাইতে অনেকটা বেশি। তাই বর্তমানে বহু হোটেল, ও রেস্তোরাঁয় দেখা যায় ডোমেস্টিক সিলিন্ডারের ব্যবহার। আর তাই বিশেষ দিকে মনোনিবেশ করে বিষয়টি রুখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিল কেন্দ্রীয় সরকার।
বছরে 3টি এলপিজি সিলিন্ডার পাবেন এক্কেবারে ফ্রিতে! রাজ্য সরকারের নতুন ঘোষণায় ঘুম উড়লো সবার
LPG Cylinder: গ্রাহকদের এই কাজটি করতেই হবে!
সাধারণত একজন ভর্তুকিপ্রাপ্ত গ্যাস কানেকশনের উপভোক্তার সঙ্গে যুক্ত থাকে তাঁর আধার কার্ড। বর্তমানে জোর কদমে কাজ চলছে সেই সকল গ্রাহকের আধার কার্ড এবং বায়োমেট্রিক গ্যাস কানেকশন যুক্ত করার। আর এই পদ্ধতির ফলে উপভোক্তার যাবতীয় তথ্য চলে যাবে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের কাছে। আর এর ফলে কি হবে? ভর্তুকি যুক্ত ওই সিলিন্ডারের মালিক কে? তিনি কীভাবে, কোথায় এই সিলিন্ডার ব্যবহার করছেন তা জানতে সুবিধা হবে সরকারের। এক নিমেষে চলে আসবে সমস্ত তথ্য।
কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পে প্রতিমাসে 5000 টাকা! কিভাবে আবেদন জানাবেন? বিস্তারিত জানুন
তবে গ্রাহকরা এটাও মনে রাখবেন যে, এই নিয়ম কেবলমাত্র প্রযোজ্য হবে ভর্তুকিযুক্ত গ্রাহকদের জন্য। যে সকল উপভোক্তা। আসলেই ভর্তুকি পান না, তাঁদের এই তথ্য আপাতত না দিলেও হবে। পরে তাঁদের জন্য নতুন নিয়ম জারি করতে পারে সরকার। এক্ষেত্রে গ্রাহকদের ভর্তুকি সম্বন্ধিত গিভ আপ ফর্ম ফিল আপ করে জানানোর দায়িত্ব বর্তাবে গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটরদের ওপর। ধারণা করা যায়, এর ফলে একদিকে যেমন ভুয়ো উপভোক্তা দের বাতিল করা সম্ভব হবে ঠিক একইভাবে ডোমেস্টিক সিলিন্ডারের(LPG Gas) কমার্শিয়াল কাজে ব্যবহারও তুলনামূলকভাবে আটকানো যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।