পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত কয়েক বছরে বিভিন্ন ধরনের স্কিম চালু করেছেন (Government Scheme)। প্রত্যেকটি প্রকল্পের উদ্দেশ্য সাধারণ মানুষের কল্যাণ সাধন। বর্তমানে রাজ্য সরকার একাধিক প্রকল্প চালু রেখেছেন। মহিলাদের স্বার্থে আলাদা করে কিছু প্রকল্প চালু হয়েছে (Government Scheme)। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো বেশ কিছু রাজ্য সরকারি স্কিমের (Government Scheme) নাম।
আজকের প্রতিবেদনে আমরা এমন একটি প্রকল্প সম্পর্কে আলোচনা করব, যে প্রকল্প প্রধানত মহিলাদের জন্য। এই প্রকল্পের দ্বারা মহিলারা পাবেন ৫ হাজার টাকা (Government Scheme)। অনেকেই এই প্রকল্প সম্পর্কে জানেন না (Government Scheme)। কারণ এই প্রকল্পের তেমন প্রচার হয়নি। তবে আজকের প্রতিবেদনটি পড়লে আপনারাও এই প্রকল্পটি (Government Scheme) সম্পর্কে জেনে যাবেন। তাহলে আর দেরি না করে চটপট জেনে নেওয়া যাক সরকার কোন প্রকল্পে মহিলাদের ৫০০০ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করছে।
WB Government Scheme 2024
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিগত কয়েক বছরে মহিলাদের জন্য একাধিক জনদরদী প্রকল্পের (Government Scheme) সূচনা করেন। আমরা বেশ কিছু প্রকল্প সম্পর্কে জানলেও বহু প্রকল্প সম্পর্কে এখনো পর্যন্ত স্পষ্ট ভাবে জানি না। তাই অবশ্যই সরকারি প্রকল্পগুলি সম্পর্কে অবহিত হতে হবে (Government Scheme)।
নয়তো বহু সুযোগ সুবিধা আমাদের হাত থেকে বেরিয়ে যাবে। আজকে আমরা আলোচনা করব মমতা সরকারের জাগো প্রকল্প (Jaago Prakalpa) সম্পর্কে। কারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন, কিভাবে সুবিধা পাবেন প্রকল্পের আবেদন কিভাবে জানাতে হবে সমস্ত তথ্য আলোচনা করা হলো আজকের প্রতিবেদনে।
পশ্চিমবঙ্গে শুরু হচ্ছে বাংলার বাড়ি প্রকল্প। বাড়ি বানানোর টাকা পেতে কিভাবে আবেদন করবেন
রাজ্য সরকার প্রতিনিয়ত রাজ্যবাসীর জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প হাজির করছেন। শুধুমাত্র তাই নয় মাঝেমধ্যেই প্রকল্পগুলির সংশোধন ও সুবিধা বৃদ্ধি করেছেন। ক্ষমতায় আসার পর থেকে সরকার সর্ব সাধারণের জন্য যে স্কিমগুলি এনেছেন বর্তমানে সেই প্রকল্পের তালিকায় নিত্যনতুন স্কিম যুক্তও হচ্ছে। রাজ্যের কোনায় কোনায় সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দিতে তৎপর রাজ্য সরকার। কম বয়সী থেকে বয়স্ক, পুরুষ, মহিলা নির্বিশেষে বেকার কিংবা স্কুল-কলেজের পড়ুয়া সকলের জন্যই চালু রয়েছে নানান ধরনের প্রকল্প।
এর আগে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে প্রতিমাসে ১ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার ঘোষণা হয়েছে। সংরক্ষিত শ্রেণীর মহিলারা পাচ্ছেন ১২০০ টাকা। তবে আপনারা কি জানেন, ১০০০ কিংবা ১২০০ টাকা নয়, রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পে দেওয়া হচ্ছে ৫০০০ টাকা। আজকে আমরা আলোচনা করব মহিলাদের জন্য চালু হওয়া একটি রাজ্য সরকারি প্রকল্প সম্পর্কে।
Government Scheme: জাগো প্রকল্প কি?
তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাগো প্রকল্পের সূচনা করেন। এই রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা এই প্রকল্পের হাত ধরে আর্থিক সুবিধা পান। প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের ১০ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য পাবেন। তবে সমস্ত প্রকল্পের মত এই প্রকল্পের ক্ষেত্রেও কিছু শর্ত ও আবেদনের নিয়ম রয়েছে।
জাগো প্রকল্পের সুবিধাগুলি কি কি?
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জাগো প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলাদের বার্ষিক ৫০০০ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা হয়। সরাসরি মহিলাদের ব্যাংকে ক্রেডিট হয় টাকা। এর সঙ্গে দেওয়া হয় একটি স্মার্ট কার্ড। একজন মহিলা যদি এই প্রকল্পের অংশীদার হন, তাহলে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য বীমার সুবিধা পাবেন।
বছরে 3টি এলপিজি সিলিন্ডার পাবেন এক্কেবারে ফ্রিতে! রাজ্য সরকারের নতুন ঘোষণায় ঘুম উড়লো সবার
জাগো প্রকল্পের আবেদনের শর্তগুলি কি কি?
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জাগো প্রকল্পে আবেদন জানাতে হলে অবশ্যই SHG গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত হতে হবে। কমপক্ষে এক বছরের জন্য গোষ্ঠীর সদস্য হতে হবে। আবেদনকারী মহিলার SHG গোষ্ঠীর ব্যাংকের বই ছয় মাসের বেশি পুরনো হতে হবে। ব্যাংকের খাতায় থাকতে হবে নূন্যতম ৫০০০ টাকা। এর পাশাপাশি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর টার্ম লোন থাকলে জাগো প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।
জাগো প্রকল্পে আবেদন জানাবেন কিভাবে?
একজন ব্যক্তি যদি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জাগো প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করতে চান, তবে অফলাইন কিংবা অনলাইন দুই ভাবেই আবেদন জমা করতে পারবেন। অনলাইনে আবেদন জন্য আবেদনকারী কে ভিজিট করতে হবে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে। ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজের নাম রেজিস্টার করে নিতে হবে। এরপর OTP বসিয়ে নিজের গোষ্ঠীর যাবতীয় তথ্য Prodant করুন। এর সঙ্গে কিছু প্রয়োজনীয় নথিও আপলোড করুন। তাহলেই অনলাইনে আপনার আবেদন জমা হয়ে যাবে।
পাশাপাশি, অফলাইনে আবেদন করতে হলে বিডিও অফিসে গিয়েও দরখাস্ত করতে পারেন। এছাড়া আপনি ৭৭৭৩০০৩০০৩ নম্বরে মিসড কল দিন, তাহলে জাগো প্রকল্প কেন্দ্র থেকে কল করা হবে। আর সেখানে আপনার গোষ্ঠীর যাবতীয় তথ্য দিয়ে রেজিস্টার করতে পারেন। তাহলে আর চিন্তা কিসের? চটপট জমা করুন নিজের আবেদন। আর রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আর্থিক সাহায্য পান।