WB Duare Shilpo

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার একটি নতুন ভাবনা সামনে আনলেন। বাংলায় চালু হচ্ছে দুয়ারে শিল্প শিবির (WB Duare Shilpo)। সম্প্রতি এই পদক্ষেপের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী (WB Duare Shilpo)। রাজ্য সরকারের পদক্ষেপে উপকৃত হবেন রাজ্যের ক্ষুদ্র, ছোট, ও মাঝারি শিল্প গুলি (WB Duare Shilpo)।

দুয়ারে শিল্প শিবিরের (WB Duare Shilpo) ভাবনা অত্যন্ত অভিনব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা (WB Duare Shilpo)। রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপ সম্পর্কে আজকের প্রতিবেদনে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। জেনে নেওয়া যাক নতুন এই পদক্ষেপের ফলে সাধারণ মানুষ কতটা উপকৃত হবেন (WB Duare Shilpo)। সমস্ত তথ্য আলোচনা করা হল এই প্রতিবেদনে।

WB Duare Shilpo 2024

পশ্চিমবঙ্গ সরকার মাঝেমধ্যেই নানান উদ্যোগ নিয়ে রাজ্যের সাধারণ মানুষের পাশে থাকার প্রচেষ্টা চালিয়ে যান। বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন হোক, নিত্যনতুন ভাবনার প্রকাশ সাধারণ মানুষ যাতে উপকৃত হন, সেটাই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রধান ভাবনা (WB Government)। কিছুদিন আগে লোকসভা নির্বাচনে দুর্দান্ত ফল করে রাজ্যে ক্ষমতায় থাকা তৃণমূল কংগ্রেস সরকার।

ভোটের ময়দানে সাধারণ মানুষকে পাশে পেয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের আত্মবিশ্বাস চনমনে। সকলেই চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষের জন্য আরো নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করুক। সরকার (WB Government) সেই কাজ পুরোদমে শুরু করে দিয়েছে। ‌একুশে জুলাই এর মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেছেন।

যার মধ্যে অবশ্যই উল্লেখযোগ্য লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের না গৃহীত হওয়া আবেদনগুলি পুনঃবিবেচনা করা ও বাংলার বাড়ি প্রকল্পের কাজ শুরু। পশ্চিমবঙ্গ সরকার (WB Government) সকলের পাশে দাঁড়াতে বদ্ধপরিকর। তাই এবার চালু করা হলো দুয়ারে শিল্প শিবির (WB Duare Shilpo)। কি কি উপকার মিলবে রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপে?

লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে মিলবে ডাবল সুবিধা! কারা পাবেন? কিভাবে পাবেন? জেনে নিন

দুয়ারে শিল্প শিবিরে উপকৃত হবেন কারা?

আগে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে দুয়ারে সরকার চালু হয়েছে। বাংলার জেলায় জেলায় বসছে ভিন্ন ভিন্ন প্রকল্পের আলোচনা শিবির। দুয়ারে সরকার মানে আপনার ঘরের কাছে সরকার। কোন প্রকল্পে আবেদন জানানো থেকে কোন স্কিম সম্পর্কিত সমস্যা, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড ও বিভিন্ন ডকুমেন্ট সম্পর্কিত জিজ্ঞাসাবাদ কিংবা তথ্য পরিবর্তন সবটাই হচ্ছে আপনার ঘরের দোর গোড়ায়। এই শিবিরের দ্বারা উপকৃত হচ্ছেন এই রাজ্যের হাজার হাজার বাসিন্দা। তবে এবার আর দুয়ারে সরকার নয়। বরং আমাদের আলোচনার বিষয় দুয়ারে শিল্প শিবির (WB Duare Shilpo)।

পশ্চিমবঙ্গের ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি শিল্পকে কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দিতে বসতে চলেছে ‘দুয়ারে শিল্প’ শিবির। আর এই ক্যাম্পগুলিতে ব্লকস্তরে সফল ও পেশাদারিত্বের জন্য উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করা হচ্ছে প্রাইসওয়াটারহাউস কুপার্সকে। রাজ্য সরকারের এই ভাবনার পোশাকি নাম ‘দুয়ারে উদ্যম ক্যাম্প’ করার প্রস্তাব এলেও, সেই দাবি কিন্তু খারিজ করেছে রাজ্য সরকার।

এবার জমির জন্য আধার কার্ড করতে হবে। কিভাবে করবেন?

এই ক্যাম্পে কি কি সুবিধা মিলবে?

সাধারণত বাংলার বিভিন্ন ক্ষুদ্র-মাঝারি-ছোট সংস্থাগুলি যদি কেন্দ্রের উদ্যম পোর্টালে নথিভুক্ত না হয় তবে সরকারি প্রকল্পে ঋণ বা ভর্তুকির সুবিধা পায় না। রাজ্য ও কেন্দ্রের অন্যান্য সুবিধাও পায় না তারা। তথ্য বলছে, পশ্চিমবঙ্গের বহু সংস্থা এখনো সরকারি খাতায় নথিভুক্ত নয়। তাই প্রতিটি ব্লকে ক্যাম্প নেওয়া হচ্ছে এই উদ্যোগ।

সূত্রের খবর, গত বছর ‘শিল্পের সমাধানে’ ক্যাম্প আয়োজিত হওয়ার সময় হস্তশিল্প, তাঁতশিল্প সাহায্য পেলেও, গুরুত্ব পায়না ক্ষুদ্র শিল্প। তাই এই বার চালু হতে চলেছে দুয়ারে শিল্প শিবির কথা। জানা যাচ্ছে ইতোমধ্যে পরিকল্পনা হয়েছে চূড়ান্ত। আগামী আগস্ট মাসে এই শিবির আরম্ভ হবে। এর পাশাপাশি জানা যাচ্ছে, দুয়ারে সরকার শিবিরের সঙ্গে নয়। আলাদা করে এই শিবিরের আয়োজন করা হবে।

ক্ষুদ্রশিল্প দফতরের এক কর্তা বলেছেন, ‘সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের সংস্থা গুলিকে সরকার যে সহায়তা দেয়, তা পাওয়া যাবে এখান থেকে। মূল লক্ষ্য হবে উদ্যম পোর্টালে নথি ভুক্তি করাও। তিনি আরও জানান, খুব সম্ভবত এই মাসে ক্যাম্পের বিষয়ে ঘোষণা হবে।

রাজ্যে দুয়ারে শিল্প শিবিরের জন্য গত ২৫ জুন ছোট শিল্পের সংগঠন ফসমির কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রাইসওয়াটারের প্রতিনিধিরা। এই বৈঠকে কথা হয়েছে রাজ্যে দুয়ারে শিল্প ক্যাম্প সফল করতে কি করতে হবে ও বেশি সংস্থাকে আনতে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন ইত্যাদি নিয়ে। সূত্রের খবর, বাংলা জুড়ে ৫৫০০ সদস্যের মাধ্যমে দুয়ারে শিল্প ক্যাম্পের প্রচার চলবে। যার লক্ষ্য হবে, আরও বেশি সংস্থাকে এর সঙ্গে নথিভুক্ত করানো। যাতে তারা সঠিকভাবে ঋণ, মূলধন ইত্যাদি সুবিধা নিতে পারে। সবাই মিলে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে যাতে এই ক্যাম্প সফল হয়। এখন দেখা যাক, রাজ্য সরকারের প্রচেষ্টা কতটা সাধারণ মানুষের কাছ অবধি পৌঁছাতে পারে।