Lakkhir-Bhandar

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে চালু করা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্প লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakkhir Bhandar Scheme)। রাজ্যের মহিলা দের ক্ষমতায়নের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী চালু করেন এই প্রকল্প (Lakkhir Bhandar Scheme)। এই প্রকল্পে বর্তমানে সুবিধার পরিমাণ বেড়েছে। চলতি বছর লোকসভা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন যে, লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের (Lakkhir Bhandar Scheme) প্রত্যেক আবেদনকারী দ্বিগুণ করে টাকা পাবেন (Lakkhir Bhandar Scheme)।

অর্থাৎ আগে যেখানে ৫০০ টাকা দেওয়া হতো বর্তমানে সেখানে মিলছে ১০০০ টাকা আর্থিক সাহায্য (Lakkhir Bhandar Scheme)। আর যারা পেতেন ১০০০ টাকা তাঁদের দেওয়া হবে ১২০০ টাকার আর্থিক সাহায্য। কিন্তু কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী আবার একবার ঘোষণা করেছেন খুব শীঘ্রই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা বাড়তে চলেছে।

শুধু তাই নয়, এই প্রকল্পের জন্য যারা আবেদন জমা করেছেন, তাঁদের জন্য নেওয়া হবে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ (Lakkhir Bhandar Scheme)। এরপর থেকে আর কেউ প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন না। কি ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী? আসুন সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাক।

বাজেটে কোন কোন জিনিসের দাম বাড়ল? সস্তা হলো কি কি? একনজরে দেখে নিন সম্পূর্ণ তালিকা

Lakkhir Bhandar Scheme 2024

পশ্চিমবঙ্গ সরকার জনকল্যাণ স্বার্থে বর্তমানে বেশ কিছু প্রকল্প (Lakkhir Bhandar Scheme) চালু করেছে। যার মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakkhir Bhandar Scheme)। বিশেষ করে মেয়েদের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডারের মতো প্রকল্পের আরম্ভ করেছে (Lakkhir Bhandar Scheme)।

প্রতিটি প্রকল্পের উদ্দেশ্য মেয়েদেরকে স্বাবলম্বী করে তোলা তাঁদের ক্ষমতায়নে সাহায্য করা। কন্যাশ্রী প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গের মেয়েদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে সাহায্য করে। নিজের পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করে। তেমনি লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প শুধুমাত্র মাসিক হাত খরচা দেয় তা নয়, বরং বর্তমানে মহিলাদের কর্মসংস্থানে সাহায্য করে। অনেকেই নানান কোর্সে যুক্ত হচ্ছেন তো অনেকেই নিজ সংসারে প্রকল্পের অর্থ ব্যবহার করছেন।

পাশাপাশি সন্তানদের পড়াশোনা, নিজের প্রয়োজন মেটাতে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের অর্থ পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের প্রয়োজনে লাগছে। এই প্রকল্প নিয়ে সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের একটি নতুন ঘোষণা করেছেন। যে ঘোষণা সকলের মুখে হাসি ফোটাচ্ছে। আজকে প্রতিবেদনে মুখ্যমন্ত্রীর নতুন ঘোষণা সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।

এবার জমির জন্য আধার কার্ড করতে হবে। কিভাবে করবেন?

Lakkhir Bhandar: বিরাট ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী!

বর্তমানে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন জমা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের বহু মহিলা। কিন্তু সেই সকল মহিলাদের মধ্যে অনেকেই এখনো পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য পাচ্ছেন না। কোন কারনে তাঁদের আবেদনে হয়তো ত্রুটি রয়েছে, অথবা কোন কারনে তাঁদের আবেদনের পথে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একুশে জুলাই এর মঞ্চ থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডার সম্পর্কিত নতুন ঘোষণা করেন।

একুশে জুলাই এর মঞ্চে ভাষণ দিতে এসে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ডিসেম্বর থেকেই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের পড়ে থাকা আবেদনগুলি নিয়ে কাজ শুরু করবে রাজ্য সরকার। পড়ে থাকা আবেদনগুলি খতিয়ে দেখা হবে। তিনি আরো বলেন, ডিসেম্বর থেকেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য পড়ে আবেদন নিয়ে কাজ শুরু করবে সরকার।

তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের প্রকল্পগুলি যেমন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী ও রুপোশ্রী প্রকল্পের জন্য ৬০ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে সরকার। বিধবা ভাতা, লক্ষ্মীর ভান্ডার, বাংলার বাড়ি-সহ, বেশ কিছু ভাতা দেওয়া শুরু হবে ডিসেম্বর থেকে। মুখ্যমন্ত্রী আভাস দিয়েছেন পুজোর পরেই জোরকদমে কাজ শুরু করবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন জমা করার প্রত্যেক মহিলা এর সুবিধা পাবেন।

Lakkhir Bhandar: লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর!

চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প-এর টাকা দ্বিগুণ করা সরকারের মাস্টার স্টোক ছিল। প্রকল্পের টাকা দ্বিগুণ করতে রাজ্যবাসীর মুখে ফুটেছিল হাসি। যার প্রতিফলন দেখা যায় ভোটের রেজাল্টে। একুশে জুলাই এর বিরাট সভা মঞ্চে দাঁড়িয়ে সেই লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যে কথা বলবেন তা আশা করাই যায়। যথারীতি মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্পের জন্য আটকে থাকা প্রতিটি আবেদন খুব তাড়াতাড়ি খতিয়ে দেখা হবে। রাজ্যের প্রত্যেক মহিলা যাতে প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারেন সেটাই দেখবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

প্রসঙ্গত, দিন দিন বাড়ছে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আবেদনকারীর সংখ্যা। আগামী দিনেও যে গ্রাফটা ঊর্ধ্বমুখী হবে তা এখন থেকে ধারণা করাই যায়। আর মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরে নিশ্চিত প্রত্যেক মহিলার সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার দিকে নজর দেবে সরকার।

শুধু তাই নয় আগামী দিনে এই প্রকল্পের সুবিধা আরো বাড়বে। প্রকল্পের আর্থিক পরিমাণ বাড়বে নাকি, সেটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। যদিও সরকারের তরফে এই প্রকল্পের জন্য ফের নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। আর সেই আশাতেই অপেক্ষায় আছেন পশ্চিমবঙ্গবাসী।