Central-GovernmentCentral-Government

নিয়ম না মানায় রাজ্যের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government)। রাতারাতি বন্ধ হয়ে গেল প্রকল্পের টাকা। রাজ্যের শিক্ষা ক্ষেত্রে তথা স্কুল প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রের তরফে (Central Government) যে টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছিল, এবার সেই টাকা বন্ধ করা হলো। কেন্দ্রের (Central Government) এই পদক্ষেপে নিঃসন্দেহে চিন্তায় রাজ্য। তবে শুধুমাত্র বাংলার ক্ষেত্রে নয়। আরো তিন রাজ্যের জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

কিন্তু কেন হঠাৎ করে কেন্দ্রের তরফে (Central Government) এমন কড়া সিদ্ধান্ত? জানা গেল সম্প্রতি। সূত্রের খবর, ‘সমগ্র শিক্ষা অভিযানের’ আওতায় থাকা কর্মসূচিতে সম্প্রতি ফান্ড বন্ধ করে দিল কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। গোটা দেশে একসঙ্গে তিন রাজ্যের ক্ষেত্রে নেওয়া হয়েছে পদক্ষেপ। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও তালিকায় রয়েছে দিল্লি ও পাঞ্জাব। পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ। যার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে, এই তিন রাজ্য প্রধানমন্ত্রী স্কুলস ফর রাইসিং ইন্ডিয়া স্কিমে অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে নাকি আগ্রহ দেখায়নি!

Save Electricity – রাজ্যের প্রত্যেক স্কুলে মুখ্যমন্ত্রী কড়া নির্দেশ! নোটিশ দেখে শিক্ষকদের মাথায় হাত

স্কুল প্রকল্পের ফান্ড দেওয়া বন্ধ করলো কেন্দ্র!

সম্প্রতি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে এই সংক্রান্ত বিষয়ে একটি প্রতিবেদন পাবলিশ হয়েছে। যে প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য। ‌প্রতিবেদনে কি বলা হয়েছে? সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, আগামী পাঁচ বছর স্কিমের বাজেট ধরা হয়েছিল ২৭,০০০ কোটি টাকা। যার মধ্যে কেন্দ্র (Central Government) এই প্রকল্পের জন্য ৬০ শতাংশ টাকা দিত।

বাকি ৪০ শতাংশ দিতে হতো রাজ্যকে। এই নিয়ম চালু ছিল এতদিন। প্রকল্পের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য ছিল সরকারি স্কুলগুলিকে উন্নত করা। যার জন্য একটি লক্ষ্য মাত্রা নেওয়া হয়েছিল যে ১৪,৫০০ সরকারি স্কুল কে উন্নীতকরণ করা হবে। প্রকল্পের জন্য অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ছিল কেন্দ্রের তরফে আসা ফান্ড। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি বলছে, এই ফান্ড বন্ধ হয়ে গেলে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

বর্তমানে ভারতবর্ষ জুড়ে লাগু হয়েছে জাতীয় শিক্ষানীতি। আর এই জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ অনুসারে স্কুলগুলির উন্নতির উপর আরও জোর দেওয়া হচ্ছে। আর সেই বিষয়ে আগেই কথা বলা হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে কথা ছিল কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের সঙ্গে রাজ্যের মউ স্বাক্ষর করতে হবে। সেই মৌ স্বাক্ষরের পর ভারতের সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায্য পাবে।

কিন্তু তারপর জানা যায়, পশ্চিমবঙ্গ দিল্লি এবং পাঞ্জাব এই তিনটি রাজ্য স্কিম সংক্রান্ত বিষয়ে কোন আগ্রহ দেখায়নি। শুধু তাই নয়, প্রকল্পের অগ্রগতির জন্য এগিয়ে আসেনি। সংশ্লিষ্ট স্কিমের ক্ষেত্রে যথাযথ উৎসাহ দেখায়নি এই তিনটি রাজ্য। যার ফলস্বরূপ কেন্দ্রীয় তরফে বন্ধ করা হয়েছে ফান্ড পাঠানো। স্কিমগুলির জন্য আর্থিক সাহায্য।

ভারতের কোন রাজ্যগুলি মৌ স্বাক্ষরে রাজি নয়?

পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব, এবং দিল্লি ছাড়াও তালিকায় আসছে আরো দুটি রাজ্যের নাম। তামিলনাড়ু ও কেরালা। ইতোমধ্যে সূত্রের খবর, তামিলনাড়ু, কেরল, দিল্লি, পাঞ্জাব ও পশ্চিমবঙ্গ এই পাঁচ রাজ্য প্রকল্প সংক্রান্ত বিষয়ে যে মৌ সাক্ষরের কথা বলা হয়েছিল সেই মৌ স্বাক্ষর করেনি।

তবে এখনো পর্যন্ত যা খবর, পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে দুটি রাজ্য যথা তামিলনাড়ু, কেরল এই দুই রাজ্য কিন্তু মউ স্বাক্ষর করার ক্ষেত্রে আগ্রহ দেখিয়েছে। কিন্তু বাকি তিনটি রাজ্য যথা- পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, পাঞ্জাব এই চুক্তিতে সই করতে চায়নি। এই তিনটি রাজ্যের হাবভাব দেখে কেন্দ্রীয় সরকার এসএসএ অর্থাৎ ‘সমগ্র শিক্ষা অভিযান’-এর ফান্ড বন্ধ করে দেয়।

Attendance System – প্রত্যেকটি স্কুলের পড়ুয়া ও শিক্ষকদের জন্য চালু হচ্ছে নতুন নিয়ম! স্কুলে ঢোকার নিয়মে বদল।

কেন্দ্রের তরফে বাংলার পাওনা ১০০০ কোটি টাকা!

সাম্প্রতিক এই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে জানা যায়, কেন্দ্রের কাছে পশ্চিমবঙ্গের পাওনা মোট ১ হাজার কোটি টাকা। দিল্লির‌ ৩৩০ কোটি টাকা পাওয়ার কথা। কেন্দ্র থেকে সে টাকা দেওয়া হচ্ছে না। পাঞ্জাবে পাওনা রয়েছে সব মিলিয়ে ৫১৫ কোটি টাকা। তিনটি রাজ্যের পাওনা টাকা দেওয়া হচ্ছে না। সেই টাকা কেন্দ্রীয় সরকার দিচ্ছে না বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।

সূত্রের খবর, চলতি আর্থিক বছরের এপ্রিল থেকে জুন এই কোয়ার্টারের টাকাও মেলেনি। এদিকে, বরাদ্দের জন্য রাজ্যগুলির তরফে একাধিকবার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে চিঠি। কিন্তু তারপরেও মিলছে না কোন সাড়া। কেন্দ্রের তরফে আসেনি কোনো বরাদ্দ।

স্বাভাবিক ভাবেই সংশ্লিষ্ট বিষয়টি নিয়ে রাজ্যগুলির চিন্তার কারণ হয়েছে। তবে এও ধারণা করা হচ্ছে, আর এই টাকা না পাওয়ার কারণ হয়তো ‘প্রধানমন্ত্রী স্কুলস ফর রাইসিং ইন্ডিয়া স্কিম লাগু না করার জেরেই এই ফান্ড আটকে গিয়েছে।‌ অন্তত তেমনটাই মনে করা হচ্ছে।