school-teachers ( স্কুল শিক্ষক )

পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে School Teachers দের জন্য দেওয়া হলো বিশেষ বার্তা। নিত্যদিনই খবরের পাতায় পাতায়, বিভিন্ন নিউস চ্যানেলে শোনা যায় শিক্ষক দুর্নীতি মামলা সহ একাধিক তথ্য। মানুষের মধ্যে ধীরে ধীরে শিক্ষক পেশাটিকে নিয়ে দেখা যাচ্ছে সংশয়। কিন্তু আমাদের সমাজের মানদণ্ড তৈরি করবেন যারা তাদের এই দুর্দশা হতে দিতে পারেন না রাজ্যের সরকার। সম্প্রতি কিছু দিনের মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে শিক্ষক শিক্ষিকাদের স্বার্থে অফলাইন বদলির নির্দেশিকা জারি করা হয়।

Govt will Take Action for Non Instructional Work of School Teachers

এবার পড়ুয়াদের স্বার্থে রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে আরো একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বিভিন্ন সময় দেখা যাচ্ছে শিক্ষক, শিক্ষিকা, বা শিক্ষাকর্মীরা স্কুলের কাজ বাদ দিয়ে অন্য কোনো কাজে সাথে লিপ্ত থাকছেন। যা তাদের পেশাগত দিক থেকে একদমই করা উচিত নয়। তাদের এই কার্যকলাপের জন্য সাফার করতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। অনেক সময় পড়ুয়াদের সিলেবাস সম্পূর্ণ হচ্ছেনা।

আবার অনেক সময় দেখা যাচ্ছে দ্রুত সিলেবাস শেষ করার দরুণ পড়ুয়াদের সঠিক মূল্যায়ন হচ্ছেনা বা সঠিক জ্ঞান হচ্ছেনা। এই ঘটনার যেনো কোনো ভাবেই পুনরাবৃত্তি না হয় তাই সরকারের তরফে এই পদক্ষেপ। বিশেষ কারণ ছাড়া ছুটি নিতে পারবেন না School Teachers রা। যদি কোনো কারণে ছুটি নিতেই হয় তাহলে স্কুল কার্যকরী সমিতির অনুমতি নিতে হবে নতুবা তাদের বিভাগীয় তদন্তের আওতায় আনা হবে।

রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় বড় বদল। উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ পড়ুয়াদের জন্য ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিলো রাজ্য সরকার।

মাসের শেষে এই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য স্যালারি রিকুইজেশন স্কিপ সমেত জমা করতে হবে স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের। এই নিয়ম ২০২৪ সালে প্রথম চালু করা হয়েছিল এমনটা নয়। স্বপন মন্ডল যিনি বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক তিনি জানান ২০১৮ সাল থেকেই এই নিয়ম চালু করা হয়েছিল। তবে টা সঠিক ভাবে কার্যকরী হয়নি।

শিক্ষক শিক্ষিকারা বা শিক্ষাকর্মীরা এই নিয়ম সঠিক ভাবে পালন করেননি যার ফলে অধঃপতন হয়েছে। তাই সরকারের উচিত নিজেদের সমর্থক শিক্ষক শিক্ষাকর্মীদের আগে সংযত করা, তাহলেই বাকিরা শুধরে যাবে। পুরো প্রক্রিয়াটিতে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে স্কুলের প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকাকে।

তারাই যদি পুরো ব্যাপারটিকে সঠিক ভাবে পর্যালোচনা করেন তাহলে সমস্ত বিষয়টি আয়ত্তের মধ্যে চলে আসবে। কিন্তু এখানেও দেখা গিয়েছে এক বড় সমস্যা। প্রধান শিক্ষকের পক্ষে স্কুলের এতো কর্মী শিক্ষক শিক্ষিকাদের নজরে রাখা এবং তাদের এই সমস্ত বিষয় অবগত হওয়া একার পক্ষে সম্ভব নয়।

স্কুলের সময় কাজ ফাঁকি দিয়ে School Teachers রা কে কোন কাজের সাথে যুক্ত আছে, সেই বিষয়ে নজরদারি স্কুল জেলা পরিদর্শকের চালাতে হবে। এছাড়া প্রধান শিক্ষক যদি এই বিষয়ে নজরদারি শুরু করেন তাহলে বাকিদের সাথে তার কটু সম্পর্ক তৈরি হতে পারে। তাদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে জানান একাংশ।
Written by Sathi Roy.