Fake Lottery – রাজ্যের একাধিক জেলায় বিক্রি হচ্ছে জাল লটারি। বেআইনি ব্যাবসা বন্ধ করতে কড়া পদক্ষেপ রাজ্যের।
Fake Lottery নিয়ে এবার জায়গায় জায়গায় তল্লাশি সিআইডি গোয়েন্দাদের। লটারি বিক্রির বিরুদ্ধে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় একাধিক মানুষের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। যার মধ্যে করে রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গের একাধিক জেলা। সম্প্রতি এই সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে ১৭ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৈধ্য কোম্পানির লটারি বিক্রির পাশপাশি চলছে অবাধে অবৈধ লটারি বিক্রি। যার ফলে চোখের পলকেই টাকা গায়েব হয়ে যাচ্ছে সাধারণ মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষদের।
Fake Lottery Ticket Selling
লটারি এমন একটি খেলা যেখানে মানুষ সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে নিমিষের মধ্যে লাখ পতি, কোটিপতি হয়ে যেতে পারে। নির্দিষ্ট এই খেলাটির মধ্যে কোনো কায়িক শ্রম বুদ্ধি কোনোটিরই প্রয়োজন নেই। তাই সাধারণ মানুষ তাদের ভাগ্যের ওপর বিশ্বাস রেখে লটারি কেটে থাকেন। যাতে তারা হতদরিদ্র জীবন থেকে বেড়িয়ে ভালো মানের জীবনযাপন করতে পারে। ঠিক এই জায়গাটাকেই সবচেয়ে বড় সুযোগের জায়গা করে নিয়েছেন জালিয়াতরা।
জালিয়াতরা বৈধ্য টিকিটের সাথে বিক্রি করছেন Fake Lottery. এবং তাতে সবথেকে বেশি টার্গেট হচ্ছেন নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষরা। লটারি টিকিট কাটার ফলে ঘরে আসছেনা এক টাকাও। বদলে সব টাকা চলে যাচ্ছে দিনের পর দিন লটারির টিকিট কিনতে। টাকা ঘরে না আসায় ঘরে অশান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। এলাকায় এলাকায় টাকা জোড়ারের উদ্যেশ্যে বেড়ে চলেছে চুরি, ছিনতাই এর মতো একাধিক ঘটনা।
দাম বাড়ল জিও, এয়ারটেল সহ ভোডাফোন কোম্পানি। প্রত্যেকটি প্ল্যান বাড়লো 50 থেকে 100 টাকা।
এই গোটা বিষয়ে একমাত্র লাভবান হচ্ছেন লটারি বিক্রেতারা। সাধারণ মানুষের চোখে ধুলো দিয়ে তৈরি হচ্ছে বেমানি জমি সহ মোটা ব্যাংক ব্যালেন্স। এইদিকে সাধারণ মানুষ না জেনেই সকাল থেকে লটারির কাউন্টারগুলিতে ভিড় করছেন। এবং লটারি কেটে সর্বশান্ত হচ্ছেন। এতে গরীর মানুষ দিন দিন আরো গরীবে পরিণত হচ্ছেন। সূত্রের খবর এমন কয়েকশো ভুয়ো কাউন্টার তৈরি হয়েছে জেলায় জেলায়। অনেকের অভিযোগ এই কান্ডে যুক্ত আছে ওপর মহলও।
Fake Lottery কারবার চালানোয় স্থায়ীও পুলিশ ও প্রশাসন সমানতালে সাহায্য করছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। তবে ইতিমধ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া কড়া হুকুমের পর নড়ে বসেছে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন। রাজ্য জুড়ে তারা ভুয়ো বিক্রেতাদের শনাক্তকরণের উদ্দেশ্যে অভিযান চালাচ্ছেন। এই আবহে ৩২ জন দৃতকে গ্রেফতার করেছে রাজ্যের গোয়েন্দা বিভাগ। তাদের হাতে এসেছে একাধিক নথি ও জাল লটারি।
পুলিশ এবং গোয়েন্দা বিভাগের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ইতিমধ্যে বিরাট আকারে Fake Lottery বিক্রির এই মামলা জন সমুক্ষে আসার পর গা ঢাকা দিয়েছে বহু লটারি বিক্রেতা। কিন্তু সেইসব ভুয়ো লটারি ডিলারদের অবশ্যই শনাক্ত করবে রাজ্যের গোয়েন্দা এবং পুলিশ প্রশাসন।
Written by Sathi Roy.