Kisan Vikas Patra – কিষান বিকাশপত্র স্কিমে ইন্টারেস্ট রেট কত? পোস্ট অফিসে কিষান বিকাশপত্র স্কিম করার নিয়ম।

পোস্ট অফিসের স্কিম গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি স্কিম হলো কিষান বিকাশ পত্র বা Kisan Vikas Patra Scheme. যেসকল ব্যাক্তি ভারতীয় ডাক বিভাগে বিনিয়োগ করতে পছন্দ করেন তাদের ক্ষেত্রে তো এই স্কিমটি খুবই সুবিধাজনক হতে চলেছে। পাশাপাশি যারা পোস্ট অফিসের স্কিমগুলিতে এখনো কোনো বিনিয়োগ করেননি তাদের কাছে কিষান বিকাশপত্র স্কিমটি থাকতে চলেছে পছন্দের তালিকায়।

Kisan Vikas Patra Scheme Interest Rate and Benefits

সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে ট্রেন্ডিং এ গাঁ ভাসিয়ে বহু মানুষই এখন বিভিন্ন কোম্পানির স্টক মিউচুয়াল ফান্ড এই ধরনের বস্তুতে বিনিয়োগ করছেন। এবং সেখান থেকে তারা ঝুঁকি গ্রহণ করে উচ্চ হারে পাচ্ছেন রিটার্ন। তবে আজ আমরা যে স্কিমটির ব্যাপারে বিশদে জানবো এই স্কিমটির মাধ্যমে আপনারাও পেতে পারেন উচ্চ হারে রিটার্ন। তাও আবার সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত ভাবে।

কিষান বিকাশপত্র স্কিম কী?

Kisan Vikas Patra Scheme হল এমন একটি স্কিম যার মাধ্যমে আপনারা খুব সহজেই কয়েক মাসে টাকা দ্বিগুণ করে ফেলতে পারবেন। এই স্কিমের আওতাভুক্ত ব্যাক্তিদের ত্রৈমাসিক হিসাবে সুদ প্রদান করা হয়। কিষান বিকাশপত্র স্কিমে সুদের হার কত? এখানে ৭.৫ শতাংশ হারে সুদ প্রদান করা হয়।

ই শ্রম কার্ড অনলাইনে আবেদন কিভাবে করবেন? ই শ্রম কার্ডের সুবিধা ও অসুবিধা জেনে নিন।

ধরুন কোনো ব্যাক্তি এখানে ৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। তবে ১১৫ মাস পর তার মেয়াদ পূর্তিতে সেই সমপরিমাণ টাকাই সে সুদ হিসাবে পাবে। অর্থাৎ ৫ লাখ টাকা বিনিয়োগের মেয়দপূর্তিতে সেই ব্যাক্তি পাবে ১০ লাখ টাকা। যা সুদ এবং আসল মিলিয়ে। এছাড়া Kisan Vikas Patra Scheme এর আরো বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে যা আমরা আজকের প্রতিবেদনের মাধ্যমে আপনাদের কাছে তুলে ধরব।

কিষান বিকাশপত্র স্কিমের সুবিধা

১) এখানে যেকোনো ব্যাক্তিই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। কারণ এখানে নুন্যতম ১০০০ টাকা জমাতেই অ্যাকাউন্ট খোলা সম্ভব।
২) অ্যাকাউন্ট খোলার সংখ্যার ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ নেই। কোনো ব্যাক্তি ২,৪,৬ যত খুশি অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন।
৩) ১০ বছরের বেশি শিশুর নামেও এখানে একটি অ্যাকাউন্ট খোলা যেতে পারে। তবে সেই অ্যাকাউন্ট তার অভিভাবকের পক্ষ থেকে খোলা হবে।
৪) এই স্কিমে আপনারা ৮০c অনুযায়ী করছাড়ও পেয়ে যাবেন।

কিষান বিকাশপত্র স্কিম করার নিয়ম

আপনার অনলাইন বা অফলাইন দুভাবেই Kisan Vikas Patra Scheme এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে আবেদন করার জন্য আপনাদের পোস্ট অফিসার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। সেখান থেকে ফর্ম ডাউনলোড করে ফিল অপি করতে হবে। এছাড়া যারা সম্পূর্ণ অফলাইনে ফর্ম ফিল আপ করতে চাইছেন তারা নিকটবর্তী পোস্ট অফিস থেকে এই ফর্ম সংগ্রহ করে ফিল অপি করতে পারেন।

এর পর ফর্ম ফিল আপ করে উল্লিখিত ডকুমেন্টস সহ পোস্ট অফিসে বা যেকোনো ব্যাংকের শাখায় গিয়ে জমা করতে হবে। আবেদনের জন্য প্রয়োজন কিষান বিকাশপত্র যোজনার ফর্ম, ঠিকানায় প্রমাণপত্র, বয়সের প্রমাণপত্র। পরিচয় পত্র হিসাবে আপনারা পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স বা আধার কার্ড জমা করতে পারেন।
Written by Sathi Roy.

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button