IMG 20240529 WA0006

স্কুলের পড়ুয়ারা স্কুলের শিক্ষকদের তথা School Teacher দের পাশাপাশি গৃহ শিক্ষকের কাছেও পড়াশোনা করেন। কিন্তু প্রায়শই দেখা যায় স্কুলের শিক্ষকরাই গৃহশিক্ষকের কাজ করছেন। এর আগেও হাইকোর্টের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল স্কুল শিক্ষকরা প্রাইভেট টিউশন করাতে পারবেনা কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা অবজ্ঞা করে এখনো পর্যন্ত অনেক স্কুল শিক্ষক তা করে চলেছেন। এই নিয়ে অভিযোগ উঠেছে যে স্কুল শিক্ষকরা জেলায় জেলায় প্রাইভেট টিউশন করাচ্ছেন।

High Court Order on Govt School Teacher for Private Tuition

সম্প্রতি এ নিয়ে কলকাতায় হাইকোর্টে একটি আদালত অবমাননার মামলা হয়েছে। সেই মামলার ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্ট আগামী ৮ সপ্তাহের মধ্যে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং জেলা স্কুল পরিদর্শককে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন (School Teacher).

জানা যাচ্ছে, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও আদালতের রায়ের অবমাননা করে অনেক স্কুল শিক্ষক তথা School Teacher স্টুডেন্টদের পড়েয়েই যাচ্ছেন। এই নিয়ে একটি শিক্ষক সংগঠন যার নাম গৃহ শিক্ষক কল্যাণ সমিতি তারা মামলা করে। সেই মামলায় তাদের আইনজীবী এক্রামুল বারি অভিযোগ তোলেন, হাইকোর্টের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা প্রাইভেট টিউশন করাচ্ছেন।

তবে তা বন্ধ করার জন্য সরকার উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারছে না। যদিও জেলা স্কুল পরিদর্শকরা যে রিপোর্ট দিয়েছেন তাতে কোথাও সরকারি শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন করার তথ্য নেই।

উল্লেখ্য, সরকারি এবং সরকার পোষিত স্কুলের শিক্ষকদের প্রাইভেট শিক্ষকতা করা আইনবিরুদ্ধ সেটা অনেক দিন আগেই হাইকোর্ট থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল এবং এটাকে অবৈধ বলে জানিয়েছিল কলকাতায় হাইকোর্ট।

২০১৮ সালে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছিল সরকারি বা সরকার পোষিত কোন স্কুলের শিক্ষক তথা School Teacher তার নিজের বাড়িতে বা কোনো প্রতিষ্ঠানে গিয়ে প্রাইভেট টিউশন করাতে পারবেন না কিন্তু তারপরেও হাইকোর্টের নির্দেশিকা অমান্য করে অনেক স্কুলের শিক্ষক প্রাইভেট টিউশন করাচ্ছেন।

শুধু তাই নয়, তারপরও দেখা যাচ্ছে অনেক শিক্ষক পড়ুয়াদের পরীক্ষায় নম্বর কম দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টিউশন পড়াতে বাধ্য করছেন। এটা অপরাধ বলে আদালতে দাবি করেন তাঁরা। এরপর আদালত মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল গত বছরের মে মাসে (School Teacher).

আইনজীবী অভিযোগ করেন, School Teacher বা স্কুল শিক্ষকদের গৃহ শিক্ষকতা করানো নিয়ে যেসব জেলার তথ্য দেওয়া হয়েছিল সেগুলি নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। ডিআরআইদের গা ছাড়া মনোভাবের জন্য স্কুলের শিক্ষকের কাছে বহু ক্ষেত্রে টিউশন পড়তে বাধ্য হচ্ছেন ছাত্র-ছাত্রীরা।

প্রধান বিচারপতির টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ২০১৮ সালে শিক্ষকদের জন্য যে বিধি তৈরি হয়েছে সেই অনুযায়ী, সরকারি শিক্ষকরা প্রাইভেট টিউশন (করাতে পারবেন না। ফলে কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশনকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ করতে হবে।

22 হাজার 500 কোটি টাকার DA বকেয়া রয়েছে! কবে মিটবে এই বকেয়া DA? কি বলছে রাজ্য সরকার

ফলে একপ্রকার এই ঘোষণা একদিকে যেমন গৃহ শিক্ষকদের জন্য অনেকটাই খুশির খবর এবং সেই সাথে সাথে School Teacher তথা স্কুল শিক্ষকরা যারা অন্যায়ভাবে গৃহশিক্ষকতা করে যাচ্ছিলেন এতদিন, তাদের জন্য অনেকটাই দুঃসংবাদ বলা যেতে পারে।

ssc recruitment scam- (এস এস সি নিয়োগ দুনীতি)

কিন্তু সরকারি স্কুল শিক্ষকদের গৃহশিক্ষকতা করার জন্য যারা শিক্ষিত হয়েও সরকারি চাকরির না পেয়ে গৃহ শিক্ষকতা করে সংসার চালাচ্ছেন বা নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছেন তাদের অনেকটাই ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা কমে যাচ্ছিল। কারণ বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রী তাদের স্কুল শিক্ষকের কাছেই পড়ার জন্য যেতো কিছুটা বেশি নম্বর পাওয়ার আশায়।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন কমিশন নিয়ে আদালতে জোর ধাক্কা! মাইনে কমে যাবে?

ফলে গৃহশিক্ষকরা ছাত্র ছাত্রী পাওয়া থেকে বিরত থাকতো। হাইকোর্টের এই নির্দেশের ফলে গৃহ শিক্ষিকদের অনেকটাই সুফল হলো। গৃহ শিক্ষক থেকে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা বাড়লে অর্থনৈতিক উপার্জন অনেকটাই বেশি হবে যার ফলে তাদের জীবনযাপন করাটা অনেকটা সচ্ছল হবে (School Teacher).